Ameen Qudir

Published:
2019-02-08 20:31:29 BdST

গ্রামে চিকিৎসকদের থাকতে হবে:বাড়ি গাড়ি নিশ্চিত করব আমরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



ডেস্ক ,ঢাকা
_______________________

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের গ্রাম অনেক বদলে গেছে। নতুন সরকার প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা সম্প্রসারণ করার কথা বলছে। পাকা রাস্তা ও বিদ্যুৎ নেই এমন গ্রাম আর থাকবে না। এখানে দুটো বিষয়; প্রথমত, চিকিৎসকদের গ্রামে রাখার জন্য বাড়ি, গাড়ি এগুলোর ব্যবস্থা করা। সরকার তা করবে।

দ্বিতীয়টি দায়বদ্ধতা, জবাবদিহির বিষয়। কর্মস্থলে বায়োমেট্রিক যন্ত্র দেওয়া বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে এর ব্যবহার। যন্ত্রের ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, জনমত গড়ে তোলা হবে। এতে শুধু উপস্থিতি নিশ্চিত হবে তা–ই নয়, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি বাড়বে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিও কমবে।

বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথমআলোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। ৭ ফেব্রুয়ারি এটা প্রকাশ হয়। সাক্ষাৎকার নেন বিশেষ প্রতিনিধি শিশিরমোড়ল ।

 

জাহিদ মালেক বলেন , দুই বছরের ইন্টার্নশিপের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় জড়িত। এর মধ্যে এক বছর চিকিৎসকদের গ্রামে থাকতে হবে। গ্রামের মানুষের সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা চিকিৎসকদের হবে। অনেকের গ্রামে থাকার অভিজ্ঞতা হবে, যা পরবর্তী সময়ে চাকরির জন্য সহায়ক হবে। অনেকে পাঁচ বছরে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করার পরও রোগীর সংস্পর্শে আসেন না। নতুন সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করবে।

তবে এসব শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের গ্রামে থাকার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা হবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কোথায় রোগী দেখবেন বা কাজ করবেন—এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ আছে।

 

 

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে। জাপান বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেবার মান আমরা আকাঙ্ক্ষা করতে পারি, তবে সেটা বাস্তবসম্মত হবে না।

আমরা মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি, আরও দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিনা মূল্যে পাওয়া অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা দীর্ঘ করার পরিকল্পনা আছে।

মানসম্পন্ন সেবার প্রাথমিক শর্ত প্রয়োজনীয় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের উপস্থিতি। আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। ঘাটতি পূরণে আমরা ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ করব। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনবলের ঘাটতিও দূর হবে। এদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে, হবে। দেশে বিশেষায়িত সেবার জন্য অনেক ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। নতুন ইনস্টিটিউটও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবলের উপস্থিতি থাকলে, যন্ত্রপাতি সচল থাকলে সেবার মান বাড়বে। এসব ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ও বিভাগগুলোতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর গ্রেডিং করা হবে।


জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। শয্যা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে মূল্য নেওয়া হয়, তা–ও খুব সামান্য। অনেক ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা ও ওষুধ পুরোটাই ফ্রি।

অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি, বিনা মূল্যে সেবা দেওয়ার ঐতিহ্য আছে। এখন ১ বছর ও ৬৫ বছরের সব মানুষকে বিনা মূল্যের সেবার আওতায় আনা হবে। এটা জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি। এ ক্ষেত্রে কারিগরি ও আর্থিক দুটি দিক আছে। এই দুটি দিক নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল নির্ধারণ করব আমরা। আশা করি কাজটি কঠিন হবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা জানি যে মেডিকেল কলেজ ভালো না চললে ভালো চিকিৎসক তৈরি হবে না। ভালো চিকিৎসক তৈরি না হলে ভালো সেবা মানুষ পাবে না। তাই আমরা কলেজগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াব। শর্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৌজন্য : দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। বাংলাদেশ।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়