Ameen Qudir

Published:
2018-12-21 00:58:08 BdST

'নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স' নিয়ে সিরিয়াস কিছু রিসার্চ হওয়া উচিত বাংলাদেশেও


 

 


ডা. আশীষ কুমার দাস
_________________________

"Near Death Experience" নিয়ে আসলেই সিরিয়াস কিছু রিসার্চ হওয়া উচিত এদেশে। পশ্চিমে এ বিষয়ে কিছু মাল্টি কালচারাল গবেষণা হয়েছে, ফলাফল অবিশ্বাস্য। সমালোচকেরা বলেছে, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গিয়ে হাইপোক্সিয়া হওয়াতে সে ব্যক্তিবর্গ ডেলিরিয়াস হয়ে পরেছিল এবং পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পরে যে অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণণা করেন সেগুলো নিছক হ্যালুসিনেশন।

হতে পারে হয়তো, কিন্তু ডেলিরিয়াস অবস্থায় মনে আসা চিন্তাগুলো প্রথমত মেমোরী হিসেবে সেভাবে মস্তিষ্কে কোডেড হয় না এবং হলেও সেগুলো এলোমেলো চিন্তা হিসেবেই থাকে। অথচ, যাদের নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে, তাদের মেমোরীগুলো খুব বেশী ওয়েল স্ট্রাকচারড এবং সকলের বর্ণণা প্রায় এক (যদিও বর্ণনায় কালচার নির্ভর সামান্য কিছু পার্থক্য ছিলো)।

আর হ্যা, যাদের উপরে গবেষণাগুলো করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেরই কার্ডিয়াক এরেস্টে হয়েছিলো এবং এদের কেউ ছিলো ডিপ কোমায় আর কেউ ছিলো ক্লিনিক্যালী ডেড (ফ্ল্যাট ইসিজি এবং ইইজি)। রিসাসিটেশনের কোন এক পর্যায়ে হুট করেই বেচে ঊঠে এবং বেচে ফিরে আসার পরে তাদের ব্যক্তিত্বে বিশাল পজিটিভ পরিবর্তন দেখা গিয়েছিলো।

হ্যা, মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশ স্টিমুলেট করা হলেও এ অভিজ্ঞতাগুলো হয়, কিন্তু একজন ব্যক্তি যার ব্রেইন ডেথ হয়েছে (ফ্ল্যাট ইইজি) সে যখন সহসাই বেচে এসে একই অভিজ্ঞতার কথা বলে, তখন পুরো ব্যপারটা একটা ভিন্ন মাত্রা পায়।

তুরি মেরে উরিয়ে দেয়ার মতো নয় ব্যপারটা। আন্তর্জাতিক পিয়ার রিভিওড মেডিক্যাল জার্নালে এগুলো প্রকাশিত হয়েছে এবং সিএনএন ও বিবিসি এর মতো সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ জোরেসোরে খবর গুলো প্রকাশ করেছে। অবশ্য, এতো দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌছুনোর কিছু নেই, প্রয়োজন মন খোলা রেখে রোবাস্ট কিছু গবেষণা করা।

__________________________

ডা. আশীষ কুমার দাস
মা: স্বপ্না দাস
বাবা: অনিল কুমার দাস
সবুজপাড়া, কুড়িগ্রাম

পেশা: চিকিতসক । ২০০৪ সালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম বি বি এস । আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিএমসি, ভেলোর এর যৌথ মাস্টার্স (ফ্যামিলি মেডিসিন) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়