Ameen Qudir
Published:2018-12-04 21:32:19 BdST
অরিত্রীর মৃত্যুকে খুনই বলব: অরিত্রী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হোক
ডা. মাকসুদা খানম অনু
_____________________________
একটা নামকরা স্কুলের ছাত্রী অরিত্রী আত্মহত্যা করেছে। কারণ স্কুলের কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর বাবা-মাকে অপমান করেছে।কারণ অরিত্রী পরীক্ষার হলে নিষেধ সত্ত্বেও মোবাইল ফোন নিয়েছে নকল করবে বলে।খুবই খারাপ কাজ করেছে অরিত্রী।বাবা-মাকে নাকি অকথ্য ভাষায় অপমান করা হয়েেছে।
আমার বাবা ছিলেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। খুবই গরীব একজন অভিভাবকও আমাদের বাসায় সম্মানের
সাথে সমাদৃত হতেন।একজন অভিভাবকের সাথে খারাপ ব্যবহার করার এখতিয়ার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের নেই।
আপনারা শুধু শিক্ষা দান করেন।কিশোর পুত্র কিংবা কিশোরী কন্যার মানসিক স্বাস্থ্য বলে যে একটা কিছু আছে তা আপনাদের পিটি আই, বিএড কিংবা এমএড কারিকুলামে নেই?।যদি না শুনে থাকেন তাহলে শুনে রাখুন বর্তমানে কিশোর -কিশোরীদের শারিরীক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য কে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়।মোাবাইল নিয়েছে পরীক্ষার হলে সে অপরাধ করেছে।এই বয়সেই মানুষ এসব অপরাধ করে থাকে।তাকে কাউন্সিলিং করে বুঝতে দিতে হতো সে অপরাধ করেছে।বুঝতে পারার পর তাকে কিছু শাস্তি দিলে সে তা গ্রহন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতো।
আমি যে স্কুলে পড়েছি আমার স্কুলের পরিবেশ ছিল কিশোরী বান্ধব পরিবেশ।আমার স্কুলে কোনোদিন মারা হতো না।আমি একদিনও স্কুলে মার খাইনি।অনেক অন্যায় করতাম।কিন্তু আমার কোনো শিক্ষক কোনওদিন আমার বাসায় নালিশ করেননি।আমাদের শিক্ষকদের শাসনই আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল।আপনাদের শাসন আমার কন্যাটির জন্য যথেষ্ট হলো না কেন?
আমার শিক্ষক ঐ স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাউন্সিলিংএর কাজটি করে নিতেন।ভালোবাসতেন আমাদেরকে।আমার স্কুলের নাম পটুয়াখালী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।
অরিত্রীর মৃত্যু কে আমি খুনই বললাম।অরিত্রী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হবে এই আশা করি।এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন সময়ে অনেক ঘটলেও সঠিক বিচার হচ্ছে না বলে বার বার ঘটছে।একজন মা হিসেবে
অরিত্রীর মা-বাবার সমব্যথী আমরা।
___________________
ডা. মাকসুদা খানম অনু। কবি। সুলেখক। প্রাক্তন : শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ।
আপনার মতামত দিন: