Ameen Qudir

Published:
2018-07-17 17:55:54 BdST

সিলেটের ডা.মাকামের মাহমুদের ধর্ষণ প্রমাণ হলে সমুচিত সাজা চায় ডাক্তার সমাজ


 



ডা. রাজিয়া সুলতানা রুবী
____________________________

সিলেট মেডিকেলে এক ইনটার্ন ডাক্তার কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অাবারও হলুদজন্ডিস মিডিয়া ডাক্তার বিরোধী বিষবাষ্প তৈরীতে তৎপরতা শুরু করেছে।
কিন্তু দেশের ডাক্তার সমাজ পরিষ্কারভাবে এই অপতৎপরতা রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাফ সাফ অবস্থান: ওই কথিত ধর্ষণ কারী অপরাধী হয়ে থাকলে তাকে প্রচলিত আইন সমুচিৎ সাজা দিতেহবে। ডাক্তার সমাজ কোন অবস্থাতেই একজন কথিত ধর্ষকের ব্যাক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না। বরং অপরাধী হলে সঠিক সাজার পক্ষে সবাই। কোন অবস্থাতেই যেন ধর্ষণ অপরাধের সাজা দেয়ায় ছাড় দেয়া না হয়।
কেননা, এ ধরণের অপরাধ ঘটিয়ে অনেক সময় কথিথ ধর্ষকরা পেশাজীবি সম্প্রদায়ের বিশাল ইমেজকে কলংকিত তরে। একই ভাবে ইনটার্ন সমাজ,ডাক্তার সমাজ বা নিজ নিজ পেশা গ্রুপের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে নিজের অপরাধ থেকে বাঁচার চেষ্টা চালায়।
এক্ষেত্রে আমাদের ডাক্তারদের বক্তব্য ও অবস্থান পরিস্কার: আইনের হাত লম্বা। আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে।
ডা.মাকামে মাহমুদ অপরাধী হলে অবশ্যই সাজা হোক। যদি তার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র; সেটাই আইন দেখবে।
মিডিয়ায় প্রকাশ খবরে জানা যায়,
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর সঙ্গের সহকারীনিকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

১৬ জুলাই ভোর রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ভিকটিম নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।

অভিযুক্তের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দার রোগীর সঙ্গে আসেন ওই নারী। ভিকটিম তার নানিকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে মাকামে মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মাকামে মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘ভিকটিমকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মাকামে মাহমুদকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


এখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতাল ও ডাক্তার পক্ষ আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। কৃত অপরাধকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয় নি।
_______________________

ডা. রাজিয়া সুলতানা রুবী , সুনামগঞ্জ।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়