Ameen Qudir
Published:2018-07-07 16:53:23 BdST
কোর্স থেকে ডাক্তার প্রত্যাহার করে উপজেলায় পদায়নের চিন্তা ভাবনা এবং ৯ সিদ্ধান্ত
ডেস্ক রিপোর্ট 
_______________________
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৯ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্যখাতে শিক্ষক সংকট নিরসন, বিভিন্ন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সমন্বিতকরণ, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি এই বৈঠক করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ মে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জানান হয়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোতে কোথাও কোথাও মাত্র ১/২ জন ডাক্তার রয়েছে। এতে জনগণের মাঝে ডাক্তার ও সরকারের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী হচ্ছে । জনগণের মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্য বিভিন্ন কোর্স থেকে ডাক্তার প্রত্যাহার করে উপজেলা পর্যায়ে পদায়ন করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখছে সরকার।
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক বলেন, মেডিক্যাল কলেজসমূহে কোথাও কোথাও ২০০/৩০০ জন ডাক্তার সংযুক্তির মাধ্যমে কর্মরত রয়েছেন অথচ উপজেলায় কোনো ডাক্তার নাই।
অবশিষ্ট ৫০০০ ডাক্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও তিনি তাগিদ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলমান সংকট দূরীকরণে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে টারশিয়ারি পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা কোর্স চালু করা গেলে চিকিৎসকগণের রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের অভিমুখী হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।
ভারপ্রাপ্ত সচিব জি. এম. সালেহ উদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ফলে মাঠ পর্যায়ে ডাক্তারদের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকটের উত্তরণ দরকার। অপ্রয়োজনীয় কিছু কোর্স বন্ধ রেখে মাঠ পর্যায়ে পদায়ন করা জরুরী।
তিনি আরো বলেন, ডাক্তারগণকে কোন অবস্থাতেই উচ্চতর ডাবল ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দিয়ে সময় নষ্ট করা সমীচিন হবে না।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (১) বলেন, বেসিক সাবজেক্ট ডিপ্লোমা কোর্স চালু রেখে অন্যান্য সকল ক্লিনিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধ করা উচিত ।
সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ:
১) ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টে পার্ট-১ বা ফেজ-এ এর আবেদনের অনুকূলে প্রেষন মঞ্জুর পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
২) ফেজ-এ তে ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত চিকিৎসকদের মধ্যে যাদের প্রেষন জনস্বার্থে মঞ্জুর করা সম্ভব হয় নি পরবর্তী সেশনে ভর্তির জন্য তাদেরকে ভর্তি পরীক্ষা ব্যাতিরেকে সরাসরি যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।
৩) আগামী জুলাই সেশন থেকে চিকিৎসকগণকে বেসিক সাবজেক্ট, এনেসথেশিওলজি ও ফরেনসিক মেডিসিনে এমডি/এমএস প্রভৃতি কোর্সে অধ্যায়নের অনুমতি প্রদান করা হবে।
৪) সরকারি চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষায় ডাবল ডিগ্রী প্রদান বন্ধ করতে হবে।
৫) মঞ্জুরিকৃত প্রেষন মেয়াদে উচ্চ শিক্ষায় থিসিস সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে পদায়নকৃত কর্মস্থলে গিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য প্রেষণের মেয়াদ বর্ধিত করা যাবে না।
৬) প্রেষণকাল সমাপ্ত হওয়ার নূন্যতম ০১ মাস পূর্বেই চিকিৎসকগণের উপযুক্ত পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। যাতে প্রেষন শেষ করে কর্মস্থলে গিয়ে সেবা দিতে পারে।
৭) কোর্সসমূহে অধ্যয়নরত চিকিৎসকগণ পরবর্তী পদে (ফেজ-বি) অধ্যয়নের জন্য প্রেষন অনুমোন অব্যাহত থাকবে।
৮) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহর এবং তার সন্নিহিত উপজেলা সংযুক্তির পদের অতিরিক্ত কর্মরত চিকিৎসকগণকে অধিকতর সংকট বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহে যথাযথ পদে পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৯) চিকিৎসকগণের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমী, ঢাকা। বাংলাদেশ ও উন্নয়ন একাডেমী, কুমিল্লা এবং বিয়াম ঢাকা এ চলমান থাকবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যে যেসকল কর্মকর্তার বয়স ৪০ বা তদুর্দ্ধ তাদের বয়োজেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হবে।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       