Ameen Qudir

Published:
2018-06-26 16:35:29 BdST

"বাপে পাপের ডিলার দিয়া বসে,পোলা মাইয়া মাস্তি কইরাই সারা জীবন কাটায় "


 

প্রতিকী ছবি

 
ডা. মিথিলা ফেরদৌস
_________________________

বড়লোকের পুত্র কন্যাদের জীবনটাই জান্নাতি কারবার দিয়া শুরু হয়।এরা বোঝেই না সংগ্রাম কি জিনিস?বাপে পাপের ডিলার দিয়া বসে,পোলা মাইয়া মাস্তি কইরাই সারা জীবন কাটায় যায়।আর আমাদের মতো মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ঘরের পুলাপানের ভরসার একমাত্র জায়গা, আল্লাহ আর সাথে সংগ্রাম করা।

ধনীর দুলাল,দুলালীরা ছুটু কাল থাইকা অভাব তো দুরের কথা,পাইতে পাইতে এত ওভার পাইয়া যায়,যে জীবন নিয়া এরা অনেক এক্সপেরিমেন্ট চালায়,এই যেমন গাড়ির তলে একটা মানুষ পিষে দিলে কেমন কইরা মরে,কি থ্রিলিং ব্যাপার স্যাপার,গফ বফ লইয়া বারে বারে পার্টি,রিচ কিড গ্রুপ বানাইয়া,মেয়েদের শারীরিক নির্যাতন কইরা মাইরা ফেলা,এরা এত চরম মাত্রায় পায় যে,নিজের বাপ মা মাইরা দেখে ব্যাপারটা আসলে কতটা আনন্দদায়ক!!এদের পড়াশুনার মুল উদ্দেশ্য কিছু ইংলিশ না কইলে তাগো সমাজে অন্যদের সাথে তাল মিলাইতে পারবোনা।বাপ মায়ে পাপের কারবারি, পাপ করা নিয়া বিজি,এরা পাপকে সমাজের মধ্যে ছড়ায় ছিটায় মজা লুটায়।

আর নিম্ন বা মধ্যবিত্তদের জীবন শুরুই হয়,মৌলিক চাহিদার খোঁজে। মাস্তি তো দুরের কথা চাহিদাটুকু মিটানোই মুল উদ্দেশ্য।খাতা, কলম, বই, বেতন,ঈদে একটা ভাল জামা,মাঝে মাঝে ভাল খাবারেই খুশি।ফ্যান্সী ফ্যান্সী ড্রেস,দামী স্মার্ট ফোন এইসব কবে নিজের টাকায় কিনবে সেই অপেক্ষায় থাকা।কেউ কেউ টিউশনি করেই নিজের খরচ চালায়,অনেক সময় পরিবারের খরচও চালাতে হয়।শখ তো দুরের কথা,প্রয়োজনটাই সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। একটা চাকরী,বিবাহ,গাড়ি, বাড়ি করার ধান্দায় একটা বয়সে যখন একটু বিলাসিতা করার সময় হয়,একটু ঘোরাঘুরি তখন ডায়াবেটিস, হাইপার টেন্সান,আর্থারাইটিসের রুগী,ডিব্বা ভরা ঔষধ নিয়ে পাচ তারকা হোটেলে মন খিচায় থাকে ইচ্ছা করেনা আকাশ, পাতাল,পাহাড়, সমুদ্র,ঘাস,আগাছা দেখতে(অথচ একদা কচু পাতায় পানির দেখেও মনটা ভাল হতো)।মনে হয় কিছু রেস্ট ভীষণ দরকার।আর এই করে একদিন কম্পলিট রেস্টে চলে যেতে হয়।

(সবখানেই কিছু ব্যাতিক্রম আছে)
_______________________________

 

© ডা. মিথিলা ফেরদৌস । সুলেখক।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়