Ameen Qudir

Published:
2018-06-09 19:26:46 BdST

রমজানের জনপ্রিয় পানীয় রুহ আফজার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের মামলা





ডেস্ক রিপোর্ট
________________________

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয় পানীয় রুহ্ আফজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩৫ ফলের রস দিয়ে তৈরি, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয়সহ নানা ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার ও ওয়েব সাইটে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের দায়ে এ মামলা করা হয়। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ৩০ মে মামলা করেন।

গত ১৬ মে ভেজাল বিরোধী অভিযানের সময় সন্দেহবশত ‘রুহ আফজা স্বাস্থ্যকর ফলের শরবত’ সংগ্রহ করেন।
ওদিকে রুহ আফজার আরেক বিশাল বাজার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন প্রদেশেও সিলড করে দেয়া হয়েছিল রুহ আফজার ফ্যাকটরি।


বাংলাদেশে মামলাকারীর অভিযোগ: এ পণ্য সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টিভি ও ইউটিউবে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। এমনকি বিভিন্ন মূল্যবান ঔষধি গাছের নির্যাস আছে বলে বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। অথচ আসল পণ্যের সঙ্গে এসব বিজ্ঞাপনের কোনো মিল নেই। এটি এক ধরনের ধোঁকা।

মামলাকারীর আরও অভিযোগ,
এর কার্যকরিতা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সুপষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রোজা রাখার পর এটি পান করলে পানি শূন্যতা, ক্লান্তি দূরসহ প্রায় ৫০টি রোগের উপশম হয়। কিভাবে রোগ দূর হয় তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। ফ্রুট সিরাপ ও শরবত এত রোগের ওষুধ হতে পারে না বলেও মামলাকারী উল্লেখ করেন।


সাংবাদিকতার প্রথিতযশ শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতিয়ারা নাসরিন এক জনমুখী লেখায় এ বিষয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।গীতিয়ারা নাসরিনের লেখা এখানে পাঠকদের জন্য দেয়া হল।
___________

রুহ আফজার লাল রঙ কি বিপদজনকতার চিহ্ন?
---------------------------------------------------
সেই দূর বাল্যকালে রমজানে টেবিলে থাকতো রুহ্ আফজার লোভনীয় লাল সরবত। এত বিজ্ঞাপনের বাহার ছিলো না তখন, তাই জানা ছিলো না এটি "শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয়।"
রুহ্ আফজার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে শুনে ইন্টারনেটে জানতে গেলাম। প্রথমেই পেলাম চ্যানেল আই অনলাইনের 'রুহ আফজা তৃপ্তিময় রামাযান' সিরিজের অংশ। বলা আছে, "স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কথা বিবেচনা করেই চ্যানেল আই অনলাইন প্রথমবার নিয়ে এলো বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় রেসেপি। যে অনুষ্ঠানটির নাম ‘রুহ আফজা তৃপ্তিময় রামাযান’।" রুহ আফজা দিয়ে নানাবিধ শেক, স্মুদি তৈরীর রেসিপি দেওয়া হচ্ছে এখানে।

বোতলের লেবেল আগে পড়ে দেখি নি। একটি ব্লগ থেকে জানা গেল বোতলের লেবেলে আছে ২৬ প্রকারের উপাদানের কথা। যেমন, কেওড়া পাতনলব্ধ নির্যাস ০.১৭ মিলি, লেবুর পাতনলব্ধ নির্যাস ০.০৪ মিলি, গোলাপের পাতনলব্ধ নির্যাস ০.০৩ মিলি, ধনিয়া ০.২২৫ মিলি, গাজর ০.২২৫ মিলি, নুনে শাক ০.২২৫ মিলি, তরমুজ ০.২২৫ মিলি, পালং শাক ০.২২৫ মিলি, পুদিনা ০.২২৫ মিলি, ধুন্দল ০.২২৫ মিলি, কাসনী ০.২২৫ মিলি, খসখস ০.২৫৫ মিলি, শাপলা ০.২২৫ মিলি, গাওজবান ০.২২৫ মিলি, কমলা লেবুর রস ০.১০ মিলি, আনারসের রস ০.৩৫ মিলি। এই ১৬টি উপাদানের উল্লেখিত পরিমাণ মোতাবেক ওজন ৩.১৬৫ মিলি। ওয়াও! শুধু এসব উপাদানই নয়, এর সাথে আরো থাকার কথা সাদা চন্দন, নাসপাতি, আঙ্গুর, ডালিম, মাল্টা, আপেল ইত্যাদি! এতোসব পড়লে প্রায় হাজার টাকা হাদিয়া কমই মনে হবে!

রুহ আফজার বিরুদ্ধে খোদ পাকিস্তানেও নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। গত মাসে সিলড করে দেয়া হয়েছিল ফ্যাকটরি। এ বিষয়ক ফাইল রিপোর্টে জানা যায়:

The Khyber Pakhtunkhwa Food Safety and Halal Food Authority has sealed 8 units in the province for providing substandard products. The sealed factories include some big names that were found violating the food safety laws.



The authority’s spokesperson Attaullah Khan told the media that renowned beverage brand Rooh Afza’s Hayatabad unit was closed as well. The factory was found violating the provincial health and safety standards.

 

Three spice factories were also banned in an operation in Bacha Khan Chowk area. These factories were said to be using flour, crushed wooden waste, and rotten garlic in unhygienic conditions for manufacturing spices.

Another operation was carried out in Swat’s Mangora City where 400 liters of adultered milk was wasted. The authority sealed a water plant in Swat as well.


According to sources in Hamdard and the KP Food Authority, the factory was sealed due to issues with the fruit supply, which are quite common.

This essentially means that the fruit coming from suppliers, which was not yet filtered by the factory for use in its products, had issues.

Our sources said that the fruit was yet to be processed and filtered for usage in the production.

Sources also confirmed that there were no quality issues in the processed fruits or in any other part of the production.

Factory operations have already resumed after this fact was brought to the attention of the KP Food Authority.

One unnamed source said, “Rooh Afza exports to 33 countries including the US so we have a high standard for quality. This incident was a mistake on the part of the regulator and has already been resolved.”

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়