Ameen Qudir
Published:2018-05-07 00:58:52 BdST
ধন্য শ্রমিকের দান, চৈনিক রাজা সর্বশক্তিমান !
অাজিজুল শাহজী
____________________________
এই লেখা যখন লিখছি মানে মে ৫ তারিখে,এই সময়ে উদযাপন হচ্ছে কার্ল মার্ক্সের দ্বিশত বার্ষিকীর দিন । এই মাসের শুরুতেই হয়েছে মে দিবস এছাড়া এই মাসে জন্ম নিয়েছেন অনেক বড় বড় লোক, তাই ভাবলাম একটু শ্রমিকের এবং মেহনতি মানুষের সরকার চিনের এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর কিছু লিখি । হাজারহলেও তারা অনেকের নয়নের মনি,কেমন হয় ওই চিনের নেতা মোদের পিতা যাদের মূল ভাবনা তাদের ওই দিকে একটু শ্রম দান করতে পাঠিয়ে দিলে ?যাই হোক,আজ বড় মনে আসে ওই মহান মার্ক্সের কথা,আহা উনি যদি দেখে যেতেন শ্রমিকের জন্য কত ভালো কাজ করছে এর ধারক এবং বাহক আমাদের মহান চীন । যাই হোক, বাজে কথা থাক,একটু মূল বিষয়ে ফিরে যাই।
প্রথমেই বলে বলে রাখি, এই চীন দেশটি সব চেয়ে বেশি নিজের নাগরিকের উপর নজর রাখে দেশ জুড়ে রাখা গোপন বা প্রকাশ্য ক্যামেরা দিয়ে তৈরী করা একটি নেটয়ার্ক এর মাধ্যমে । একই সাথে ওই ক্যামেরার থেকে পাওয়া ছবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যোগাযোগ করে একটি প্রায় নির্ভুল ম্যাপিং করে নিজেদের নাগরিকদের উপর । এর সাথে যুক্ত করেছে প্রত্যেক নাগরিকের একটি সোশাল ক্রেডিট রেটিং মানে পরিমাপ রাখা হচ্ছে ,মানে আপনি যদি ঠিক মনের মতো নাগরিক না হন তা হলে আপনার ‘সান্ডে মানডে ক্লোজ ‘ করার সব ব্যবস্থা আছে এই মেহনতি মানুষের সরকারের হাতে । এর উপর বিস্তারিত জানতে আগের লেখা দেখুন : https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=596112194115289&id=100011495404017
শ্রমিকের প্রতি মুহুর্তের উপর নজরদারির নতুন প্রযুক্তি
একটু ভাবুন দেখি,আমরা অনেকেই এমন জায়গায় কাজ করি যেখানে আমাদের উর্ধতন কর্তিপক্ষ আমাদের কাজের উপর খুব সজাগ নজর রাখে বলে আমরা প্রায়সই আমাদের উপরওয়ালা মানে সেই কর্তিপক্ষর বাপান্ত করে থাকি । আচ্ছা এই লোকগুলো যদি আমাদের উপর কোনো বৈদ্যুতিন উপায়ে আমাদের প্রতি মুহুর্তের মনভাবের মানে আমাদের রাগ,ঘৃনা ইত্যাদির উপর নজর রাখে তা হলে ? হ্যা,ওটাই এই লেখার বিষয় । কি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই মেহনতি মানুষের সরকার তথা রাষ্ট্র তার শ্রমিকের উপর নজরদারির কাজ শুরু করেছে ওটা আজকে শোনাব ।
আসুন একটু বিষয়টার উপর কল্পনা করি, একদল শ্রমিক প্রতিদিনের কাজের জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়েছে । তাদের শরীরে নির্দিষ্ট কোম্পানির পোশাক আছে । তারা কাজের জন্য দিন শুরু করলো , একটাই ছোট্ট সংযোজন,তাদের মাথায় একটি করে টুপি আছে (হু হু টুপি মানে সেই টুপি !) যা তাদের সেই সময় বা ক্ষণে ক্ষণে হওয়া মানসিক অবস্থার মানে মস্তিস্কের ভাবনা চিন্তার উপর একটা ম্যাপিং করে যাচ্ছে আর সঙ্গে সঙ্গে কর্তিপক্ষের কাছে ওটা পৌছে দিচ্ছে । সেই নজরদারির লোক বুঝে যাচ্ছে,কোন লোকটি সেই সময়ে কি অবস্থায় আছে এবং তার কাজের প্রতি কি মনভাব । এই পর্যন্ত পড়েই যদি ভেবে থাকেন আমি আপনার বা অন্য কারোর চৈনিক অনুভুতিতে আঘাত দিচ্ছি তা হলে একটু দাড়ান , এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং তা কোনো তাত্ত্বিক মানে ওই গবেষণাগারের বস্তু নহে !
অজস্র চৈনিক কোম্পানির একটির নাম করছি, Hangzhou Zhongheng Electric সমন্ধে জানতে পারছি এই ইন্টারনেট সূত্র থেকেই , তারা সাফল্যর সাথেই তাদের কর্মচারীদের উপর এর প্রয়োগ করেছে এবং করছে । সাধারণ পরিধেয় টুপি বা নিরাপত্তার হেলমেটের ভিতরে আছে বৈদ্যুতিন চিপ যেটা বেতার সংযোগ এর মাধ্যমে দূর নিয়ন্ত্রক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির সফটওয়ার দ্বারা চালিত কম্পিউটারের সাথে যোগ রেখে চলে ওই শ্রমিকের ।কম্পিউটার মানে ওই যন্ত্রগনক পরিমাপ করে শ্রমিক বা কর্মচারীর প্রতি মুহুর্তের হতাশা,ক্ষোভ বা অন্য আবেগের পরিমাপ । তার মাধ্যমে নির্ধারণ করে ওই লোকটি কতটা কর্মক্ষম বা উত্পাদনের জন্য কতটা কাজে আসবে ।

কি ভাবে কাজ করে ওই টুপি ?
এক কথায় এই পর্যবেক্ষণ যন্ত্রগুলো মানুষের আবেগের উপর নজর রাখে বা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করে । বাংলা প্রতিশব্ধ খুব কম তাই ওটাকে মনোবিক্ষণ বলা যেতে পারে যাকে ইংরেজিতে ‘ emotional surveillance’ বলে ।এই প্রসঙ্গে বলে রাখি এই পুরো প্রকল্প মানে সরকারী বা বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে শুরু করা হয়েছে একদম মেহনতি মানুষের সরকার মানে চিনের সরকারী উদ্যোগে ।
উপরে যেরকম বলেছি, কিছু বিশেষ সেন্সর মানে সংবাহী বৈদ্যুতিন অর্থাত ইলেক্ট্রনিক সেন্সর লাগানো আছে ওই টুপি ইত্যাদির মধ্যে, মানুষের মাথার একটা আবেগ এর স্ফুরণ মানে ওই EEGর মাপক হিসেবে কাজ করে ।সিগনাল পাঠায় মূল কম্পিউটারে আর বিশেষন হয় ওটাতেই ।
কতটা কাজ করে ?
তাত্ত্বিক ভাবে যা জানতে পারছি তাতে এর কার্যকরী হওয়ার ভাগ অতটা সঠিক কিন্তু বিজ্ঞানী বা প্রযুক্তিবিদরা বলতে পারছেন না বিশেষত মানুষের চুলের এবং ত্বক ভেদ করে ওই মানসিক তরঙ কতটা সঠিক ছবি তুলে ধরে তার ক্ষেত্রে এখনো তারা সন্দিহান । এরপরেও কিন্তু চিনের সরকারী বিদ্যুত পরিবহন সংস্থা Zhejiang Electric Power দাবি করেছে তারা ২বিলিয়ন ইউয়ান মানে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ।
এই ধরনের ব্যবস্থাপনা মূলত যা করে তা হলো পর্যায়ক্রমে মানুষের ওই বিবিধ আবেগের সময় ধারণ করা EEGর মাত্র ধরে একটি স্কেল মানে মাপকাঠি রেকর্ড করে আর তারপর বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওটা কে ভিত্তি করে আমাদের নানান প্রাথমিক মস্তিস্কের তরঙ্গকে ওই পর্যায়ে ফেলে তার শ্রেণীবিভাজন করে । প্রধানত আগের বাস্তবিক পর্যবেক্ষণ কে একটি তথ্যপুন্জিতে মানে ডাটাবেস এ রেখে (এটার নাম DEAP বা ডাটাবেস ফর ইমোশনাল এনালাইসিস অফ ফিজীয়লোজিকাল সিগনাল বা DEAP বলে ) এর সাথে মিলিয়ে ওই যন্ত্রগণক নানান সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এবং শ্রেণীবিভাজন করে ।মানে ধরুন আপনি বাড়িতে প্রচন্ড ঝামেলা করেছেন অথবা আপনার সহকর্মীর সাথে কাজে ঢোকার আগে কোনো বড় ঝামেলা হয়েছে তার ফলে আপনার মস্তিস্ক হয়তো বেগতিক সিগনাল দিয়েছে ,ওই কম্পিউটার আপনাকে সেই দিন কাজে অযোগ্য ঘোষণা করতেই পারে । আরো ধরুন আমার মতো অনেকেই আছে যারা কাজে যোগ দেওয়ার আগে এই পৃথিবীর উপর মায়া হারিয়ে সব ঝুঠ ভেবে প্যাচার মতো করে থাকে মুখ,এর ফলে দৈনন্দিন একটা তথ্যপুন্জি থেকে আমাকে এক মাসের মধ্যেই কাজ থেকে ছাটাই করা হতে পারে ।কি বুঝলেন ?

এতটাই কি সঠিক ওটা ?
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো সম্পুর্ন সঠিক না ওটা তো বোঝা যাচ্ছে তবে এতে কি হচ্ছে? সোজা কথায় যাকে অযোগ্য মনে হচ্ছে তাকে অর্ধচন্দ্র মানে গলাধাক্কা বা কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া বেশ বৈজ্ঞানিক হচ্ছে , আমরা শুনেছি মার্ক্সবাদ সত্য কারন ওটা নাকি বিজ্ঞান,অতপর ওটা তার সত্যতার জন্য বিজ্ঞানময় হয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করছে ধরে নিতে হয় , কি বলেন ?
এর কার্যকরিতা নিয়ে প্রচুর সন্দেহ আছে এবং এই সমন্ধে কিছু বিশেষজ্ঞর মতামত দেখুন এই তথ্যসূত্রে : https://ieeexplore। ieee। org/document/7603437/
এখন উপরের ওই সূত্র ছাড়া চীন আরো ব্যবহার করছে বিশেষ মিসাইল প্রযুক্তি ,ওটা ওরা ব্যবহার করছে দৈনন্দিন যাতায়াত করা বা ধরুন ওই বিমান পরিসেবা ব্যবহার করা অগুন্তি যাত্রীর গতিবিধির উপরেও । আরো একটি কোম্পানি সমন্ধে জানতে পারছি নাম Ningbo Shenyang Logistics,ওরা ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে নতুন কাজে যোগ দেওয়া মানুষের উপর তাদের কাজে সরগর করে নেওয়ার সময় । মানে একদম প্রথম থেকেই একটা যান্ত্রিক ম্যাপিং করে নেওয়া আর কি!এই প্রযুক্তি নাকি এই ধরনের ট্রেনিং এর সময় অনেক বেশি উপকারী হচ্ছে ,এখন ওটা কেন স্রেফ ওই ট্রেনিং এর সময় কাজে লাগানো হচ্ছে ওটা অবশ্য ওই কোম্পানির মুখপাত্র বলেন নি ।তাদের দাবি তারা ১৪০ মিলিয়ন ইউআন মুনাফা করেছে ওটা ব্যবহার করে ।
উপরে বলা সেই টুপি তৈরী হচ্ছে সরকারী অর্থানুকুল্যে,ওটা করছে এই আধুনিক হিরক রাজার গবেষক থুক্কু নিংবো বিশ্ববিদ্যালয়,ওটার নাম দেওয়া হয়েছে নিউরো ক্যাপ । এই যন্তরমন্তর মানে ওই গবেষনা কেন্দ্রের গবেষক জিন জিয়া (এখানেও জিয়া !)দাবি করেছেন একজন আবেগপ্রবণ শ্রমিক পুরো উত্পাদন ব্যবস্থাকে শেষ করে দিতে পারে তাই তাকে সনাক্ত করা জরুরি ।কি বুঝলেন?
এই জিনজিয়া বলেন,প্রথমে শ্রমিকরা ভয়ে ভয়ে ছিল(প্রতিরোধ না,শ্রমিকের সরকার বলে কথা!)তারপর এখন দিব্বি ওটা নিয়ে সুখে আছেন ।

এই প্রসঙ্গে বলা যায় এই প্রযুক্তি আমেরিকাতেও ব্যবহার হয় তবে তা তীরন্দাজির ক্রীড়াবিদরা ব্যবহার করেন তাদের উত্কর্ষ বাড়াতে আর চীন করছে তার প্রতিযোগীদের থেকে নিজেদের আলাদা করে মুনাফা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে ।পাঠক এক সময়ে চার্লি চ্যাপলিন এর মর্ডান টাইমস সিনেমাকে ওই ধনতন্ত্রের উপর ব্যঙ্গ বলা হতো,আজ চ্যাপলিন বেচে থাকলে হয়তো ওটার দ্বিতীয় ভাগ তৈরী করতেন তবে চিনে বসে করতে পারতেন না ওটা নিশ্চিত করতে পারি ।
বলতে ভুলে গেছিলাম,এই সূত্র থেকে জানতে পারছি এর সাথে মুখের অভিব্যক্তি কে ক্যামেরাতে ধারণ করা হচ্ছে । আরো জানতে পারছি,সাংহাই এর সাংহাই হাসপাতালে ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় এর আর সরকারের সহযোগিতায় রোগীদের বিছানাতেও বিশেষ সেন্সর লাগিয়ে ওই নিরীক্ষণ সর্বাংগসুন্দর মানে সঠিকতা দান করার কাজ হচ্চ্ছে । অসংখ্য সেন্সর লাগানো বিছানাতে রোগীর নড়াচড়া ইত্যাদির উপর সে কতটা অস্বাভাবিক আচরন করছে তার নিরীক্ষণ করে রোগীর মানসিক অবস্থার একটা ম্যাপ করা হচ্ছে।বিশ্বাস করুন,আমি বলছি না এই যে তথ্যসূত্র দিচ্ছি ওটা বলছে: https://www। scmp। com/news/china/society/article/2143899/forget-facebook-leak-china-mining-data-directly-workers-brains
ভালো কিছুই কি নেই এতে ?
হ্যা, ওটা ও আছে, চিনের বেজিং এবং সাংহাই উচ্চগতির রেলপথের ড্রাইভার এর উপর একই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে যার ফলে কোনো কারণে যদি চালক ঘুমিয়ে পরে সঙ্গে সঙ্গে এলার্ম বেজে উঠে তাকে সতর্ক করে দেবে বলা হচ্ছে । এটি আমার মতে সদর্থক একটি পদক্ষেপ । একই ভাবে বিমানে ও ওই পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা লাগানো নিয়ে সদর্থক বেশ কিছু বস্তু আছে মনে করি।কিন্তু হ্যা, ওই ‘কিন্তু’ রাখছি,আপনি যদি কোনো জটিল কাজ করেন বা ধরুন আপনার কাজের জন্য প্রচুর মানুষের প্রাণ নির্ভর করে সে ক্ষেত্রে আপনার উপর এই ধরনের নজরদারি ব্যবস্থা আপনাকে কতটা স্বচ্ছন্দ দান করবে?আপনি যন্ত্র না তাই আপনার স্বাভাবিক গতিবিধি এবং মানসিক অবস্থা না থাকলে আপনার থেকে সেরা কাজটি কি পাওয়া যাবে?না,যাবে না ।একই সাথে আপনি ভয়ে থাকলে আরো বেশি ভুল করতে পারেন না কি? একটু ভাবুন!
ওই যে দাড়িওয়ালা বুড়ো বলেছিলেন না,মানুষ কে ছাচে ঢেলে তৈরী করতে গেলে ওই ছাচ হয়তো ভেঙ্গে ফেলে মানুষ, ওটা হয়ত ওই আজীবনের শাসক জিন পিং ভয় পাচ্ছে ।এইদিকের বিপ্লবীগণ এবং চীন প্যিয়ারু মানুষরা কি বলেন ?
তথ্যসূত্র :
১। https://www। scmp। com/news/china/society/article/2143899/forget-facebook-leak-china-mining-data-directly-workers-brains
২। https://www। scmp। com/tech/china-tech/article/2143537/chinese-weapons-lab-putting-missile-technology-airport-body-scanners
৩। https://www। economist। com/news/briefing/21711902-worrying-implications-its-social-credit-project-china-invents-digital-totalitarian
৪। বাজার অর্থনীতি যেখানে খুশি হয় শ্রমিকের স্বার্থরক্ষার জলাঞ্জলি দিতে, মার্কিন এপেল এর নিজের দেশে শ্রমিকের জন্য রাখা নীতির দরকার হয় না মেহনতি দেশে উত্পাদন চালাতে https://www। bbc। com/news/business-30532463
৫। https://www। gizmodo। com। au/2018/05/companies-in-china-are-using-brain-sensors-to-monitor-employees-emotions/
৬। মার্কিন এপেল এবং শ্রমিক আর মেহনতি মানুষের যৌথ উদ্যোগ আর ওই নজরদারির উপর কিছু জানুন এইখান থেকে https://www। dailymail। co। uk/news/article-3557310/Inside-secretive-Chinese-iPhone-factory। html
____________________________
অাজিজুল শাহজী। জনপ্রিয় ও প্রাজ্ঞ বিজ্ঞান লেখক। ডাক্তার প্রতিদিনে নিয়মিত লেখার সম্মতি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত দিন: