Ameen Qudir

Published:
2018-04-23 02:43:02 BdST

ভারতে শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড: বাংলাদেশে শিশু ধর্ষক ক্রসফায়ারে নিহত


 


ডা. রাজীব আহমেদ
_________________

দুটোই বলতে গেলে একরকম সুখবর। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ভারতে শুরু হয়েছে আইনি কঠোর একশন। আর বাংলাদেশে সরাসরি ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে এক শিশুধর্ষককে।
ক্রসফায়ার কতোটা ঠিক; তা নিয়ে সুশীলরা মতামতের ঝড় তুলবেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোরতা ছাড়া এই অপরাধ ঠেকানোও মুশকিল। তাই ক্রসফায়ারই জনপ্রিয়তা পেয়েছে মানুষের কাছে।
ভারতে শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। শনিবার এ শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিল পাস করার পর প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ এই অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করেছেন রোববার। ফলে এ শাস্তি রোববার থেকেই কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এতে বলা হয়েছে, যদি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো শিশুকে কেউ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয় তাহলে এ অর্ডিন্যান্সের অধীনে তাকে দেয়া হবে মৃত্যুদন্ড। এ বিধান কার্যকর হবে রোববার থেকেই।

ওদিকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সোহাগ সরদার (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ একই গ্রামের শামসুর সরদারের ছেলে।
কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শনিবার বিকালে কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামের সোহাগ। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। রাতে আসামি সোহাগকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নামে।

ওদিকে জিনিউজের খবরে বলা হয় ,
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে এই অর্ডিন্যান্স পাস হয়। যদি ১৬ বছরের নিচে বয়সের কোনো বালিকাকে ধর্ষণের জন্য কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার সর্বনি¤œ শাস্তি ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার কথা বলা হয়েছে। যা বর্ধিত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে পরিণত করা যাবে। ১২ বছর বয়সের নিচের কোনো বালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হলে ধর্ষকের সর্বনিম্ন জেল ২০ বছর করার কথা বলা হয়েছে ওই অর্ডিন্যান্সো। এ ছাড়া তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার পরেই এমন অর্ডিন্যান্স জারি হলো ভারতে। এর আগে যৌন সহিংসতা থেকে শিশুকে সুরক্ষা বিষয়ক আইনের অধীনে একজন ধর্ষক বা যৌন নিপীড়নকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আর সর্বনি¤œ শাস্তি ছিল ৭ বছরের জেল। এসব আইন পরিবর্তনের কথা শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করে ভারত সরকার। তারা জানায়, ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। তাতে ধর্ষকের জন্য মৃত্যুদ- রাখা হচ্ছে। ওদিকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নয়া দিল্লিতে নির্ভয়া ধর্ষণ ঘটনার পর ধর্ষণ সংক্রান্ত ফৌজদারি আইনকে সংশোধন করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়াকান্ডের পরই ধর্ষণের শাস্তির ক্ষেত্রে আইনের বদল আনার জন্য গত সপ্তাহেই প্রস্তাব রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। এ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শিশু ধর্ষণের চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষমেশ, মৃত্যুদন্ডতেই সিলমোহর দিয়ে দেয় মন্ত্রিসভা। অর্ডিন্যান্সটি রোববার প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করেছেন।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়