Ameen Qudir
Published:2018-02-04 15:02:19 BdST
বইমেলায় ওয়েস্টার্ন সাহারার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখলেন যে ডাক্তার সেনা কর্মকর্তা
ডেস্ক সংগ্রহ
_____________________
বরকত সালাম রফিক জব্বারের রক্ত ভেজা ফেব্রুয়ারি আবার এলো ।ভাষার লড়াইয়ের চেতনাকে ধারণ করে বাংলা একডেমিতে এবারো বসছে প্রাণের বইমেলা ।
বাংলাদেশের এক সেনা কর্মকর্তা ওয়েস্টার্ন সাহারায় জাতিসংঘ মিশনে শান্তি রক্ষী হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়ে এসেছে ।হিরন্ময় সেই দিনগুলির স্মৃতি কথা নিয়ে লেখা হয়েছে 'যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের ।' বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ । শুভ কামনা জানিয়ে ফ্ল্যাপ লেখেছেন হাসান আজিজুল হক।প্রকাশ করেছে বিদ্যা প্রকাশ।
হাসান আজিজুল হক এবং 'যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের '
-----------------------------------
১।হাসান আজিজুল হক।ছোট গল্পকার ,কথা সাহিত্যিক ।ষাটের দশকে আবির্ভূত এই বরেণ্য লেখক তাঁর সুঠাম গদ্য ও মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গীর জন্য প্রসিদ্ধ ।জীবন সংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তাঁর লেখনীর প্রধান অনুষঙ্গ ।রাঢ় বাংলা তাঁর অনেক গল্পের পটভূমি। বাংলা ভাষায় রচিত ছোটগল্পের ইতিহাস লিখতে গেলে 'আত্মজা ও একটি করবী গাছ ' অনিবার্যভাবে আসবেই ।
২। ওয়েস্টার্ন সাহারায় জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করবার হিরণ্ময় স্মৃতি নিয়ে আমার লেখা 'যে গল্প ত্রাসের, যে গল্প দুঃসাহসের ' মুখবন্ধে তিনি লেখেন -
'' মরক্কো -মিশর-সুদান আমার আগ্রহের এলাকা। সমৃদ্ধ ইতিহাস ,সমৃদ্ধ ঐতিহ্য মানুষের বেঁচে থাকা আর সভ্যতা সৃষ্টি করার অনেক অগতানুগতিক পদক্ষেপের সাক্ষী ঐ অঞ্চলটি।কিন্তু ,আজ সেটি অগ্নিগর্ভ ভূখন্ড ।তার পেছনের কারণ কেবলমাত্র নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নয় ,বরং পৃথিবী লুটে খাওয়া দেশগুলির ইন্ধনও।
সেই ভূখন্ডে একজন যুবক সেনা অফিসার শান্তিরক্ষার মিশনে কষ্টদায়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে এসেছে ।তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়ার জন্য লিখেছে এই বইটি ।বইটি কেবলমাত্র পেশাগত বর্ণনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি বরং চোখ মেলাতে চেয়েছে সেখানকার মানুষ ও ইতিহাসের দিকেও ।এমন একটি বই মানুষ পড়ুক - সেই ইচ্ছা প্রকাশ করা অন্যায় নয় ।''
৩।স্যার,আপনার মূল্যায়ন আমার 'যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের 'বইটি পড়বার পাঠকের ইচ্ছেকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
৪।প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। প্রকাশ করেছে বিদ্যা প্রকাশ ,স্টল নং ১৭৬-১৭৭-১৭৮-১৭৯
______________________
গুলতেকিন খান এবং যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের
-----------------------------------------
১।গুলতেকিন খান ।সেই শৈশবেই ভালবেসে হুমায়ূন আহমেদকে বিয়ে করে হয়ে যান গুলতেকিন আহমেদ ।উচ্চতর পড়াশুনার জন্য হুমায়ূন পাড়ি জমান মার্কিন মুল্লুকে ।সাথী হন গুলতেকিন ।শুরু হয় জীবন যুদ্ধ ।ধনাঢ্য পিত্রালয় ছেড়ে হুমায়ূনের হেঁসেল টানতে থাকেন হাসিমুখে ।
২। যখন এক এক করে শীলা ,নোভা,বিপাশা ,নুহাশ তাঁর কোলকে আলোকিত করছিল তখন হুমায়ূন একেবারে সরে যান গুলতেকিনের জীবন থেকে ।গুলতেকিন আহমেদকে আবার গুলতেকিন খানের পরিচয়ে ফিরে আসতে হল।তারপরের গল্প আমাদের সবারজানা ।
৩। দীর্ঘদিন নিভৃতে থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন গুলতেকিন ।দুইবছর আগে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ 'আজো কেউ হাঁটে অবিরাম ।'অনেকদিন পর দেখা হবার নস্টালজিয়ায় ভেসে দুজনে ক্যামেরায় বন্দী হলাম ।জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষী হিসেবে তখন কেবল আমার ডাক এসেছে ।তিনি জানেন বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলার সৈনিকেরা জীবন বাজি নিয়ে ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ আফ্রিকায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।আসন্ন মিশনের অভিজ্ঞতার গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিকথা নিয়ে বই লিখতে তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন ।
৪।শেষতক আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে মরুভুমির ধূলি ধূসরিত রক্তমাখা ভুখন্ডের পটভূমি নিয়ে আমার লেখনী 'যে গল্প ত্রাসের যে গল্প দুঃসাহসের' ।বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ ।শুভ কামনা জানিয়ে ফ্ল্যাপ লিখেছেন হাসান আজিজুল হক ।প্রকাশ করেছে বিদ্যা প্রকাশ
ভাল থাকুন গুলতেকিন খান ।কাকবন্ধ্যা নয় ,আপনাকে দেখতে চাই অসংখ্য অজর রচনাবলীর এক শক্তিমান স্রষ্টা হিসেবে ।
_________________
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ ।
আর্মড ফোরসেস ফুড এন্ড ড্রাগ ল্যাবরেটরির উপ অধিনায়কের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। ঐতিহ্যবাহী এই ইউনিটটি সেনা, নৌ,বিমান বাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহারকৃত সকল খাদ্যসামগ্রী এবং ড্রাগ তথা ওষুধ পথ্য পরীক্ষা - নিরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযুক্ততা/ অনুপযুক্ততা নিরুপন করে।
এর আগে ছিলেন আর্মড ফোরসেস মেডিকেল কলেজএ ।
ওয়েস্টার্ন সাহারায় শান্তিরক্ষী হিসেবে সফলভাবে এক বছরের কাজ শেষে আর্মড ফোরসেস মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন।
আপনার মতামত দিন: