Ameen Qudir

Published:
2017-02-20 18:21:44 BdST

একজন ডাক্তার ম্যাজিস্ট্রেট প্রমাণ করলেন কিভাবে ভূয়া ও অপচিকিৎসা নির্মূল করতে হয়


 


আহির ফা হিয়ান বুবকা
______________________

স্বাস্থ্য প্রশাসন যদি ডাক্তার প্রফেশনালদের হাতে থাকে , তবেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ লালিতম স্বপ্ন মোতাবেক ঘরে ঘরে   সবার জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়া দেয়া সম্ভব।

এজন্য স্বাস্থ্য সেক্টরকে ডাক্তারদের হাতে দেয়ার কোন বিকল্প নেই।

একাজ করা গেলে দেশ থেকে ভুয়া ডাক্তারদের উৎপাত নির্মূল হবে। কোনরকম অপচিকিৎসা চলবে না।

ডাক্তাররাই জানেন, কোনটি সঠিক চিকিৎসা । আর কোনটি ভূয়া।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিকের মানবসেবী কর্মকান্ড ও অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান ইতোমধ্যেই বগুড়াসহ তার কর্মস্থল সমুহে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করেছে। তিনি এখন অপচিকিৎসা রোধের নজীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক একজন সৎ ও নির্লোভ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তার সততামূলক তৎপরতা ভূয়া চিকিৎসাকে নির্মূল করে দিয়েছে।
একদল অসৎ সংবাদকর্মীর অপতৎপরতাও তাকে কাজে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করতে পারে নি।
এখানে ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিকের সৎ সাহসী কর্মকান্ডের কিছু খবর নমুনা হিসেবে দেয়া হল।

_______________


বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড


বগুড়া শহরের মফিজ পাগলামোড় অবস্থিত ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে আশরাফ নামে একজন ভুয়া চিকিৎসককে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।



পরে আদালত তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদ‍ণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

২০ সেপ্টেম্বরসন্ধ্যায় জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।



নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক জানান, তিনি ডিপ্লোমাধারী একজন পল্লী চিকিৎসক। কিন্তু নিজেকে বড় চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন। রোগী প্রতি ৪০০-৫০০ টাকা করে ভিজিট আদায় করতেন।

মিথ্যা পরিচয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার করার জন্য তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয় বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ বিচারক।

অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন র‍্যাব-১২ সদস্যরা।

 _________________

 

বগুড়া শহরের দুই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার দায়ে ক্লিনিকের মালিক, ভুয়া চিকিৎসক ও আয়াকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১৯ ডিসেম্বর বিকেলে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এতে সহযোগিতা করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১২) সদস্যরা।

ডা. তায়েব-উর-রহমান আশিক জানান, মোমেনা নার্সিং হোমে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও অ্যাপ্রোন পরে নার্সের দায়িত্ব পালন করছিলেন আয়া।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। পরে তাদের দু‘জনকে ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা ও প্রতারণার দায়ে মালিক আব্দুল মান্নানকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

অপরদিকে, শাপলা ক্লিনিকে ২০০২ সাল থেকে মঞ্জু আক্তার বেগম নামে একজন প্যারামেডিকেল চিকিৎসক নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চেম্বার সাজিয়ে রোগী দেখছিলেন। অভিযানকালে ক্লিনিকে ৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করায় তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. সাজ্জাদুল করিম, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শরীফুল ইসলাম ও পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী উপস্থিত ছিলেন।

____________________________

এসব নজির ডাক্তারদের হাতে স্বাস্থ্য সেক্টরের ম্যাজিস্ট্রেসী দিলেই সম্ভব।

দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে , ডাক্তারদের হাতে স্বাস্থ্য প্রশাসন সপে দিয়ে সর্বস্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হবে।
যেখানে সব স্তরে মানুষ আধুনিক সেবা পাবে।

_________________________

 

লেখক আহির ফা হিয়ান বুবকা। নির্বাহী সম্পাদক, ডাক্তার প্রতিদিন।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়