Ameen Qudir
Published:2018-12-06 00:05:29 BdST
' শিক্ষকদের অমানবিক আচরনের সব থেকে বেশী সাফারার মেডিকেল শিক্ষার্থীরা'
ডা. নাসিমুন নাহার মিম্ মি
____________________________
অবশ্যই শিক্ষকদের ভুল ছিল। কখনোই কোন অবস্থাতেই সন্তানের সামনে বাবা মা কে অপমান করা গ্রহণযোগ্য না। অবশ্যই দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আর স্কুল কলেজসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবার আগে শিক্ষকদের মানসিক সুস্হতা এবং সহ্য ক্ষমতার টেষ্ট নেয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। নিয়মিত বিরতিতে তা আপডেট করার ব্যবস্থাও নেওয়া হোক।
একজন মেডিকেল পার্সোনাল হিসেবে এটাও বলতে চাই---দুঃখজনক সত্য হচ্ছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সবথেকে বেশী সাফারার শিক্ষকদের অমানবিক আচরনের। বিস্তারিত জানতে হলে যেকোন মেডিকেল কলেজে স্পেশালী বেসরকারী মেডিকেল কলেজের আইটেম থেকে প্রফেশনাল পরীক্ষার ভাইভা চলার সময়ে এক্সাম বোর্ডে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ফুটেজ কালেক্ট করে দেখতে পারে কর্তৃপক্ষ । অবশ্যই সব শিক্ষক একরকম নন।
তবে পাশাপাশি আরেকটা বিষয় আমি এড করতে চাই--- ক্লাস নাইনের বাচ্চার হাতে মোবাইল তাও স্কুল টাইমে এই ব্যাপারটাও একদম সঠিক না।
স্কুলে যেতে শুরু করেনি এমন শিশুদেরও এখন দেখতে পাই পার্সোনাল মোবাইলের( স্মার্ট ফোনের !) মালিক হিসেবে !
হুমম মানছি বাবা মা দুজনেই এখন চাকরি করছে বলে যোগাযোগ রক্ষার জন্য সহজ মাধ্যম মোবাইল। তারপরও #কিন্তু থেকে যায়। মোবাইল, ইন্টারনেট সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছি আমরাই। ফলে এসবের আগ্রাসনের ফলাফলটাও ভোগ করছে পরিবার ।
আমরা অভিভাবকরাও কি বুঝে/না বুঝে অনেক অন্যায়ের পথ খুলে দিচ্ছি না সন্তানের সামনে ? একটু মনে হয় ভেবে দেখার দরকার আছে আমাদেরও। প্যারেন্টিং এর দায়ভার এড়ানোর সুযোগ নেই কিছুতেই।
_________________________
ডা. নাসিমুন নাহার মিম্ মি । সুলেখক।
আপনার মতামত দিন: