Ameen Qudir

Published:
2018-04-07 16:18:38 BdST

'হে প্রিয় শিক্ষক ,ফেল করানোর আগে ঐ ডাক্তার-পরীক্ষার্থীর মাঝে নিজের সন্তানকে খুঁজুন'


নিষ্পাপ মুখ এই তরুণের। বাংলাদেশের অগ্রগন্য মেধাবী। তারপরও মেডিকেলে পড়তে গিয়ে কেন জীবন থেকে ছুটি নিতে হল। ফাইল ছবি।


ডা. শরীফুল আলম রুবেল
_____________________________

যে ছেলে সারা বাংলাদেশের মেধাবীদের মাঝে একজন ছিল।
যে কী না,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্য হয়েছিল।
যে আনন্দমিছিলে সবার সাথে গলা ফাটিয়ে,হাত তালি দিয়ে খুশী উদযাপন করেছিল।
সেই মেধাবী,ভবিষ্যত ডাক্তারই আত্মহত্যা করল !

“সুসাইড” প্রতিরোধে বাংলাদেশে আইন আছে; বাংলাদেশ পেনাল কোড ১৮৬০ এর সেকশন ৩০৯ এ “সুসাইড এটেম্পট এর জন্য ১ বছরের কারাবাস আর অর্থদণ্ডের” উল্লেখ আছে। সেকশন ৩০৬ এ “সুসাইড এ সহায়তাকারী বা প্ররোচককে ১০ বছর কারাবাসের শাস্তি ও অর্থদণ্ডের” কথা বলা আছে।
কিন্তু আইন তো জীবিতের জন্য,মৃতের জন্য নয়।

তাঁর ময়না তদন্তে “টিপিক্যাল হেংগিং” এর সব লক্ষণ পাওয়া যাবে;বইপত্র ঘাঁটলে হয়তো অভিমানের আরও কারণ জানা যাবে। বন্ধুবান্ধব-পরিচিতরা এই প্রফযুদ্ধে পরাজিত কমরেডকে বাড়ীতে মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিবেন। বাবা কবরে শুইয়ে দিতে যেয়ে হয়তো ভাববেন, “যদি ছেলেটাকে মেডিকেলে না পাঠাতাম” ; মা হয়তো বা অজ্ঞান হবেন বারেবারে,আর সাহসী ছেলের এমন রাগের কারণ খুঁজবেন।

এ কেমন প্রথা,
তোমাকে একবারে পাশ দেয়া যাবে না !
আমার মতো জ্ঞানী না হলে, ফেল করাব বারবার,
হে প্রিয় শিক্ষক মহোদয়,ফেল দেয়ার আগে ঐ পরীক্ষার্থীর মাঝে নিজের সন্তানকে খুঁজুন,
শিক্ষার্থীর জ্ঞান আপনার চেয়ে বেশী হবার কথা নয়,
তাইতো আপনি শিক্ষক,আপনি জ্ঞানী,আপনি অভিজ্ঞ।
____________________________

ডা. শরীফুল আলম রুবেল । চিকিৎসক। আলোকচিত্রী ও লেখক।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়