Ameen Qudir

Published:
2016-11-28 18:57:52 BdST

মুখরোচক অপপ্রচারের জবাব


 

 

ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী
___________________________________


ইদানিং চিকিৎসক সমাজ কতৃক প্রত্যাখাত, দুর্নীতির মহানায়ক দের নিয়ে গঠিত একটি পক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক কল্পকাহিনির অবতারণা করছেন, যা দেখে চট্টগ্রামের সচেতন চিকিৎসক সমাজ বিদ্রুপের হাসি হাসছেন,

প্রকৃত পক্ষে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে এদের অবদান কতটুকু তা চট্টগ্রামের চিকিৎসকে সমাজ ভাল করেই জানেন, চট্রগ্রাম বিএমএ নির্বাচনে স্বাচিপ প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারনের চিকিৎসা সেবা বৃদ্বি এবং মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নয়নের জন্য একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ও আর একটি সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবী ও আন্দোলন শুরু করে বিএমএ, চমেক সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস স্যার, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম আশরাফ আলী স্যার দের একটা টীম প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করেন যা সরকারের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করেন,

পরবর্তীতে মানণীয়া প্রধান মন্ত্রী ঘোষনা দেন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয় রুপান্তর করবেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি খসড়া আইন তৈরী করে বিএমএ কেন্দ্রিয় কমিটি ও চমেক অধ্যক্ষ বরাবর পাঠান, মতামতের জন্য, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেনী, ও নার্সেস এসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী আন্দোলন শুর করে, যা পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিএমএ, নার্সেস, ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করেন।

 


মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে চট্টগ্রামে ২য় কোন সরকারি হাসপাতাল না থাকার কারনে গরীব রোগীদের স্বাস্হ্য সেবার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি থেকে রুপান্তর শব্দ টি বাদ দিয়ে, নুতন একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপনের ঘোষনা দেন, প্রকৃতপক্ষে মানণীয়া প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা র পরই চট্রগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্ন বাস্তবে রুপ পেতে শুরু করে, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবী বা আন্দোলনর ফসল নয় চট্রগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর নগর আওয়ামীলীগ লালদীঘির মাঠে একটি জনসভা করেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপক্ষে, প্রকৃত পক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, বিএমএ র দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্হ্যসেবা ও মেডিকেল শিক্ষা উন্নয়ন খাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দুরদর্শী চিন্তাধারার ফসল।


রাজশাহী তে কোন আন্দোলন হয়নি, সেখানে কেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়?
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নীতিরই একটি অংশ, ইতামধ্যে মানণীয় প্রধান মন্ত্রী প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিয়েছেন।

 


উল্লেখ্য ২০১৫ সালে, চমেক শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তন এ জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মাননীয় স্বাস্হ্য মন্ত্রী ও গনপূর্ত মন্ত্রী, মাননীয মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্হিতিতে অধ্যাপক এস এম আশরাফ আলি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি স্লাইড শো উপস্হাপন করেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে, গত ২ জুলাই ২০১৬, মাননীয় স্বাস্হ্য মন্ত্রী মো নাসিম, গনপুর্ত মন্ত্রী ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্বাচিপের ইফতারের মাহফিলের পূর্বে স্টাফ কোয়ার্রটার সংলগ্ন খালি জায়গা ও অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করেন এবং কিং অব চিটাগাং এ মেডিকেল কলেজের স্টাফ কোয়ারটার সংলগ্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে ঘোষনা দেন যা ৩ জুলাই প্রতিটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,
এখানে উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বিএমএ কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্হান সম্পর্কে কোন প্রকার দাবী করে নাই, মানণীয় মন্ত্রী দ্বয় ২০০০ হাজার চিকিৎসকের উপস্হিতিতে ঘোষনা দিয়েছেন।

_________________________

 

 

লেখক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী
প্রখ্যাত চিকিৎসক নেতা। লোকদরদী ডাক্তার।

আপনার মতামত দিন:


মেডিক্যাল ক্যাম্প এর জনপ্রিয়