Ameen Qudir
Published:2017-08-10 01:52:41 BdST
যখন বেকার ছিলাম
ডা. শফিউর রহমান
_______________________________
যখন বেকার ছিলাম-
এক ক্লোজ ফ্রেন্ডের কাছে কিছু টাকা পাই অনেকদিন হল। তো চাইলেই বলে “দিবো তো বলছি”।
কিন্তু কবে দিবে এমন কোন তারিখ নেই। হ্যালির ধূমকেতুরও নির্দিষ্ট একটা সময় আছে দেখা দেবার, সেটা ৭৬ হোক কিংবা ৮৬ বছর হোক। কিন্তু তার টাকা দেবার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।
যাই হোক শেষমেশ একদিন বলে চাকুরী হলে প্রথম মাসের স্যালারি পেয়েই আমার টাকা দিয়ে দিবে।
যাক অন্তত একটু আশার কথা শুনলাম। ভালোবাসার প্রস্তাব পাশ না হলেও অন্তত মানুষটির হাতে প্রস্তাবনামা পৌঁছেছে টাইপের অবস্থা।
অনেক দোয়া করলাম, আল্লাহ আল্লাহ করলাম তার চাকুরীর জন্য। এমনকি যদি পারি তবে তার সিভি নিয়ে অফিসে অফিসে ঘুরতেও রাজি আছি।
অবশেষে পূর্ণিমার চাঁদ হাসল, সূর্য তার ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ রোদ নিয়ে এল, হাঁস মুরগীরা ডিম দিল আর কোকিলরা রেন্ট্রি গাছের ডালে বসে গান গাইতে গাইতে জানান দিল বন্ধু চাকুরী পেয়েছে।
আমার খুশিতে সেদিন এশিয়া মহাদেশে সুখের মাত্রা ৩০ ভাগ বেড়ে গেল।
বন্ধু কথা দিল বেতন পেয়েই আমাকে টাকা দিয়ে দিবে। আমি বিশ্বাস করে দিন গুনি রাত গুনি এমনকি সেই টাকা দিয়ে কি কি করবো তাও প্ল্যান করতেছি।
প্রথম দিন অফিস কেমন গেল তাও জিগ্যেস করলাম তাকে ফোন দিয়ে। আসলে এখন একটু এক্সট্রা খাতির রাখা আর কি।
তার চাকুরীর দুই দিন গেল। তিন নাম্বার দিনের শুরুতেই আমি ঠিক করলাম একটা কাউন্টডাউন শুরু করে দেই।
২৭ দিন ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ……
কিন্তু সুখের বিপরীতে দুঃখ থাকে, আদরের বিপরীতে উশটা থাকে।
সে তিন নাম্বার দিন ফোন দিয়ে বলল দোস্ত চাকুরী টা ভাল লাগছিল না, দুই দিন চাকুরি করেই ছেড়ে দিলাম। ভাল লাগছেনা ?????
চতুর্থ দিনে শুনি--------------চাকুরী নিয়ে সে সৌদি আরবে !!!!
_______________________________
ডা. শফিউর রহমান
Studied at Rajshahi Medical College
Studied at NIPSOM
আপনার মতামত দিন: