Ameen Qudir

Published:
2017-03-05 23:40:25 BdST

আত্মরক্ষা বিষয়ক আইন:বাংলাদেশ প্রেক্ষিত: ডাক্তারদের অবশ্যপাঠ্য


 



কাজী ওয়াসীমুল হক
___________________________________

বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন আইন ব্যাবস্থায়, তা হোক সেটা মাল্টি বিলিয়ন ডলার কোম্পানী সামলানো উন্নত আইন বা মুরগী চুরি সামলানোর মত প্রাথমিক আইন, একটা ব্যাপার থাকবেই থাকবে, আর সেটা হচ্ছে আত্মরক্ষা।


বাংলাদেশের আইনেও আত্মরক্ষার ব্যাপারটা আছে, শুধু আছে বললে ভুল হবে, বরং বলা উচিত যথেষ্ট ভালোভাবে আছে, তবে বাঙ্গালীর আত্মরক্ষা বিষয়ক জ্ঞান যেহেতু সচরাচর বাংলা সিনেমা নির্ভর (আইন হাতে তুলে নিবেন না চৌধুরী সাহেব! বা সম্ভাব্য ধর্ষক-খুনীকে হত্যার পর নায়ক-নায়িকার জেল) কাজেই এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আইনটি যথাযথ ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষনের দাবী রাখে।


এই লেখাতে আপনাদের জন্য আত্মরক্ষার বিষয়টি বাংলাদেশের আইনে ব্যাখ্যা করবো, সাধারনতঃ আমি যেভাবে লিখি সেরকম সহজ ভাষায়, কট্মটে বা প্যাচানো ওকালতি ভাষায় নয়।
ব্যাক্তিগত আত্মরক্ষার বিষয়টির বর্ননা শুরু হয়েছে দন্ডবিধির ৯৬ ধারা হতে, যেখানে আছে_

Things done in private defence 96. Nothing is an offence which is done in the exercise of the right of private defence.

সোজা কথায় বলতে গেলে নিজের ব্যাক্তিগত আত্মরক্ষার জন্য যে যাই কিছু করুক না কেন, সেটা অপরাধ হবেনা, আরো সহজ করে বলতে গেলে বলতে গেলে বলতে হয় ব্যাক্তিগত আত্মরক্ষার জন্য আপনি লাথি-ঘুষি-কিল-চর-কোপানো-গুলি-বোমা যা খুশী তাই প্রয়োগ করতে পারেন। মাস্তানদের ভাষায় বলি_ আত্মরক্ষার জন্য অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কাউকে হত্যা করলে অবৈধ অস্ত্র রাখার জন্য শাস্তি পেতে পারেন, তবে হত্যাটা যে ‘আত্মরক্ষা’র জন্য করা, সেটা প্রমান করতে পারলে হত্যার শাস্তি হবে না।

হুম, এ পর্যন্ত পড়ে মনে হচ্ছেনা যে বাংলাদেশী আইন বড়ই একচোখা? কেবল নিজেকে নিয়ে টানাটানি করে, স্বার্থপর টাইপ ব্যাপার? আসলে কিন্তু তা নয়, দেখুন এই আইন কি বলে_

Right of private defence of the body and of property 97. Every person has a right, subject to the restrictions contained in section 99, to defend
Firstly.-His own body, and the body of any other person against any offence affecting the human body;
Secondly.-The property, whether moveable or immovable, of himself or of any other person, against any act which is an offence falling under the definition of theft, robbery, mischief or criminal trespass, or which is an attempt to commit theft, robbery, mischief or criminal trespass.

আইনটা ব্রিটিশদের বানানোতো, কাজেই শুরুই হয়েছে দড়ি দিয়ে বেধে, অর্থাৎ ধারা ৯৯ এই আইনে যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বলা আছে (এটা নিয়ে পরে আলোচনা করা হয়েছে) সেসব সীমাবদ্ধতা মেনে যে কারো অধিকার থাকবে নিজের এবং অন্যের দেহ (এবং সম্পত্তি, পরে আলোচিত) আক্রান্ত হয় এমন কোন কিছু হতে আত্মরক্ষার।
হুম কি বুঝলেন? মানে হচ্ছে নিজেকে তো রক্ষা করতে পারবেনই, আপনার সামনে যদি কোন মেয়ে আক্রান্ত হয় (আরো পরিস্কার করে বলতে গেলে কোন মেয়ের ‘দেহ’ যদি আক্রান্ত হয়) তাহলে আপনি তাকেও আইনসঙ্গতভাবে রক্ষা করতে পারবেন।

সহজে মনে রাখার জন্য মেয়েদের কথা বললাম, ইচ্ছা হলে আপনি ইয়া ভূড়িদার এবং লোমশ কোন পুরুষের ‘দেহ’ ও রক্ষা করতে পারেন (আছেন কোন ভাই?), সেটাও আত্মরক্ষার আইনের মধ্যেই পরবে। ওহ! বাই দি ওয়ে, খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা, এখানে কেবল ‘দেহের’ কথাই বলা হয়েছে (হুম! আইনটির লেখক বেচে থাকলে শিওর আইয়ুব বাচ্চুর ফ্যান হতেন, ‘মন চাইলে মন পাবে, দেহ চাইলে দেহ’, লা লা লা, সরি অন্যদিকে চলে যাচ্ছি, বেগ ইয়োর পার্ডন!), বাই দি ওয়ে, আইনের ফাকটা খেয়াল করেছেন? ধরুন আপনার গার্লফ্রেন্ডকে কেউ প্রকাশ্য রাস্তায় সেইরাম গালাগালি করছে (এক্সকে করলে চেপে যান, নো এ্যকশন নিডেড!), আপনি খেপে ব্যাটাকে চটকনা দিলেন, ওয়েল, এইরূপ ‘চটকনা’ কিন্তু ‘আত্মরক্ষা’র মধ্যে পড়বে না, কারন আপনার গার্লফ্রেন্ডের ‘সম্মান’ আক্রান্ত হয়েছিল, ‘দেহ’ না!
এনিওয়ে, ব্রিটিশদের বানানো আইনতো, বেনিয়া জাত, দেহের কথা আছে আর মালের (থুড়ি! মাল বলতে তো আবার ইয়ে টাইপ কিছু বুঝবেন না যেন!) কথা থাকবে না? আছে, সেটার কথাও আছে, কেবল আপনার বা অন্যের দেহ না, আইন আপনাকে নিজের এবং অন্যের সম্পত্তি রক্ষা করার অধিকারও দিয়েছে, সেটাও আত্মরক্ষার আইনের মধ্যেই পড়বে, সব ক্ষেত্রে না অবশ্য, আইন আপনাকে অধিকার দিয়েছে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আপনার বা অন্যের (নির্দিষ্ট করে দেয়নি, যে কারো হতে পারে, এমনকি আপনার এক্স গার্লফ্রেন্ডের বর্তমান বয়ফ্রেন্ডেরও হতে পারে!) সম্পত্তি রক্ষার, ব্যাপারটা একটু আজব শোনায় কিন্তু কিন্তু আইনতঃ সম্পত্তি রক্ষা করাও কিন্তু ‘আত্মরক্ষার’ মধ্যেই পড়ে!
তো কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি আপনার (এবং চাইলে আপনা শত্রুরও) সম্পত্তি রক্ষা করতে পারবেন? সেসব হচ্ছে_ চুরি, দস্যুতা এবং অনিষ্ট বা অপরাধ্মূলক অনধিকার প্রবেশ বা তার উদ্যোগ। আইনে এর সব কয়টির নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া আছে এবং বিচারকালে কোর্ট সেভাবেই বিবেচনা করবেন।
এর বাইরে কিছু হলে সম্পত্তি রক্ষা করতে গেলে সেটা কিন্তু আবার ‘আত্মরক্ষা’ বলে গন্য হবেনা। মাইন্ড ইট!
এবার আত্মরক্ষার আইনের একটা প্যাচের কথা বলি, কিছু শ্রেনীর লোক যাই করুক না কেন, বাংলাদেশের আইনে সেটা অপরাধ না (আজ্ঞে আমি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের কথা বলছি না!), যেমন ধরুন_ বাংলাদেশের আইন মতে ৯ বছর বয়সের নিচে কোন ব্যাক্তি যাই করুক না কেন, সেটা কোন অপরাধ নয় (দন্ডবিধিঃ ধারা-৮২) ৯-১২ বছরের হলেও একই অবস্থা, যদি শিশুটি অপরাধের প্রকৃতি এবং ফলাফল বুঝতে না পারে (ধারা-৮৩), অথবা কাজটা করার সময় কাজটার প্রকৃতি বোঝার মত প্রকৃতস্থঃ অবস্থা যদি কারো না থাকে (পাগলা কেস, ধারা-৮৪), নিজের অজ্ঞাতসারে কেউ মাল খেয়ে টাল হয়ে কিছু করে ফেললে (ধারা-৮৫, ধারা-৮৬ আর আলোচনা করলাম না, উৎসাহীরা দেখে নিতে পারেন), এই আইনটা দেখুন_

Right of private defence against the act of a person of unsound mind, etc 98. When an act, which would otherwise be a certain offence is not that offence, by reason of the youth, the want of maturity of understanding, the unsoundness of mind or the intoxication of the person doing that act, or by reason of any misconception on the part of that person, every person has the same right of private defence against that act which he would have if the act were that offence.
Illustrations
(a) Z, under the influence of madness, attempts to kill A; Z is guilty of no offence. But A has the same right of private defence which he would have if Z were sane.
(b) A enters by night a house which he is legally entitled to enter. Z, in good faith, taking A for a house-breaker, attacks A. Here Z, by attacking A under this misconception, commits no offence. But A has the same right of private defence against Z, which he would have if Z were not acting under that misconception.

মানে হচ্ছে যারা আপনাকে (বা অন্যকে) বা আপনার (বা অন্যের) সম্পত্তি আক্রমন করলে তাদের কোন অপরাধ হবেনা, আপনি তাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করলে আপনারও কোন অপরাধ হবেনা।
আইনটার পরিধি কিন্তু আসলে ব্যাপক, মনে করুন ৯ বছরের চেয়ে ছোট একটা শিশু যদি আপনাকে দা নিয়ে কোপাতে আসে, আপনি আত্মরক্ষার জন্য তার মাথায় বাড়িও দিলেও তাতে আপনার কোন অপরাধ হবেনা, আপনাকে কুপিয়ে মারলে যেমন বাচ্চাটির কোন অপরাধ হতনা, আত্মরক্ষার জন্য আপনি তার মাথায় বাড়ি দিলে আপনারও কোন অপরাধ হবেনা। প্রায় সময় দেখবেন অনেকে কোন হিরোইনচি বা মাতালের গায়ে হাত তুলতে ভয় পায়, মনে করে এদের বিরুদ্ধে হয়তো আত্মরক্ষার কোন বিধান নেই, আসলে আছে, খুব ভালমতই আছে!
এবার আসি এই আইনের বিষফোঁড়ায়, জী উপরে ধারা-৯৯ এর কথা বলেছিলাম না? সেটা, এটাকে এই আইনের কলংক বলা চলে, এনিওয়ে, আছে যখন, করার কিছু নেই, মানতেই হবে, দেখেন কি বলে এই আইন_

Acts against which there is no right private defence
99. There is no right of private defence against an act which does not reasonably cause the apprehension of death or of grievous hurt, if done, or attempted to be done by a public servant acting in good faith under colour of his office, though that act may not be strictly justifiable by law.
There is no right of private defence against an act which does not reasonably cause the apprehension of death or of grievous hurt, if done, or attempted to be done, by the direction of a public servant acting in good faith under colour of his office, though that act may not be strictly justifiable by law.
There is no right of private defence in cases in which there is time to have recourse to the protection of the public authorities.

সরি, আইনটা সরাসরি ইংলিশে দিচ্ছি, আসলে বাংলার চেয়ে ইংলিশ আমার জন্য সোজা হয়, সোজা কথায় বলতে গেলে কোন সরকারী কর্মচারী যদি যদি সরল বিশ্বাসে, আইনগতভাবে করার অধিকার আছে মনে করে কিছু করে বসে, আর সেটা যদি মৃত্যু বা গুরুতর দৈহিক জখমের আশংকা না জাগায়, কড়াকড়ি ভাবে ধরলে যেটা ঠিক আইনসংগত নাও হতে পারে, তাহলে সেই কাজের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার আইন প্রযোজ্য নয়।
কেবল তাইনা, ব্যাপারটা সরকারী কর্মচারীদের চামচা (থুড়ি, মানে তাদের কথা মত যারা কাজ করে) তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
বেশ একটু ইয়ে টাইপ ব্যাপার হয়ে গেলনা? এটা আসলে অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়, মনে করুন কোন জায়গায় বেশ হুরাহুরি চলছে, পুলিশ জনগনকে লাইনে আনার জন্য ‘মৃদু’ লাঠি চার্জ করলো (পিডায়া ফাডায়া দেবার কথা বলছি না!), সেটার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার (লাইক তাদেরকেও উলটো পিটিয়ে খালাস পাওয়া) সুবিধা পাবেন না বলেই মনে হচ্ছে, আবার ধরুন পুলিশ বা বিআরটির কোন কর্মকর্তা যদি রাস্তায় আপনার গাড়ী থামিয়ে সেটাকে ‘টো’ করে নিয়ে যায়, তাহলে আর যাই পারেন না কেন, প্রতিরোধ করে সেটাকে আত্মরক্ষা বলে চালাতে পারবেন না। আসলে এই ধারাটি এত ব্যাপক যে আস্ত একখানা বই লেখা যাই, আপনাদের জাস্ট জানিয়ে রাখলাম যাতে আপনারা সময়ে বুঝে নিতে পারেন কোন কাজ আত্মরক্ষার মধ্যে পড়বে আর কোনটা না।
তো আপনি আত্মরক্ষার জন্য কতখানি ঠিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন? সত্যি কথা বলতে আইনে বর্নিত কিছু অবস্থায় আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কারো মৃত্যুও ঘটাতে পারেন (আপনার পকেটে হাত দেয়া মাত্র কাউকে গুলি করে ঝাঁজরা করে দেয়ার কল্পনাটা আপাতত অফ রাখেন, আমি নিজেও সেই উদ্দেশ্যে আইন পড়েছিলাম, তারপর দেখলাম আইনে সেটা সাপোর্ট করেনা, দুঃখজনক পরিস্থিতি!)।
বাংলা ছায়াছবিতে যাই দেখাক না কেন, নিম্নবর্নিত অবস্থাসমূহে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কারো মৃত্যু ঘটালেও আইন আপনাকে কোন শাস্তি দেবেনা, কঠোর ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় এসব ক্ষেত্রে কারো মৃত্যু ঘটানো আপনার আইনগত অধিকার!
আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে যেসব ক্ষেত্রে কারো মৃত্যু ঘটালে আইন আপনাকে বিন্দুমাত্র শাস্তি দেবেনা সেসব হচ্ছে_
ক) এমন কোন আক্রমন যাতে যুক্তিসঙ্গত ভাবে মনে হয় মৃত্যুই এর পরিনাম।
খ) এমন কোন আক্রমন যাতে যুক্তিসঙ্গত ভাবে মনে হয় গুরুতর আঘাত এর পরিনাম।
গ) ধর্ষনের উদ্দেশ্যে আক্রমন (বাংলা ছবির পরিচালকদের ফাসী চাই! জী, কোন পুরুষ যদি এই উদ্দেশ্যে আক্রমন করে, নির্দ্বিধায় তাকে হত্যা করতে পারেন)।
ঘ) অপ্রাকৃতিক কাম লালসা চরিতার্থ করনের জন্য (হুদাই বেশী সাহিত্যিক ভাব নিছে, এর মানে হচ্ছে এনাল সেক্স করার জন্য যদি কেউ আক্রমন করে, এটা নারী-পুরুষ দুজনের জন্যই প্রযোজ্য, তবে এখানে একটা ফাক দেখতে পাচ্ছি, ‘ওরাল সেক্স’ কি প্রাকৃতিক না অপ্রাকৃতিক বলে বিবেচিত হবে?)
ঙ) ছেলে ধরা বা নারী হরনের উদ্দেশ্যে আক্রমন (বাজী ধরে বলতে পারি এই অংশটা খুব কম লোকেই জানে বা ধারনা রাখে, জী আপনাকে বা আপনার সামনে যদি কোন শিশু না নারীকে অপহরন করতে যায়, আপনি অপহরণকারীদের হত্যা করতে পারবেন)
চ) যদি অবৈধভাবে আটক রাখার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে, যাতে আতঙ্ক সৃষ্টি হবার কারন থাকে যে এভাবে আটক করলে সরকারী কতৃপক্ষের কাছে (পড়ুন পুলিশ, র‍্যাব ইত্যাদি) আশ্রয় নেয়া যাবেনা।
উপরের ছয়টি পরিস্থিতিতে আপনি আত্মরক্ষার জন্য নির্দ্বিধায় যে কাউকে খুশী, যত জনকে খুশী, হত্যা করতে পারবেন, কিন্তু এসব পরিস্থিতি যদি না থাকে, তাহলে আত্মরক্ষার নামে কাউকে স্বেচ্ছায় হত্যা করে পার পাবেন না।
সেকশনটা দিলাম, মিলিয়ে নিন_

When the right of private defence of the body extends to causing death
100. The right of private defence of the body extends, under the restrictions mentioned in the last preceding section, to the voluntary causing of death or of any other harm to the assailant, if the offence which occasions the exercise of the right be of any of the descriptions hereinafter enumerated, namely:-
Firstly.-Such an assault as may reasonably cause the apprehension that death will otherwise be the consequence of such assault;
Secondly.-Such an assault as may reasonably cause the apprehension that grievous hurt will otherwise be the consequence of such assault;
Thirdly.-An assault with the intention of committing rape;
Fourthly.-An assault with the intention of gratifying unnatural lust;
Fifthly.-An assault with the intention of kidnapping or abducting;
Sixthly.-An assault with the intention of wrongfully confining a person, under circumstances which may reasonably cause him to apprehend that he will be unable to have recourse to the public authorities for his release.

উপরের ছয়টি পরিস্থিতি বাদে (৯৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে) আপনি আত্মরক্ষার জন্য হত্যা বাদে যেকোন পদক্ষেপ নিতে পারেন।

When such right extends to causing any harm other than death
101. If the offence be not of any of the descriptions enumerated in the last preceding section, the right of private defence of the body does not extend to the voluntary causing of death to the assailant, but does extend, under the restrictions mentioned in section 99 to the voluntary causing to the assailant of any harm other than death.

তো আপনার আত্মরক্ষার অধিকার কখন থেকে শুরু হবে? যখন থেকে চেষ্টা বা হুমকির কারনে দেহের প্রতি ঝুকির সৃষ্টি হয়েছে বলে যৌক্তিক ভাবে মনে হবে তখন থেকে, এবং যতক্ষন এই ধারনা বজকায় থাকবে, আত্মরক্ষার অধিকারও বজায় থাকবে।

Commencement and continuance of the right of private defence of the body
102. The right of private defence of the body commences as soon as a reasonable apprehension of danger to the body arises from an attempt or threat to commit the offence though the offence may not have been committed; and it continues as long as such, apprehension of danger to the body continues.

এতক্ষন দেহ নিয়ে বকবক করলাম, আপনারা কি জানেন কেবল দেহ না, সম্পত্তি রক্ষার জন্যও কারো জান নেয়া সম্পূর্ন জায়েজ?
দন্ডবিধির ১০৩ ধারা অনুসারে, ৯৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্নিত অবস্থায় ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো মৃত্যু ঘটালে সেটা ‘আত্মরক্ষা’ হিসেবে গন্য হবে_
ক) দস্যুতা
খ) রাত্রিবেলায় সিধেল চুরি (ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং, দিনের বেলায় হলে হবে না!)
গ) বাসগৃহ বা গোডাউন হিসেবে ব্যাবহৃত হয় এমন বাড়ী বা জাহাজে আগুনের সাহায্যে অনুষ্ঠিত ক্ষতি
ঘ) এমনভাবে চুরি, ক্ষতি বা অনঅধিকার গৃহ প্রবেশ যাতে যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে হতে পারে যে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ না করলে মৃত্যু বা গুরুতর যখমই হবে পরিনতি
মূল আইনঃ

When the right of private defence of property extends to causing death
103. The right of private defence of property extends, under the restrictions mentioned in section 99, to the voluntary causing of death or of any other harm to the wrong-doer, if the offence, the committing of which, or the attempting to commit which, occasions the exercise of the right, be an offence of any of the descriptions hereinafter enumerated, namely:-
Firstly.-Robbery;
Secondly.-House-breaking by night;
Thirdly.-Mischief by fire committed on any building, tent or vessel, which building, tent or vessel is used as a human dwelling or as a place for the custody of property;
Fourthly.-Theft, mischief or house-trespass, under such circumstances as may reasonably cause apprehension that death or grievous hurt will be the consequence, if such right of private defence is not exercised;

আপনাদের অনেকের কাছেই মনে হবেনা কিন্তু ধারাটা আসলে যথেষ্ট ইণ্টারেস্টিং, আমার জমি কেউ দখল করতে আসলেই তাকে গুলি করে ঝাঁজরা করে ফেলতে পারবো না, অন্ততঃ সেই পার্টি যদি জীবন সংহারী টাইপ অস্র-সস্র না নিয়ে আসে, ধরুন বেড়াতে গিয়েছি, দুপুরে ঘরে ফিরে দেখি চোর বাবাজী পালাচ্ছে, তাকে গুলি করে মেরে ‘আত্মরক্ষা’ বলে চালাতে পারবো না, আমি মাছের ঘেরের মালিক, টের পেলাম ঘেরের অপর মাথায় কিছু লোক জাল ফেলে মাছ চুরি করছে, জানালা দিয়ে গুলি করে তাদের লাশ ফেলে দিয়ে আইনতঃ সেটাকে ‘আত্মরক্ষা’ হিসেবে জাস্টিফাই করতে পারবো না। এর চেয়েও খারাপ, মনে করুন আমি ফাকা গাড়ী পার্ক করে কিছু কিনতে গেছি, এসে দেখলাম ‘জাগ্রত জনতা’ আমার গাড়ীটাকে ‘বার্বিকিউ’ করছে, আমার কাছে স্প্যান্ডাউ মেশিন গান থাকলেও আইনত তাদের গুলি করে মারতে পারব না (এখানে একটা কিন্তু আছে, গাড়ীর ভেতর কেউ আটকে পড়লে তাকে বাচানোর জন্য আবার গনহত্যা জায়েজ!)
তো সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য কি অন্য কাউকে আঘাত করে তা আত্মরক্ষা হিসেবে দাবী করা যাবে? আইনে বলে যাবে, তবে ‘সম্পত্তি রক্ষা’ ব্যাপারটা কিন্তু আইনে সীমারেখা টেনে দেয়া আছে, কেবল চুরি, ক্ষতি বা অপরাধ্মূলক অনধিকার প্রবেশ হলে সম্পত্তি রক্ষার জন্য (৯৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে) ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায়কারীর মৃত্যু ঘটানো বাদে অন্য যেকোন ভাবে আঘাত করা চলে (জী! পিডায়া ফাডায়া ফেলা জায়েজ)

When such right extends to causing any harm other than death
104. If the offence, the committing of which, or the attempting to commit which, occasions the exercise of the right of private defence, be theft, mischief, or criminal trespass, not of any of the descriptions enumerated in the last preceding section, that right does not extend to the voluntary causing of death, but does extend, subject to the restrictions mentioned in section 99, to the voluntary causing to the wrong-doer of any harm other than death.

সম্পত্তি নিয়ে আত্মরক্ষার যে অধিকার, তার কিন্তু আবার একটা টাইম লাইন আছে, এটাকে এখানে বিসতৃত করলাম না কারন আমার সন্দেহ এটাকে বাংলায় ব্যাখ্যা করতে গেলে আরো প্যাচিয়ে ফেলবো। মূল আইনটা দিলাম_

Commencement and continuance of the right of private defence of property 105. The right of private defence of property commences when a reasonable apprehension of danger to the property commences.
The right of private defence of property against theft continues till the offender has effected his retreat with the property or either the assistance of the public authorities is obtained, or the property has been recovered.
The right of private defence of property against robbery continues as long as the offender causes or attempts to cause to any person death or hurt or wrongful restraint or as long as the fear of instant death or of instant hurt or of instant personal restraint continues.
The right of private defence of property against criminal trespass or mischief continues as long as the offender continues in the commission of criminal trespass or mischief.
The right of private defence of property against house-breaking by night continues as long as the house-trespass which has been begun by such house-breaking continues.

এই আইনে কিন্তু কোল্যাটারাল ড্যামেজের ব্যাপারটাও উল্লেখ আছে, ধরুন আপনি এমন অবস্থায় পড়লেন যে আত্মরক্ষা করতে গেলে নিরীহ কেউ মারা যেতে পারে, এক্ষেত্রে তেমন কেউ মারা গেলেও আপনার কোন শাস্তি হবেনা।

Right of private defence against deadly assault when there is risk of harm to innocent person
106. If in the exercise of the right of private defence against an assault which reasonably causes the apprehension of death, the defender be so situated that he cannot effectually exercise that right without risk of harm to an innocent person, his right of private defence extends to the running of that risk.
Illustration
A is attacked by a mob who attempt to murder him. He cannot effectually exercise his right of private defence without firing on the mob, and he cannot fire without risk of harming young children who are mingled with the mob. A commits no offence if by so firing he harms any of the children.

আমি নিশ্চিত না লেখাটা সবার জন্য সহজবোধ্য করতে পারলাম কিনা, আর কোন আইন আপনাদের খুব বেশী প্রয়োজন না হলেও এই আইন সবার জানা থাকা দরকার।
ভবিষ্যতে যদি কখনো আত্মরক্ষার জন্য ‘আইন হাতে তুলে নেবার’ প্রয়োজন হয়, নির্দ্বিধায় তুলে নিন, আত্মরক্ষার অধিকার আইন আপনাকে দিয়েই রেখেছে।
ধন্যবাদ।
______________________________

কাজী ওয়াসীমুল হক এডভোকেটসুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ । ডাক্তারপরিবারের সন্তান।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়