Dr. Aminul Islam

Published:
2022-04-16 22:39:37 BdST

বাবার খুনিকে শাস্তি দিতে আইনজীবী হয়ে লড়লেন যে মেয়ে তাকে স্যালুট


 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
_____________

বাবার খুনিকে শাস্তি দিতে আইনজীবী হয়ে লড়লেন যে মেয়ে তাকে স্যালুট
এই ঘটনা দেবে এক গুরুত্ব পূর্ণ বার্তা ।

শাগুফতা তাবাসসুম আহমেদ । আইন জীবী সেই মেয়ের আইন পড়ার ইচ্ছেই ছিলনা ।
কিন্তু বাবা কে যারা খুন করেছে এদের শাস্তি দেবার জন্য তার ধনুক ভাঙ্গা পণ ।
এরপর ১৬ বছরের লড়াই ।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে জয় এল। তার পক্ষে । তার এতদিনের সাধনা সফল হল।
শাগুফতার বাবা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ । আদালতকে ধন্যবাদ । আইনের শাসন সমুন্নত হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুজনের মৃত্যুদণ্ড আর দুজনের যাবজ্জীবন ।
এতদিন পর হলেও জয়ের আনন্দ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে আর তার স্ত্রী । সাগুফতা কেঁদে ফেললেন আদলত কক্ষেই এতদিনের প্রতীক্ষার আর লড়াইয়ের শেষে জয় পেয়ে ।
তারা আনন্দিত তবে ফাঁসী কার্যকর হলে পুরোপুরি স্বস্তি পাবেন।
আইন পড়েও তিনি চেয়েছিলেন আদালতের বাইরে কাজ । পরামর্শক বা অন্য কিছু ।
তার বাবা তাকে ব্র্যাক বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন ২০০৬ সালে আইন পড়ার তেমন ইচ্ছে ছিলনা তবে আদালতের বাইরে কাজের ইচ্ছে ছিল তার, পরামর্শক শিক্ষক বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ ।

কিন্তু সে বছর ই সেই নিদারুন ঘটনা ঘটলো । ফেব্রুয়ারি থেকে অধ্যাপক তাহের নিখোঁজ ।
দুদিন পর খোঁজ পাওয়া গেল বাড়ির অদূরে এক ম্যান হোলের ভেতরে তাঁর লাশ।
এরপর মতিহার থানায় মামলা রুজু করলেন অধ্যাপক তাহেরের ছেলে ।
ঘটনার তদন্ত হল। মার্চ মাসে ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রজু করলেন তদন্তকারী কর্ম কর্তা ।
অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তার সহকর্মী মহিউদ্দিন আর অধ্যাপকের বাড়ির কেয়ার টেকার আর কয়েকজন। প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন মহিউদ্দিন ,। পদোন্নতির জন্য এই খুন জানা গেল। তবে ২০০৬ সালে তিনি জামিন পান।
এর পর মামলা গেল হাইকোর্টে । বাবার খুনের প্রধান অভিযুক্ত বার বার ছাড়া পেয়ে যাওয়াতে সাগুফতা আইনের লড়াইয়ে ঢুকলেন ।
আদালতে গেলেন তিনি , তার মা আর স্বজন ।
চলে লড়াই , ।
কিন্তু জয় হল শাগুফতার।
মহিউদ্দিনের পক্ষে ১৬ জন আইন জীবী লড়াই করলেও জয় হল শাগুফতার ।
ন্যায় বিচার পেলেন তিনি। আর শাগুফতার পক্ষে বহু আইন জীবী নিজের হয়ে লড়েছেন ।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সমুন্নত রাখলেন হাই কোর্টের রায়।
মেয়ে আর স্ত্রীর লড়াই শেষ ।
কিন্তু তারা তাকিয়ে আছেন যখন ফাঁসী কাসঠে ঝুলবে অভিযুক্তরা ।

এক সহকর্মী নিজের পদোন্নতির জন্য তার ঊর্ধ্বতন কে কি করতে পারে এর এক নির্মম নজির থাকল । এরা শিক্ষক হয়ে দেশের কি লাভ , ধ্বংস আনবে এরা এই বার্তা থাকে আর সহ কর্মী কি রকম নৃশংস হতে পারে হিংসা বৈরিতার কারনে এর এক নজির থাকল । আগামি দিনে সতর্ক থাকার এক বার্তা । এরকম আগেও ঘটেছে বৈরিতা তবে খুন পর্যন্ত গড়িয়েছে এমন খবর আসেনি ।
এই ধরনের শিক্ষক আদর্শ হওয়া দুরের কথা ছাত্রদের মানুষ খুনের উদাহরন হয় । কি নিদারুন লজ্জা ।
আর একটি বার্তা সন্তান মা বাবার জন্য কতোখানি ত্যাগ করতে পারে এর এক উদাহরন । এমন সন্তান যেন ঘরে ঘরে হয় ।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়