Ameen Qudir
Published:2017-02-19 20:15:45 BdST
১৪০০ র ঢাকা মেডিকেলে ২৫০০ সিট : রোগী থাকে ৪৫০০ : অসম্ভবকে সম্ভব করেন ডাক্তাররাই
অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক
_______________________________
২৫০০(এটা সরকার নির্ধারিত সিট সং খা) রুগীর খাবার খাবেন ৪৫০০ রুগী (এতো জন এ মুহুর্তে ভর্তি আছে) ঢাকা মেডিকেলে । খাবার অকল্পনীয়ভাবে ভাবে কম পড়বে, কিন্তু কি হবে সমাধান? আপনি বলুন দেখি !
এক রাতে সিজার অপারেশন (১/২ ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় প্রতি রুগির জন্যে ) হয় প্রায় ৩০ টি।
৪/৫ জন ডাক্তার ।
ইমার্জেন্সী থেকে আসা ট্রলিতেই ডেলিভারী করাতে হয়।
জায়গা নাই।
১৪০০ রুগীর হাসপাতালকে কাগুজে ২৬০০ বানাবার আদেশ দিয়েই খালাস।
গভীর রাতে ভর্তি হয়া অতি খারাপ স্বজন হীন রুগীকে রক্ত দেয় মেডিকেল হোস্টেল থেকে আসা ছাত্রদের কেউ না কেঊ, নিয়মিত। ।
আর কত হলে সহানুভূতি পাওয়া যেতে পারে?
ইমার্জেন্সীতে প্রতি শিফটে ৭০/৮০ রুগী আসেন, ডাক্তার মাত্র দুজন !
কোনও সমস্যা সমাধানই ডাক্তারের হাতে নাই। সেক্রেটারিয়েটের বারান্দায় রয়েছে। সাধারনের জানাও নাই!
সিএমএইচ (CMH ) এর মত হাসপাতালে, যেখানে সব কিছু ডাক্তাররাই দেখেন, সেখানে সবই ছিম ছাম।
যন্ত্র পাতি কেনা হয়েছে প্রয়োজন মত। এসব নষ্টও হয় না সহজে( মানুষ জানেও না এগুলা কেনায় ডাক্তারদের এর হাত নাই,মেইনটেন্যান্সেও নাই (বিখ্যাত 'তালাশ ' টিম এর পাবনার পরম সৎ সিভিল সার্জনের মত পরিনতি দেখে থাকবেন)।
ক্লান্ত ডাক্তার বা নার্স হয়ত বিরক্ত হতেও পারেন, দিনের পর দিন চলা এই শ্রমে।
সারাটা দুনিয়াময় ডাক্তারদের আর সকলের মত দু দিন ছুটি। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ। এর বেশি হলে আনুপাতিক হারে সন্মানি। এই বাংলাদেশেই এটাই নিয়ম অন্য সব চাকরিতে। এটায় দোষ নাই।
ক্লান্তিকর ৫ দিন পর আবার আনন্দ, উৎসাহে কাজের মান ভাল হয়।
শুধু ডাক্তাররা বাদ।
এ অবস্থার বিষযে নিজে খোঁজ নিন, বিবেচনায় নিন।পরে নাহয় হৃদয়হীন মন্তব্য করুন।
__________________________________
লেখক অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক । দেশের প্রখ্যাত লোকসেবী চিকিৎসক। সুলেখক ।
FCPS FRCP(uk)DDV(austria)
Skin & Sexul medicine specialist
Popular Dhanmondi 2
আপনার মতামত দিন: