Ameen Qudir
Published:2017-02-17 01:22:04 BdST
হার্টের চিকিৎসায় মোদীবিপ্লব, খরচ কমল ৮৫ শতাংশ
ডেস্ক রিপোর্ট , কলকাতা
__________________________
নয়াদিল্লীর মহতী উদ্যোগে
এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল হার্ট চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেন্টের দাম। অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টির ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্টেন্ট ব্যবহার করা হয়। একটি ‘বেয়ার মেটালা স্টেন্ট’ ও অপরটি ‘ড্রাগ এলুটিং স্টেন্ট।’ এই দু’টির দামই কমিয়ে দিল নয়াদিল্লীর কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)।
দুই প্রকার স্টেন্টের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য বেঁধে দিল এনপিপিএ। এখন বেয়ার মেটাল স্টেন্টের দাম হল ৭,৬২৩ টাকা। অন্য দিকে, ড্রাগ এলুটিং স্টেন্টের দাম হল সর্বাধিক ৩১,০৮০ টাকা। আগে এই দুই রকমের স্টেন্টের দাম ছিল যথাক্রমে ৪৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হবে। স্টেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তাদের কাছে মজুদ থাকা স্টেন্টের ক্ষেত্রেও নতুন দাম ধার্য করতে হবে।
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ধমনীতে টিউবের মতো দেখতে স্টেন্ট বসানো হয় যা হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। দেশে এই মুহূর্তে হৃদরোগের সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এই চিকিৎসার জন্য ইচ্ছামতো প্যাকেজ তৈরি করেছে। রোগীর পরিবার বাধ্য হচ্ছে সেইমতো টাকা দিতে। এখন কেন্দ্র স্টেন্টের দাম বেঁধে দিয়ে প্যাকেজ মূল্য বাড়ানোর যথেচ্ছাচার বন্ধ করতে চাইছে। সেটা বন্ধ করতেই এনপিপিএ এই উদ্যোগ নিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, এর পরে হার্টের চিকিৎসায় রোগীদের খরচ ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে যাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন দেশের রোগীরা। বছরে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
তবে এর পরেও হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা খরচ কমবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ, মনে করা হচ্ছে স্টেন্টের দাম ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেলেও হাসপাতালগুলি প্যাকেজ সস্তা করবে না। চিকিৎসকের পারিশ্রমিক ও পোস্ট অপরেশন কেয়ার-সহ অন্যান্য খরচ দেখিয়ে আগের মতোই রোগীদের থেকে বেশি টাকা নেবে। এই ব্যাপারেও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র।
২০১৫ সালে ‘ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনসিয়াল মেডিসিনস’-এর তালিকায় যুক্ত হয় স্টেন্ট। এর পরে স্টেন্টের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। লক্ষ্য, হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের যৌথ চক্রান্তের হাত থেকে রোগীদের রক্ষা করা।
_______________
সংবাদসূত্র, এ বেলা , কলকাতা
আপনার মতামত দিন: