SAHA ANTAR

Published:
2021-08-29 18:11:23 BdST

কিংবদন্তী নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী স্যার নেই


 

সংবাদ দাতা
_______________

আর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন, চিকিৎসা অঙ্গনের কিংবদন্তী অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী’র মহাপ্রয়াণে গেলেন ।
ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা. সুলতানা আলগিন শোক এপিটাফে বলেন, এই মহাপ্রাণ চিকিৎসক-শিক্ষকের কাছে শিক্ষা নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে।
বর্ণাঢ্য তাঁর জীবন। অতুলনীয় মেধাবী, অতুল ছিল তাঁর ব্যাক্তিত্ব। বাংলাদেশের আলোকিত সমাজের দিশারি ছিলেন তিনি।

International Biographical Centre তাঁকে ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে সম্মানিত করেন এবং ঐ বছরই Dictionary of International Biography তে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সাথে তাঁর জীবনি প্রকাশিত হয়।

অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিগত শতাব্দীর মাঝ ভাগের আগে ১৯৪১ সালের ১লা অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৪৫, নবাব সিরাজদৌল্লা রোডস্থ পৈত্রিক বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম শহরেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। ১৯৫৭ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৯ সালে কৃতিত্বের সাথে আই এস সি পাশ করার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস এ ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এম বি বি এস ফাইনাল পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে স্বর্ণপদকসহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তা সত্ত্বেও সরকার বিরোধী ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আইয়ুব-মোনায়েম সরকার তাঁকে স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত করেন এবং উচ্চ শিক্ষাতে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দেয় ৪ বছরের জন্য। এরপর ১৯৬৫ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ১৯৬৮ সালের ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাউস সার্জন, সিনিয়র হাউস সার্জন ও ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৮ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর শিক্ষার জন্য ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিলাত যান। সেখানে তিনি ১৯৬৮ সালে Diploma in Venereolog, ১৯৭১ সালে Neurosurgery তে সারা পৃথিবীর ছাত্রদের মধ্যে কৃতিত্বের সাথে FRCS এবং ১৯৭৭ সালে Microsurgery উপর ডিগ্রী নেন।

১৯৭৮ সালে অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের লিখিত অনুরোধে স্বদেশে ফিরে আসেন। সে সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাঃ বদরুজদোজা চৌধুরী ঢাকার নিউরোসার্জারী বিভাগে যোগ দিতে বললে ডাঃ এল.এ. কাদেরী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলার সুযোগ দিতে অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অনুরোধ রক্ষা করেন। সেই সময়েই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিউরোসার্জারী বিভাগ খোলা হয়। অধ্যাপক কাদেরী শুরু থেকে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইউএসটিসি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন।

সামাজিক দায়িত্ব ও পারস্পরিক সহমর্মিতার নৈতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরী বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বি এম এ) চট্টগ্রাম শাখার দু’বার নির্বাচিত সভাপতি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব সার্জনস্ এর সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন’ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, বহুবার চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। চিকিৎসা অবদানের জন্য মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ও মানবাধিকার শান্তিপদক পেয়ে সম্মানিত হন। বি এম এ সভাপতি থাকাকালীণ সময়ে ’৯০ সালে তিনি পেশাজীবী জনতার নেতা হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা রাখেন। সেই আন্দোলনে চট্টগ্রামের দু’সাহসী নেতা সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান তার পাশে ছিলেন। এ ছাড়াও ডাঃ কাদেরী International Medical Society, International College of Surgeons Member Fellow, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ডায়াবেটিক সমিতি, কিডনি ফাউন্ডেশন, নাটাব, রোগীকল্যাণ সমিতি সহ বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনের আজীবন সদস্য। তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ পেশ করেন।

১৯৭১ সালে লন্ডনে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে ‘‘বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন” নামে সংগঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ডাঃ এল.এ. কাদেরীর পিতা মরহুম আবদুল লতিফ উকিল ছিলেন বৃট্রিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে স্বাধীণতা সংগ্রামী। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানী কায়েমী স্বার্থবাদী শাসকচক্রের বিভিন্ন গণবিরোধী পদক্ষেপে তিনি প্রতিবাদ করেন এবং গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুরোধে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আবদুল লতিফ উকিল চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৯ সালে লালিদিঘীর মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের প্রথম জনসভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। ঐ জনসভায় তৎকালীন সরকার সমর্থক গুন্ডারা হামলা চালালে আবদুল লতিফ উকিলের মাথা ফেটে রক্ত ঝরে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দলের জন্য ঐ প্রথম রক্ত ঝরে আবদুল লতিফ উকিলের মাথা থেকেই। তিনি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-সমবায় সংগঠন-বিভিন্ন পীর-আউলিয়া দরগাহ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও সম্পাদক হিসেবে সর্ব অবস্থায় নিঃস্বার্থ খেদমত করে জনগণের এবং সহকর্মী ও অনুবর্তীদের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, আনুগত্য সমানে পেয়েছেন।

ডাঃ এল.এ. কাদেরী মা মরহুমা আনোয়ারা বেগম ছিলেন মোহরারস্থ পীরে কামেল হযরত মাওলানা নূর আহমদ আল কাদেরী (রঃ) এর কন্যা। হযরত মাওলানা ১৯৪৩ সালে ওফাত হন। মরহুম আনোয়ারা বেগম দানশীল ও সংগঠক ছিলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে তাকে পরিষদ সদস্য পদ গ্রহণের প্রস্তাব করলে পর্দার ব্যাঘাত হওয়ার আশংকায় তিনি ঐ প্রস্তাব পরিত্যাগ করেছিলেন। এল.এ. কাদেরীর দাদা মরহুম মুন্সী রহমান আলী বাংলা, পার্সি, আরবী, ইংরেজী, উর্দ সহ কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। সে সময় তিনি বার্মার রাজধানী রেঙ্গুনে ব্যবসা করতেন।

ডাঃ এল.এ. কাদেরীর পরিবার খুবই ছোট। স্ত্রী সুরাইয়া কাদেরী রত্নগর্ভা। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় এম এ পাশ করেন। তিনি ইনার হুইল ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমানে হাইকেয়ার স্কুল ও হিয়ারিং সেন্টারের ডিরেক্টর, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি ও চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবকমূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়াও তিনি গরীব-দুঃখী মানুষের আপনজন হিসেবে খ্যাত। একমাত্র কন্যা ড. সোনিয়া কাদেরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Applied Physics এ স্বর্ণপদক সহ এম এস সি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। বর্তমানে স্বামী ইঞ্জিনিয়ার জাফরউল্ল্যাহ আরিফ লিটনসহ আমেরিকায় বসবাস করছেন।

একমাত্র পুত্র ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ কাদেরী বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর বিলাতের মানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এস. ডিগ্রী নেন। বর্তমানে তিনি বিলাতে কর্মরত এবং স্ত্রী ডাঃ ফারজানা নাজনীন সহ সেখানে বসবাস করছেন।

ডাঃ এল.এ. কাদেরীরা পাঁচ ভাই ও দু’ বোন। ভাইদের মধ্যে ডাঃ কাদেরী সকলের বড়। ছোট ভাইরা হলেন: পাকিস্তান আমলের খ্যাতনামা ছাত্রনেতা, ১৯৬৪ এর সার্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনে ছাত্র নেতাদের মধ্যে প্রথম গ্রেফতার হওয়া নেতা মরহুম এডভোকেট আবুল হাসনাত কাদেরী, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সেই সময়ের ছাত্র এডভোকেট মুহাম্মদ নূরুল আনোয়ার, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও হাটহাজারী আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল মোহাছেনাত কাদেরী (সেখু), কনিষ্ঠ ভ্রাতা মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ নির্বাহী পরিষদ সদস্য, চিটাগাং এডিটরস্ কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষদ সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস জুডিসিয়াল কমিটি সদস্য এবং বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক হিসেবে ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কর্তৃক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংবর্ধিত হন। তা ছাড়াও ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর কৃতি সাংবাদিক হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কর্তৃক সংবর্ধিত হন। বড় বোন রোকেয়া বেগম বেবী। তাঁর স্বামী মরহুম এডভোকেট সৈয়দ হামিদুল হক ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সংগঠক ও হাটহাজারী উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন কাউন্সিল ও পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন স্বাধীনতার আগে ও পরে। ছোট বোন মরহুমা জয়নাব বেগম। তাঁর স্বামী ফটিকছড়ি বাবুনগর আজমবাড়ী নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা এস.এম.আবু শমসের।

অধ্যাপক ডাঃ এল.এ. কাদেরীর শ্বশুর বিরল সৎ, ধার্মিক, দানশীল, সাধু ব্যক্তি মরহুম আলহাজ্ব জামালউদ্দিন আহমদ খান। তিনি চুনতির বিখ্যাত জমিদার মরহুম তবিউল্লাহ খানের সন্তান। শ্বাশুড়ী মরহুম হেনা জামাল এদেশের নারী জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত এবং ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের সংগঠক।

যুগ যুগ ধরে একত্রে বসবাস করে চট্টগ্রাম শহর এলাকার বন্ধু-বান্ধব ও জনগণের সাথে ডাঃ এল.এ. কাদেরীর গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও নির্ভরশীলতা। আশৈশব কাল থেকে শিক্ষা, সমাজ ও কর্মজীবনে যারা তার বন্ধু ছিলেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, অনেকে পরলোক গমন করেছেন, অনেকে বিভিন্ন কারণে দিকবালচক্রে হারিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুরীদুল আলম চৌধুরী, মরহুম আবদুর রহমান দোভাষ, মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সার, আজাদী সম্পাদক ও চিটাগং এডিটরস্ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট এম.এ. মালেক, ডঃ ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুদ্দোহা, ডাঃ একরামুল হক (লন্ডন প্রবাসী) মরহুম ডাঃ আদিলুজ্জামান খান, ডাঃ আলীপনা চৌধুরী, সাবেক এম পি ডাঃ শামসুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মরহুম এম.এ. মান্নান, মরহুম ইউসুফ গণি চৌধুরী সহ অনেকে।

ডাঃ এল.এ. কাদেরীর গভীর মানবিক অনুভূতি। গ্রামের বাড়ী হাটহাজারী সদর/ হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামে দিন মজুর-খেত মজুরদের আর্থিক দুর্দশা দেখে তিনি খুবই ব্যথিত হতেন। তাদের দারিদ্র বিমোচন ও সমৃদ্ধির জন্য তিনি গ্রহণ করেন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি শতাধিক দিন ও ক্ষেত মজুরকে Human Holler, বহু রাজমিস্ত্রি ও সূতার মিস্ত্রিকে কাজের সরঞ্জামাদি কিনে দেন। বিত্তহীন ও দুঃস্থ মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেন।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়