Ameen Qudir

Published:
2017-02-06 14:54:00 BdST

লোভী ডা. জাহেদ সাহেবের রজনী বিলাস



ডা. অসিত বর্দ্ধন----------------

 

 

 

 

 

ডা. অসিত বর্দ্ধন
____________________________

জাহেদ সাহেবের মেজাজ খিচড়ে আছে। চেম্বারে এত রোগী। সবাই উনাকে যে কিভাবে দেখছে? তার অনেক দিনের গোপন রাখা কথা যে প্রকাশ হয়ে গেছে সবার কাছে। সবাই যেনে গেছে যে তিনি একজন লোভী ডাক্তার!

লোভ আসলে এক দিনের নয়, একেবারে বাল্যকাল যেটাকে কেউ কেউ ন্যাংটা কাল বলে। তখন থেকে। আব্বা খুব ভরে ঘুমে থেকে উঠতেন নামাজ পড়তে। তার কিছু পরে ছেলেকে তুলে দিতেন ঘুম থেকে। পড়তে। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হোতো। কিন্তু সয়ে গিয়েছিল। ডাক্তার হতে হবে। সেটাই লোভের শুরু।

মায়ের অসুখ। ছোটো জাহেদের তেমন মনে নেই আসলে কি হয়েছিল। তবে দেখেছিল যে কেউ একজন এসেছিলেন বাড়িতে। তার জন্য কি খাতির। উনি রিকশা থেকে নামতেই আব্বা এগিয়ে যেয়ে উনার হাতের ব্যাগ টা নিয়ে নিলেন। তাকে নিয়ে গেলেন সরাসরি মায়ের ঘরে। বাড়ীর বড়রা সবাই তার পিছনে দাঁড়িয়ে । তিনি মায়ের হাতের মধ্যে কি যেন দেখলেন, তারপর কি সব বললেন। অমনি বড় চাচা এক ছুটে বাইরে চলে গেলেন। সাথে অন্যরাও। আব্বা জাহেদ কেও যেতে বললেন। সেই ভদ্রলোক একটা হাত তুলতে কেউ আর জাহেদ কে ঘাটাল না। উনি মায়ের সাথে কিছু কথা বলে ফস ফস করে কি সব লিখলেন। এরপরে বেরিয়ে গেলেন। এবার বড় চাচা ব্যাগ হাতে নিয়ে চললেন।


জাহেদ এক দৌড়ে মায়ের বুকে। বাইরের কেউ মায়ের সাথে এতক্ষণ কথা বলছে একটুও ভাল লাগেনি। ছল ছল চক্ষে জিজ্ঞেস করল, ' লোকটা কে মা ?"
" উনি তো ডাক্তার, আমার শরীর টা খারাপ তাই উনি দেখতে এসেছিলেন। তোমার বুঝি খারপা লেগেছে? ডাক্তার দের সবাই খুব সম্মান করে। কেন জান?"
জাহেদ অত শত জানে না, মায়ের পাশে শুয়ে থাকে।
মা আসতে আসতে বলেন, " তুমি কি বড় হয়ে ডাক্তার হবে?"
জাহেদ উত্তর করে না, তার বয়ে গেছে ডাক্তার হতে।
"একজন ডাক্তারকে সবাই খুব ভালবাসে। সম্মান করে"
ভালবাসা শব্দটার একটা আলাদা জাদু আছে। ভালবাসা মানে একটু আলাদা কিছু এই বয়সেই জানে জাহেদ। তারমানে অন্যেরা আমার কথা শুনবে? আদর করবে। জাহেদের মাথার এক কোনে ভালবাসার একটা লোভ চিরস্থায়ী বন্দবস্ত নিয়ে নেয়। ডাক্তার এবং ভালবাসা শব্দ দুটো ওর কাছে এক হয়ে যায়।

 

মেডিকেল কলেজে থার্ড ইয়ারে এরকবার তার লোভ পেয়ে বসে। মেডিসিন ওয়ার্ডে এক প্রায় অচেতন রোগী এসেছে। তার আত্মীয় স্বজন ভিড় করে আছেন তার পাশে। ওয়ার্ডের সিএ ( CA) রোগীর ইতিহাস নিলেন ভাল করে। সবাই বলতে চায়। সবাইকে থামিয়ে একজনের কাছ থেকে খুব ভাল করে বিশদ তথ্য নিলেন ডাক্তার সাহেব। তারপরে স্যালাইনের মধ্যে ৫০% গ্লুকোস মিশিয়ে দিতে বললেন। রাউন্ড শেষ করে ফিরতেই দেখে রোগী উঠে বসে আছেন। রোগীর স্ত্রী ডাক্তার সাহেবকে দেখে ছুটে এলেন। চোখে জল। কণ্ঠ ধরে ধরা শব্দ বের হচ্ছে না। অনেক কষ্টে বললেন, " আপনে তার জীবন ফিরাই দিছেন, আল্লাহর কাছে আপনার জন্য অনেক দুয়া করি আব্বাজান!" ডাক্তার সাহেবের বয়স বেশি না। আব্বাজান হওয়ার মত না মনে হয়, খুবই ইয়াং । কিন্তু তিনি শুধু সেই মানুষটিকে বললেন, " মা, আপনি ভাল থাকবেন, উনার ওষুধ গুলো খাওয়ানোর সময় নজর রাখবেন, যেন বেশি না হয়ে যায়" । সেদিন থেকে "দুয়া" পাবার লোভ গেড়ে বসে জাহেদের মাথার মধ্যে।

ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পেয়ে সবার আগে ফোন করলেন মা কে। " মা তোমার ছেলে এখন ডাক্তার ! তুমি এখন থেকে ডাক্তার জাহেদের মা!"
মায়ের চোখ ছল ছল। মুখে হাসি। গলা থেকে বের হওয়া শব্দে গর্বের প্রতিধ্বনি। 'বাবা, ডাক্তার হওয়া মানে সবার আগে রোগী , মনে রাখবা। তোমার কাছে কোন রোগী যেন কোনও কষ্ট না পায়!" মাকে দেওয়া কথা রাখার লোভ টা গেঁথে যায় ডাঃ জাহেদের মাথায়।

মাঝে মাঝে এইসব লোভ থেকে বের হতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তার মেয়েটাকে নিয়ে শিশু পার্কে যেতে। কিম্বা মেয়ের মা কে এক বিকেলে সিনেপ্লেক্সে নিয়ে যেতে। আয়নাবাজি যখন খুব চলছে , তখন একবার স্ত্রী আবাদার করেছিলেন। নিদেন পক্ষে একদিন একসাথে শপিং। কিন্তু লোভের কাছে হেরে যান ডাঃ জাহেদ। মায়ের কথা মনে করে 'রোগী আগে' এই আপ্ত বাক্য মেনে চলে যান নিজের চেম্বারে!

আজ চেম্বারে বসে যখন নিজের ছায়ার সাথে নিজে যুদ্ধ করছেন, একটা ছেলে হঠাৎ কিছু না বলেই ঘরে ঢুকে পড়ল।
"আমি এখনো কাউকে ডাকি নি। অপেক্ষা করুন বাইরে। গলার স্বর টা প্রয়োজনের চাইতে কর্কশ শোনালো নিজের কানেই।
" স্যার, আমি আপনার রোগী বা রোগীর লোক নই" ছেলেটার গলায় কি যেন আছে,
"তাহলে কেন এসেছেন? এখন রোগী দেখার সময়, অন্যদিন আসবেন ." বিরক্তি ও রাগের ঝাঁজ মেশানো গলা।
ছেলেটা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দেখে মেজাজ সপ্তম ছাড়িয়ে অষ্টমে ওঠে। তবে তিনি কিছু বলার আগেই ছেলেটা দৃঢ় কণ্ঠে বলে, " আমাকে ৫ মিনিট সময় দিন , স্যার"
বিরক্তি নিয়ে বলেন ' কি বলেন?"
" স্যার, আপনি আমার বাবাকে কঠিন অসুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন একবার।" ডাঃ জাহেদের মাথায় খেলে এই ছেলে নিশ্চয়ই কোন অভিযোগ নিয়ে এসেছে।


'আজকে প্রশ্নপত্রে একজন ডাক্তারকে লোভী বলা হয়ছে এমন একটা খবর এসেছে। "
এই পুচকে ছেলে আমাকে লোভী বলতে এসেছে, বেরিয়ে যান, মার্কা একটা কথা মুখে প্রায় এসেই গিয়েছিল।
"স্যার আমি বুঝতে পারি আপনার মনের কষ্ট টা। আমার মনেও কষ্ট লেগেছে। আপনি না থাকলে আমি আজ কাউকে বাবা বলতে পারতাম না।"
ভেতরের লোভ টা আবার চাঁড়া দিচ্ছে, রাগত চোখ দুটোতে এখন একটু খুশির ঝিলিক।


" বাইরে আপনার সব রোগী আপনার সাথে একটা ছবি নিতে চায়,"
"মানে"
"সার আমরা আপনার সাথে ছবি তুলে আমাদের ফেসবুকে দেব, যে আমাদের ডাক্তার লোভী নয়। বড় সংবাদপত্রে তো আমাদের যাবার ক্ষমতা নাই। কিন্তু একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার।"

ভালবাসার লোভে চক চক করে ওঠে ডাঃ জাহেদের চোখ। ভিজেও ওঠে।

 

ছবি তোলা হল, অনেকগুলো রোগী একসাথে। জাহেদ সাহেবের বিকেল আর সন্ধ্যা রোগী দেখে কেটে গেল। যখন বের হবেন, তখন তার এসিস্টান্ট বলল,
" স্যার, গজব হইছে, আপনার ছবি তো ভাইরাল হইছে"
"কোন ছবি?"
" ওই যে পোলাটা তুইলা নিয়া গেল, সেইটা, হাজারে হাজারে মানুষ লাইক দিতেছে, শেয়ার দিতেছে, সেইখানে লেখা আছে, আমার ডাক্তার লোভী না, আমার ডাক্তারের পাশে দাঁড়ান। সবাই তো যে প্রশ্ন লিখছিল হেরে ধুইয়া দিতেছে," ছেলেটির মুখে বিশ্বজয়ের হাসি।
ফেসবুকে বসার সময় কোথায় তার, একাউণ্ট নেই। একটু দেখতে ইচ্ছে করছে।
" তুমি দেখলে কোথায়?"
ঝিলিক দিয়ে উঠল ছেলেটির হলুদ দাঁত। সাথের লাল দাগ গুলো পানের কি না কে জানে। পান দুচোখে দেখতে পারেননা জাহেদ সাহেব। পকেট থেকে একটানে বেরিয়ে এলো নতুন ওয়াল্টন! ডাক্তার সাহেবের চোখ বরাবর ধরা, ওয়ালটনের স্ক্রিন।
'আমার ডাক্তার লোভী নয়!" ক্যাপশান । নিচে তাকে নিয়ে চেম্বারে তোলা রোগীদের ছবিটা। লাইক ৯৯ ছুঁই ছুঁই, হাজারে। মন্তব্যের ঘরে সবাই কপি করেছে ক্যাপশান টাকে। মন্তব্য, সংখ্যায় সেও ছাড়িয়েছে হাজারের মায়া!
অনেকদিন পর লোভ গুলো বিদ্যুত চমকের মত মাথার ভিতরে জানান দিল, তারা আছে।

 

জাহেদ সাহেব ছেলেটার বিস্মিত চোখের সামনে দুটো হাজার টাকার নোট ধরলেন। মাসুদ রানার ভঙ্গিতে। ছেলেটার মুখে ভয় না আনন্দ পড়তে পারলেন না। পড়ার প্রয়োজন ও নেই। আজ তার লোভের বিজয়ের দিন। ওটা ওর হাতে গুঁজে দিয়ে চেম্বার থেকে বেড়িয়ে পড়লেন। শাহবাগে সামনে থেকে গড়ি থামিয়ে রজনীগন্ধার অনেকগুলো সটীক কিনলেন। ফোন করতে ইচ্ছে হচ্ছে সবাইকে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার মত আনন্দ হচ্ছে। মেয়েটার জন্য একটা খেলনা কিনতে ইচ্ছে করছে। এত রাতে সব দোকান বন্ধ। পথে "কেয়ার " থেকে ওর প্রিয় চকলেট ২ প্যাকেট কিনলেন।

জাহেদ সাহেবের স্ত্রী মনে হয় ভয় পেয়েছেন। তার অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছে তিনি জাহেদ সাহেবকে আজ ঠিক বুঝতে পারছেন না। যে লোকটা দশটা কথার একটা উত্তর দেয়, সে হাসিমুখে মেয়েকে আদর করছে, আধো বোলে তার সাথে আহ্লাদের কথা বলছে দেখেই ভয় করছে। লোকটা পাগল হয়ে যাবে না কি।
স্ত্রী বললেন, " তুমি বোধহয় আজ খুব ক্লান্ত। যাও তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়।" ভাবলেন বিশ্রামে যদি একটু ভাল হয় স্বামীর।

 

বেশ রাতেই হঠাৎ ফোন এলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফোন করেছেন। তড়াক করে দাঁড়িয়ে যান জাহেদ সাহেব। "জী স্যার,জী স্যার,"
" আপনার ছবি টা ভাইরাল হয়েছে। আপনি তো চিকিৎসকদের প্রতিনিধি হিসেবে সব চিকিৎসকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা যা করতে পারিনি আপনার একটা ছবি তো তাই করে দিল। আমি আপনার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ভীষণ গর্বিত। আসুন কালকেই আপনি আমার অফিসে চা খেয়ে যাবেন"
" স্যার , কাল তো আমার অপারেশনের দিন, আরেকদিন যাই?" জাহেদ সাহেব বুঝতে পারছে না ঠিক কি বলতে হবে।


আসুন তবে আরকদিন আসুন, আপনার দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটুক চাই না, তবে আসবেন কিন্তু। আপনি এলে আমি আনন্দিত হব। আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ। " ডাকসাইটে মন্ত্রী ফোন রেখে দিলেন। এতক্ষণ ধরে রাখা শ্বাস বিপুল বেগে বেড়িয়ে তার পেট হাল্কা করে দিল। ধপাস করে বসে পড়লেন সোফায়। আবার ক্রিং ক্রিং! এবারে সচিব ফোন করেছেন। জানালেন শিক্ষা সচিবের সাথে কথা হয়েছে। যারা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এসব লিখেছেন তাদের বিরুদ্ধে মানুষ খেপেছে। মন্ত্রালয় ও বসে থাকবে না। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই কে করেছে, কেন করেছে তারা বের করে ফেলবেন। জাহেদ সাহেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখলেন তিনি।


ডাঃ জাহেদ ঠিক বুঝতে পারছেন না , উনি কি করবেন। আবার ফোন, নাটোরের ডিসি। উনার মায়ের চিকিৎসা করেছিলেন। উনি মনে রেখেছেন। আশ্বস্ত করে বললেন, উনি দেখবেন একজন সাংবাদিক যাচাই বাছাই না করে কি করে কোন সংবাদ প্রকাশ করেন। নাটোরের সিভিল সার্জনের ও ফোন এলো। বিএম এ র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফোন করলেন। আরও ফোন এলো শিক্ষা ক্যাডারের বন্ধু সুব্রতর কাছে থেকে। " আমরা জানি তুই কেমন ডাক্তার, আমরা আছি তোর পাশে। তোর ছবিটার পাশে আমার একটা ছবি দিয়ে রিপোস্ট কর। তোর সাথে আমি বিখ্যাত হই। আর্মি মেডিকেল কোরের জামিল, জয়নুল ফোন করল, পররাষ্ট্র থেকে ফোন করল বাসেত, ও মেডিকেল থেকেই বিসিএস দিয়েছিল। ফোন থামছেই না। সবাই জানাতে চান তারা মনে রেখেছেন কিভাবে একজন চিকিৎসক তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নিজের আরাম আয়েশ পছন্দ অপছন্দ দূরে রেখে।


এই একদিনে ডাঃ জাহেদ দেখতে পেলেন তার সমস্ত জীবনের সঞ্চয়। ভালবাসা, সম্মান, দোয়া, আশীর্বাদ, কৃতজ্ঞতা! তার মুখ স্মিত হাসিতে ভরে গেল। তিনি চিৎকার করে বলতে চাইলেন, " ডাক্তার হয়ে ভুল করিনি, মহৎ পেশা মহৎ মানুষ তৈরি করে!"
রাতে ফিরে আসার পর থেকেই স্বামীকে দেখে বিভ্রান্ত ছিলেন তার স্ত্রী। রাতে জাহেদ সাহেবের ঘুম খুব ভাল হয় না সাধারণত। , নাক ডাকেন, মাঝে মাঝে ছটফট করেন। কিন্তু আজ কি আরামে ঘুমাচ্ছেন , মুখে হাসির রেখা! এটা কি ঠিক দেখছেন?
কি যেন শব্দ হচ্ছে । জাহেদ সাহেব বোবায় পেলে যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দ করছেন। স্ত্রী তার গায়ে জোরে জোরে ধাক্কা দিলেন। " কি হোলো তোমার, কি হোলো তোমার, ? "
জাহেদ সাহেব ঘাবড়ানো গলায় জিজ্ঞেস করলেন, " শেষ ফোন টা যেন কে করল বলতো? ছবিটা ভাইরাল হওয়ার পড় থেকেই যা হচ্ছে না ! "
স্ত্রী বুঝতে পারলেন না কোন ছবি আর কিসের ই বা ফোন!

 

এই গল্পের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। হাজার হাজার ডাক্তারের জীবনের কোনও ঘটনার সাথে এই ঘটনার মিল হলে তা নিতানন্তই কাকতালীয়।
______________________________

 

ডা. অসিত বর্দ্ধন
কন্সলাটেন্ট এনেস্থেটিস্ট , কানাডা।
bdemr.com এর প্রতিষ্ঠাতা।
রামেক ২৫ তম ব্যাচ, ৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষ।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়