Dr. Aminul Islam
Published:2021-05-11 04:42:40 BdST
একজন চঞ্চল চৌধুরীর কান্না:“ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ! আমি হিন্দু নাকি মুসলিম তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কী?"
ডা. আমিনুল ইসলাম
_____________________
পবিত্র মা দিবসে বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী ও বিশ্ব বাঙালীর পরমপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী তাঁর পরমপুজনীয় মায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে কদর্য কুৎসিত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
তোমার কাছে ক্ষমা চাই চঞ্চল। তুমি আমাদের ক্ষমা করো ।
তোমার মাতা দেবীর কাছে তাঁর পায়ের ওপর মাথা ঠেকিয়ে ক্ষমা চাই।
তোমার মায়ের অপমান, আমার মায়ের অপমান। বাংলাদেশের প্রতিটি নারী ও মায়ের অপমান।
এ অপমান সইবো না।
যারা তোমার আমার মাকে, বাংলাদেশের সকল মাকে অপমান করেছে, তারা একাত্তরের পাকিস্তানি বর্বর পশু হানাদারদের বংশধর। ওরা ধর্ষকদের প্রজন্ম। ওরা পৃথিবীর কোন নারীকে সম্মান করে না। ওরা ওদের গর্ভধারণকারী মাকেও সম্মান করে না। নিজের গর্ভধারিণী মাকেও ওরা ওদের বিশ্বাস চেতনা দিয়ে প্রতিদিন অসম্মান অমর্যাদা করে চলেছে। ওরা অভিশপ্ত। ওরা এমনই অভিশপ্ত যে, কিয়ামত বা বিশ্ব বিনাশ পর্যন্ত ওরা ওদের সাম্প্রদায়িক বিশ্বাসের কারণে অভিশপ্ত থাকবে।
কি উদ্ভট সাম্প্রদায়িক দেশে বাস করছি। বাংলাদেশে ও বিশ্বে এই আগাছা যতই বাড়ুক, এগুলো ধ্বংস হবে নিজ নিজ সাম্প্রদায়িক আত্মকলহে। আমিন।
চঞ্চল চৌধুরী তাঁর মায়ের সঙ্গে কী পবিত্র ছবি দিয়েছেন। পৃথিবীর সবকিছুর উর্দ্ধে এই মা ও সন্তানের ছবি।
পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম এ ছবি।
এরকম স্বর্গীয় একটা ছবিতে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কুৎসিত কমেন্ট করে কুৎসিত নরকের কীট গুলো আবারো প্রমাণ করল,ওরা মানুষ নয়। সাম্প্রদায়িক পশু।
কী জাতীয় লজ্জার মুখে আজ বাংলাদেশ।
চঞ্চল চৌধুরীকে তাই বলতে হয় “ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ। আমি হিন্দু নাকি মুসলিম তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কী? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এ সকল রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সকল ক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।”
আপনার মতামত দিন: