Dr. Aminul Islam
Published:2021-04-28 16:48:13 BdST
সব চোখ ভারতবর্ষের দিকে
অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যাচার্য
----------------------------
গার্ডিয়ানের দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি হান্নাহ এলিস প্যাঁটারসন বলছিলেন, এই কদিন হল শীতে তেমন উচ্চ সঙ্ক্রমন কি মনে হল ?মাস কয়েকের মধ্যে বৈশ্বিক ভাবে ভিন্ন।। এরপর করোনার বিধ্বংসী প্রভাব দেখা গেল।
ভারতে অবস্থার এই দ্রুত অবনতি বিশ্ব বাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, , হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় , অক্সিজেনের দারুণ সংকট , হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় মানুষের মৃত্যু , ভারতের বর্তমান অবস্থার চিত্র যেন ১ ৬ মাস আগে প্রথম করোনা শনাক্তের সেই দৃশ্যের মত , হাহাকার , উদ্বেগ ...
ফিয়ান্সিয়াল টাইমস এর সম্পাদকীয় বোর্ড নিউইয়র্ক টাইমসএ পাঠানো বার্তায় লিখলেন জেফ্রি জেনটল ম্যান , শ্মশান , গোরস্তান শবদেহে ভর্তি, মনে হচ্ছে কোন বড় যুদ্ধ যেন ঘটে গেছে । প্রতিদিন ভারতে উচ্চতম সংক্রমণ বিশ্বে , ৩৫০.০০০ জন প্যানডেমিক শুরুর পর কোন দেশে দৈনিক এত সংক্রমণ আর ঘটেনি ।এত আনুষ্ঠানিক অনুমান আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি । যুক্তরাজ্য পাঠাচ্ছে ভেনটিলেটার আর অক্সিজেন কনসেনটরেটার । আমেরিকাও পাঠাচ্ছে প্রয়োজনীয় রসদ ।
ভারত কি করে এমন অবস্থায় পৌছাল ?
এক প্যানেল আলোচনায় জন স্বাস্থ্যের ডিন ডা আশিস ঝা , বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারিতে দিনে মাত্র ১০০০০ গননা আর দু হপ্তা পর তা উঠল ১৮০০০ এ। প্রায় দ্বিগুণ হওয়া ছিল উদ্বেগের , আর প্রথমের এই রোগীর এত কম পরিমান হওয়াতে একে আমলে আনা হয়নি। এরপর দেশে বেশ ঢিলে ঢালা কাজ কর্ম বিশেষ করে ঘরের বাহিরে জন সমাবেশ চলল অবাধে।
দেখা গেল রাজনৈতিক বিশাল সমাবেশ , কাজ কর্ম , হল কুম্ভ মেলা। গঙ্গার পারে বিশাল ধর্মীয় সমাবেশ। দেখা গেল ক্রিকেট স্টাডিয়ামে দর্শক এর ভিড় , মুভি হলে জন সমাগম, একটি অতিমারির মধ্যে যা করা ছিল অনুচিত , বললেন ঝা । এল ডাবল মিউটেনট করোনা , ভেরি ইয়েন ট দের মধ্যে স্পাইক প্রোটিন মিউটে শন কিছুই অস্বাভাবিক নয়। এরপর ভারতে
B1.117 , বিলেতেও এল এখন তা আছে আমেরিকা আর ইউরোপে ।
মাস্ক পরলে যে ভাইরাস বিস্তার নাটকীয় ভাবে হ্রাস করা যায় তা ঠিক । মানুষ বাহিরে জড়ো হলে মাস্ক পরা খুব দরকার। দিল্লিতে ভয়াবহ অবস্থা আর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। ভারতের সঙ্ক্রমন পরিসঙ্খ্যান তুলে ধরছেনা সত্য চিত্র।
এদিকে আই পি এল লোকেরা এর মধ্যে চালিয়েছে ব্যবসা আর এদের কাজ নিরো র বাঁশি র সেই প্রবাদ থেকেও নির্মম । মানুষের চেয়ে বড় হয়েছে আই পি এল ।এ ডা ম গিল্ক্রিস্ত বলেন এই দুর্যোগে আই পি এল চালানো কতটা যৌক্তিক ।"
এদিকে ভারতের এই করুন দশায় বিষের নানা দেশ পাঠাচ্ছে সাহায্য , এমনকি বৈরি দেশ পাকিস্তানও সাহায্যের প্রস্তাব দিল ।আমরা এখন্ন দেখি অতিমারির আর এক করুন এক বাঁক যা ধ্বংস করে দিচ্ছে এক দেশ এর মূল কারন অতিমারিকে তুচ্ছ করে দেখা প্রকৃত সঙ্ক্রমন আর মৃত্যু কে ছাপিয়ে একে আমলে না এনে যখন কবির সুমনের গানের মত বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে ।"
আর নিজেদের কে রক্ষা বলয় থেকে বের করে বুদ্ধিহীনের মত কাজ করে বিপর্যয় ডেকে আনা। অনেকের জন্য তা হতে পারে দৃষ্টান্ত । কামনা করি ভারত এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠুক ।
আপনার মতামত দিন: