Dr. Aminul Islam

Published:
2021-04-19 05:48:32 BdST

আমি ডাক্তার হিসাবে পৃথিবীর দেশেই গেছি সে দেশে আলাদা সম্মান পেয়েছি


 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যাচার্য
---------------------------------
আমি ডাক্তার হিসাবে পৃথিবীতে সম্মান পেলাম যে দেশে গেছি সেই দেশে । আলাদা সম্মান।
আমি কয়েক বছর আগের একটা ঘটনা বলি।
আমি পার্শ্ব বর্তী দেশ ভারতে গেলাম তীর্থ স্থান দেখা উদ্যেশ্য আর পিতৃ পুরুষের পিণ্ড দান আর তর্পণ ।
প্লেনে কলকাতা গেছি আগে টিকেট করা হয়নি, আমার ওখানকার স্বজন রা বললেন কি করে যাবেন রেলে আগে টিকেট করে যাবেন াবেন আর একা যাবেন ? আমি এবার একা যাব ঠিক করেছি আগের বার ছেলে মেয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম আর ট্র্যাভেল এজেন্ট ধরে এরা অনেক টাকা খরচ করিয়েছে । তাই ঠিক করলাম নিজে যাব পৃথিবী অনেক স্থান একা ঘুরেছি এ এম্ন কি।
আমি গেলাম কল কাতা ফেয়ারলি প্লেসে বিদেশি দের টিকেট কাউন্টারে । বুঝলাম পাওয়া কঠিন হবে আমি বললাম আমি সিনিয়ার সিটিজেন আর ডাক্তার । পেছনে বসা এসি স টেনট ম্যানেজার । কানে গেল তার তিনি উঠে এলেন। এসে বললেন ভেতরে আসুন । সঙ্গে আমার স্ত্রী । আমাকে ফেভার করছেন বুঝতে পারলাম
আমাকে পেছনে নিয়ে তাঁর ঘরে বসিয়ে নিজে করে দিলেন পুরো জার্নি , কলকাতা , গয়া কাশি সব।। আর ফেরর টিকিট । বেশ কনসেসন পেলাম সিনিয়ার সিটিজেন , সেখানে দুটো সম্মান একটা সিনিয়ার সিটিজেন । অন্যটা ডাক্তার ।

আর পথে অনেক স্থানে অনেক সুবিধা পেলাম এমনকি গয়াতে দিনে পিণ্ড দানের পর আহার আর রাত্রিও বাস।
আমাকে ভারতাশ্রমের প্রধান সাধু আমার পরিচয় পেয়ে খুলে দিলেন সব চেয়ে ভাল ঘর। গয়াতে থাকা খাওউ=ইয়ার ভাল স্থান নাই আস্রম ছাড়া।

আমার অসুখের জন্য একটা পরিক্ষা করাতে হল কিডনির । বাংলাদেশে হয়না, । ইলেকট্রন মাইক্রগ্রাফিক স্টাডি , আমাকে সেজন্য যেতেই হল। আমার চিকিতসা সব সময় আমি বাংলাদেশে করি এমনকি আমার ক্যান্সারের চিকিতসা হয়েছে বাংলাদেশে , করেছে আমার ছাত্ররা । আমি খুশি। কিন্তু সেই পরীক্ষার জোনয় যেতে হল চেন্নাই এপোলো তে।
কিডনি কনসালটেন্ট আমাকে দেখলেন । তার সেক্রেটারি কে বললাম ফিস , তিনি বললেন তিনি মানা করেছেন আওনার কাছ থেকে কোন ও ফিস নেবেন না ।
দেখলেন অনেক যত্ন করে । আমার মৌলিক পরিক্কাহ নিরিক্ষা হল ।
এরপর কিডনি বায়োপ্সি । হল এরপর আমাকে থাকতে হল হাস্পাতালে তিন দিন । বলা হলা আপনি ২৫০০০ টাকা জমা দিন পুরো প্যাকেজ । আমি ভাব্ লাম ভুল শুনছি না ত । যাহোক ভর্তি হলাম । পাশের বে ডে আমার স্ত্রী । কেয়ার এত ভাল যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
এরপর আমাকে বিল দিতে এল ক্যাশ থেকে আমি অনুরধ করলাম একটু ব্রেক আপ দিন দেখবন। তিনি ফিরে গেলেন আর বললেন স্যার ঘণ্টা খানেক দেরি হবে,।
এলেন তিনি হাতে ১৪০০০ টাকা ক্যাশ। আমি বললাম কেন? বল্ল ম্যানেজমেন্ট আপনাকে সম্মান করে ফেরত আপনি ডাক্তার , একজন অধ্যাপক আর সিনিয়ার সিটিজেন । আমি বুঝলাম এরা সম্মান করতে যেমন যানে তেমনি ব্যবসা বোঝে যে বিষয়ে আমাদের আছে ঘাটতি ,।
কলকাতাতে সে রকম এক বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক আমার কাছ থেকে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিলেন না । আমি ফিজ জমা দিয়েছিলাম তিনি ফেরত দিলেন , বললেন কাক কাকের মাংস খায়না।
আমি এ কথা বলার অর্থ আমরা অনেক অর্জন যেমন করেছি তেমনি অনেক হারিয়েছি , সম্মান পরস্পর শ্রদ্ধা বোধ আর সততা আর মূল্য বোধ আর কেবল শিক্ষা নয় সব কিছুর মান আর বিশ্ব মানে নেই । একাহ্নেই দুঃখ । জীবন সায়াহ্নে হারাবার কিছু নাই , আর দুখ আর বেদনা নিয়ে দেখি আর সমাজের কর্তারা আশ্চর্য নীরব , সব সরকারের দিকে তাকিয়ে যেন সব করে দেবেন আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা করবেন আর আমরা ভোগ করব। আমাদের দ্য নাই , তা না হলে করোনা কালে কাউকে দেখলাম না সক্রিয় ভুমিকায় , সব বাক্যবাগীশ ।
পেশা জীবীদের সম্মান আগে এত এমন ছিলনা ইদানীং যেন তিক্ত আমি বুঝিনা কোথায় যেন সহনশীলতা , পারস্পারিক শ্রদ্ধা বোধ নাই এতে দুই পক্ষই দায়ি।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়