Dr. Aminul Islam

Published:
2021-01-28 00:38:10 BdST

ভয় পাচ্ছ না তো, রুনুকে অভয় দিলেন প্রধানমন্ত্রী:রুনু জানালেন , না , ভয় লাগছে না


 

 

ডেস্ক
_________________________

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার সদা জাগ্রত , সদা অবিচল ও নির্ঘুম মহান-বীরদের একজন নার্স রুনুকে স্বয়ং বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন ,
‘ভয় পাচ্ছ না তো?’ জবাবে রুনু সবিনয়ে বললেন ‘না’। তার একদম ভয় লাগছে না।

একদম ভয় পান নি রুনু ডিকস্টা। আজ বুধবার এই কথোপকথন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারী নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তার মধ্যে।

বুধবার বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রুনুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন হয়েছে বাংলাদেশের করোনার টিকাদান কর্মসূচি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রুনুর পর যে চারজন টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ ও একজন সেনাসদস্য রয়েছেন।


রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে টিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এতে দেখা গেছে, রুনু ভেরোনিকা কস্তা টিকা নিতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ভয় পাচ্ছ না তো?’ রুনু মাথা নাড়িয়ে ও মুখে বললেন, ‘না’। এরপর তিনি টিকা নেন। টিকা নেওয়ার পর রুনুর উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুস্থ থাকো, ভালো থাকো’। প্রধানমন্ত্রীর এই কথা শেষে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে টিকা নেওয়ার নির্ধারিত স্থান ত্যাগ করেন রুনু।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই দরকার হবে। যাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তিনি নিবন্ধন করতে পারবেন না, আপাতত করোনার টিকাও পাবেন না। অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন শেষ হলে একটি কার্ড ইস্যু হবে নিবন্ধনকারীর নামে। এই কার্ড সুবিধামতো জায়গা থেকে নিবন্ধনকারী প্রিন্ট করতে পারবেন। টিকা গ্রহণের দিন ওই কার্ড কেন্দ্রে আনতে হবে। আর কোন দিন টিকা নিতে হবে, তা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে অনলাইনে নিবন্ধনের বিকল্প হিসেবে অগ্রাধিকার পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।



যেভাবে নিবন্ধন
করোনার টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd)। অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।

সেখানে গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে ধরন নির্বাচন করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, জন্মতারিখ (এনআইডি অনুযায়ী) দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবে না।

তথ্যগুলো ঠিকমতো দিলে বাংলায় ও ইংরেজিতে নাম দেখাবে। এরপর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কো-মরবিডিটি থাকলে সেটা বলতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর পেশা এবং কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সেটি বলতে হবে।



সবশেষে টিকা গ্রহণকারীর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক, সেটি দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।

টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়া
প্রথমে টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে ‘যাচাই করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিবন্ধনের সময় দেওয়া মুঠোফোনের নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ওটিপি (ওভার দ্য ফোন) কোড দিয়ে ‘ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করলে টিকা কার্ড ডাউনলোড হবে।

এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া টিকা গ্রহণের তারিখে নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকা নেওয়া যাবে। এ সময় টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল থেকে টিকা সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

সরকারের পরিকল্পনা
আগামী ছয় মাসে তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। জনপ্রতি দুটি করে মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এরই মধ্যে দেশে এসেছে। ২১ জানুয়ারি ভারত ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। আর ২৫ জানুয়ারি সোমবার, ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে।

 

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়