SAHA ANTAR
Published:2020-11-08 02:32:10 BdST
কোন ওষুধ খাবেন , কোন ওষুধ খাবেন না
ডা. সুলতানা আলগিন
সহযোগী অধ্যাপক মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
কনসালটেন্ট ওসিডি ক্লিনিক ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা
______________________________
কোন ওষুধ খাবেন , কোন ওষুধ খাবেন না: এটা আমাদের সকলের জানা উচিত। সকলের সচেতন হওয়া উচিত। বিশ্বের উন্নত অনুন্নত অনেক দেশের নাগরিকদের মাঝে এই সচেতনতা গড়ে উঠেছে প্রবল ভাবে । বাংলাদেশ পিছিয়ে।
আমি এখানে সুনির্দিষ্ট ভাবে পয়েন্ট গুলো বলছি।
১. ওষুধ খাওয়া কোন ক্রেডিট নয়। যখন দরকার , তখন আবার এটা না খাওয়াও ক্রেডিট নয়।
কখনওই ওষুধের দোকান থেকে মুদি দোকানের সওদার মত ওষুধ কিনে খাবেন না।
২. ওষুধ দোকানির পরামর্শেও ওষুধ কিনে খাবেন না।
৩. ওষুধ খেতে হলে রেজিস্টার্ড এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ মত খাবেন ।
৪. ভাবছেন প্যারাসেটামল, কৃমির ওষুধ, পেট ব্যথা, মাথা ধরার ওষুধ কোন ফার্মেসিঅলার পরামর্শ নিয়ে খেলে কি ক্ষতি। পয়সা তো বাচঁলো।
এই অভ্যাসটাই আপনার আমার সবচেয়ে ক্ষতির কারণ।
যে কোন ওষুধ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মত কিনে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটা যত পারেন পরিবারে , সমাজে , সম্প্রদায়ে আবশ্যিক ফর্জ করুন।
৫. কবিরাজ, ওঝা, হাতুড়ে ডাক্তার , হাঁটু ভাঙা, হাড় ভাঙা ডাক্তার দের পরামর্শে ওষুধ খাবেন না।
৬. যে কোন রোগে ১০০ পার্সেন্ট রোগ নিরাময়ের গ্যারান্টি দানকারী কথিত "ডাক্তার"দের পরামর্শে ওষুধ খাবেন না।
৭. কথা ও মিথ্যা অাশ্বাসের লোভ দেখিয়ে ক্যান্সার সহ নানা জটিল ব্যাধির নিরাময়ের গ্যারান্টি দেয় যে ভন্ড ডাক্তার , তার ওষুধ খাবেন না। নিজ ধর্ম অনুযায়ী ঈশ্বরআল্লাহভগবানে ব্যাক্তিগত বিশ্বাস ছাড়া একশ পার্সেন্ট গ্যারান্টি কিছু নেই।
৮. যৌন রোগের পেশেন্টরা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রকৃত যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে আসেন বলতে গেলে সব সম্ভাবনা হারিয়ে ও হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে হালুয়া , সালসা খেয়ে নিজের বারোটা বাজিয়ে।
যৌনরোগ কিন্তু প্রকৃত ডাক্তারদের কাছে কোন গোপণীয় বিষয় নয়। প্রকৃত রেজিস্টার্ড বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে আসুন। বিএসএমএমইউর মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সেক্স ক্লিনিকে আসুন। সব খুলে বলুন। বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
৯. ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে গেলে অবশ্যই মেয়াদ দেখবেন। এটা ভুলবেন না। নিজে দেখতে না পারলে সঙ্গে কাউকে নিয়ে যান , যে সেটা দেখে দেবে। খেয়াল রাখবেন , এই মেয়াদ যেন কয়েক মাস থাকে। এবং সেটা যেন মূল প্যাকেটে ও ওষুধের বোতল বা ফয়েলে ছাপা থাকে।
১০. মেয়াদ ঘষামাজা করা ওষুধ ভুলেও খাবেন না। কোন দোকানে মেয়াদ ঘষা ওষুধ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিন।
১১. ওষুধের অসাধু দোকানে অনেক সময় ঘষা মাজা করার পর সিল মারা মেয়াদ থাকে। সে ওষুধ খাবেন না।
আপনার মতামত দিন: