Ameen Qudir
Published:2017-01-29 13:50:09 BdST
সাংবাদিকের খুলি নিয়ে মিথ্যা সাংবাদিকতা : মুর্খতা আর কাকে বলে !
ডা. তরফদার জুয়েল
________________________________
আবার তোরা মানুষ হ ।
প্রথম আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জিয়াকে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পাঠালেন একজন মহান ব্যক্তি। সেই মামলার যে কি হইছে কেউ জানে না। ওই অপরাধে জড়িত ব্যক্তির কি হইল তাও কেউ জানে না।
মুমূর্ষু জিয়াকে চিকিৎসা দিলেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক আর মাথায় আঘাতের জন্য নিউরোসার্জারি করল এপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক।
ব্রেনের প্রেসার রিলিজ করার জন্য অপারেশনের পর মাথার চামড়া ক্লোজ করে জিয়ার মাথার খুলির একাংশ আলাদাভাবে বোন ব্যাংকে রিজার্ভ করা হল, যা সাধারণত রোগির সংকটাবস্থা কেটে গেলে কিছুদিন বা কয়েকমাস পর আবার প্রতিস্থাপন করা হয়।
মাঝখানে রোগিকে উন্নত চিকিৎসারর জন্য সিংগাপুর নেয়া হল। কিন্তু মাথায় নতুন করে কোন নতুন অপারেশন করা হয় নি শুধু বুকের ইনফেকশনের চিকিৎসা দেয়ার পর জিয়া চোখ খুললে এবং সংকটময় অবস্থা কেটে গেলে মাথার খুলির খুলে রাখা অংশ প্রতিস্থাপন করার কথা বলা হয় এবং এপোলো হাসপাতালের বোন ব্যাংক থেকে খুলির অংশবিশেষ চাওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে কতিপয় সংবাদ ব্যবসায়ী খবর ছড়ালেন-
"এদেশে চিকিৎসা হয় না। এদেশে ডাক্তাররা অপারেশনের সময় রোগির মাথার খুলির অংশ খুলে রেখে দেয়"।
শেষ পর্যন্ত এটাই মনে হল-
"একজন রোগি মাথার খুলির একটা অংশ ছাড়া বিদেশে গিয়ে সুস্থ হল আর এদেশের কতিপয় ব্যক্তি খুলির মধ্যে মগজ নিয়ে ঘুরেও মানসিকভাবে অসুস্থই থাকল।"
এইদেশে একজন "এটেম্পট টু মার্ডার" এর মত অপরাধ করেও আজ অবধি হিরো আর একজন মুমূর্ষু রোগিকে বাচানোর চেষ্টা করেও ভিলেন। এই সিনেমার নির্মাতাদের একটা কথাই বলব-
"আবার_তোরা_মানুষ_হ"
এদেশে চিকিৎসা ও চিকিৎসক নিয়ে ঢালাওভাবে নেতিবাচক মন্তব্য প্রচার করে কে লাভবান হবে আর কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভাবার সময় কি এখনো আসে নি?
নাকি
এখনো_অনেক_রাত ।
___________________________
ডা. তরফদার জুয়েল।
স্নাতকোত্তর (এফসিপিএস) শিক্ষার্থী,
সাবেক ছাত্র- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
আপনার মতামত দিন: