ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-06-14 16:11:22 BdST

কয় দিনে তৈরি হয় একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চিকিৎসক?


 

প্রয়াত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক কিবরিয়া স্যার। একজন বিরিয়া স্যার তৈরী হয় বিপুল অভিজ্ঞতা ও কর্মের সাধনায়। ফাইল ছবি।

ডেস্ক
______________________


করোনায় অব্যাহত মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে একের পর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অধ্যাপকের নাম। মৃত্যুর কাফেলা রোখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের হচ্ছে অপূরণীয় ক্ষতি। এই ক্ষতি সহসা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। একজন অধ্যাপক চিকিৎসক তৈরী হয় বিপূল কর্মদক্ষতা , সাধনা , অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। সেই দক্ষতা , অভিজ্ঞতার পূর্ণ সুফল পায় বাংলাদেশ। তারা লাখো রোগীর জীবন বাঁচান। কিন্তু এখন মৃত্যু কাফেলায় যোগ হচ্ছে তাদেরই নামের।জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরাও পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।
 
এই প্রেক্ষিতেই

ডাঃ অসিত বর্দ্ধন প্রশ্ন তুলেছেন,

কয়দিনে তৈরি হয় একজন অধ্যাপক ?

চিকিৎসক হারানো এই সর্পিল স্লাইড বন্ধ হবে কিভাবে?

ডাক্তারদের জন্য হাসপাতালের বরাদ্দ হয়েছে, এখন জনবল ঠিক করুন ।

কতজন বিশেষজ্ঞ , কতজন মেডিকেল অফিসার , সহায়ক জনবল আছে, কতজন আছে, এবং ঘাটতি থাকলে বাকিদের দ্রুত পদায়ন দরকার।

অযাচিত বা কোয়াকের মত নয়, ইভিডেন্স বেসড চিকিৎসার গাইডলাইন তৈরি হোক।

চিকিৎসক দের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক নিয়ে একটা বোর্ড থাকুক, তারা আশঙ্কাজনক সকল চিকিৎসকের ফাইল পর্যালোচনা করুন অনলাইনে।

আসুন সবাই মিলে সকল চিকিৎসকদের জীবন বাঁচাতে একসাথে কাজ করি।

@.

২.

নর্তকী , যাত্রা পালা ও কেটি প্রাইস

আপনি একজন চিকিৎসক হলে শেষ পর্যন্ত পড়ুন! অন্যকে পড়তে দিন!

আয়ারল্যেন্ডে ডাবলিন শহরে শিশুদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল আছে ২টা । তার একটার নাম টেম্পল স্ট্রিট হাসপাতাল। এই হাসপাতালে এমআর আই সুইটের সামনে লেখা আছে, ফান্ড রেইসড বাই কেটি প্রাইস। ( নাম টা আমার ভুল হতে পারে, অনেকদিন আগের কথা। জিন্নুর ভাই বা আরমান , আপনারা সংশোধন করে দিয়েন প্রয়োজন হলে ) । কেটি প্রাইস ভদ্রমহিলা একজন সোসালাইট অর্থাৎ তিনি তার সামাজিক বিচরণের (পার্টিতে যাওয়া এবং খবরের শিরনাম হওয়া ) জন্য বিখ্যাত। তিনি চ্যারিটির মাধ্যমে একাই এই মেশিনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তুলে দান করেছেন হাসপাতালে। এবং সেটি অসংখ্য শিশুর সেবায় লাগছে। আবার উনার নাম খোদাই করে রাখাতে প্রচুর মানুষ তা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাসপাতালের ফান্ডে টাকা দান করছেন। এতে সরকারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে।
যারা আমার মত ৭০ এর দশকের কোন সময় গ্রামে কাটিয়েছেন, তারা জানেন যাত্রা পালা কি জিনিষ! টিভি সহজলভ্য ছিল না, কিন্তু যাত্রা ও পালা গান তার অভাব পূরণ করত। সেই দশকের শেষের দিকে যাত্রা পালার সাথে নাচ যোগ হয়, দৃষ্টিনন্দন থেকে ধীরে ধীরে তা দৃষ্টিকটু হতে থাকে। মুল বিষয় হল যাত্রা পালা নিয়ে এসে পাড়ার ক্লাব গুল তাদের আর্থিক ঘাটতি মেটাত।

করোনার সাথে যুদ্ধে আজ ডাক্তারেরা আর সব রোগীর মতই অসহায় । অভাব HFNC ( হাই ফ্ল নাসাল কানুলা) ও অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের। অভাব মান সম্পন্ন চিকিৎসার। টাকা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিচে এক অর্বাচীন প্রস্তাব করছি , বাস্তবায়নের জন্য অনেকের সদিচ্ছা লাগবে।

যেখানে আইসিইউ আছে সেরকম একটা হাসপাতালে ২০-২৫ বেড ডাক্তার দের জন্য রাখা হোক। প্রত্যয়কে জেলায় এরকম একটা বেসরকারি হাস্পাতাল নির্দিষ্ট করা হোক। প্রত্যয়কে জেলার চিকিৎসক অর্থ অনুদান দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সেই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক HFNC কিনুন।( প্রত্যেক জেলায় দিনে লাখ টাকার কাছে আঃয় করেন এমন একাধিক চিকিৎসক আছেন, ) সেই হাসপাতালে প্রত্যেক জেলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটা প্যানেল থাকুক। তারা অনলাইনে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিন।
ডাক্তারদের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল বরাদ্দের সরকারি ঘোষণা এসেছে না কি আসে নাই বুঝতে পারছি না। আমি ফেসবুকে দেখলাম বরাদ্দ হয়ছে, পরে পোস্টের নিচে দেখি মন্তব্য করেছেন কেউ যে আসলে বরাদ্দ হয়নি।
গনি মিয়াঁর মত অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজেরা এগিয়ে এসে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারি কি ?

রা মে ক ২৫

______________________________

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়