রাতুল সেন

Published:
2020-06-09 14:33:21 BdST

কোটি কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা হোক, খরচ আমি দেব: বিল গেটস




ডেস্ক
_____________________


এগিয়ে এলেন বিল গেটস। এগিয়ে এলেন করোনা রোগ বিনাশে বৈজ্ঞানিক ও মেডিকেল চিকিৎসায় অফুরন্ত সহায়তা নিয়ে।
করোনা কারণে আজ গোটা পৃথিবী বিধ্বস্ত। এখনও পর্যন্ত ৬৭ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
মানবজাতিকে বাঁচাতে প্রতিষেধকের খুবই প্রয়োজন। প্রতিষেধকের অভাবে মানুষদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরতে দিতে চান না বিল গেটস। করোনার ভ্যাকসিন তৈরির পর তা বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলির কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি। এই মর্মে বিশ্বের সবকটি দেশের গবেষণা সংস্থাগুলিকে কোটি কোটি প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য খরচ দিতে চায় তাঁর ফাউন্ডেশন।

বিল গেটস বলেন , করোনার সফল টিকা পাওয়া গেলে তা বিশ্বের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বিল গেটসের সংস্থা মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করছে।

পেনসালিভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের করোনা ভ্যাকসিন গবেষণার কাজে সব আর্থিক অনুদান দিয়েছেন বিল গেটস ও তাঁর সংস্থা মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আগাম পরিকল্পনাও করে রেখেছেন বিল গেটস। বিশ্বের কোন দেশ ভ্যাকসিনের গবেষণায় কতদূর এগোল তা জানতেও প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন তিনি।

বিল গেটস বলেন, এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তাঁর ফাউন্ডেশন। বছরে ১০০ কোটি বা ২০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা গেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে দ্রুত সেই ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলিতে।

_________________________________

 

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়