ডাক্তার প্রতিদিন

Published:
2020-05-18 16:26:54 BdST

বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপী ডোনার ডা. আল আমিন সেতু একজন গর্বিত চিকিৎসক


 ডা. অসিত মজুমদার

______________

 

ডা. আল আমিন সেতু ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হতে এমবিবিএস পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে আরপি হিসেবে কর্মরত আছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সময়কালীন নিজের জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের ফ্লু ইউনিটে ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বর্তমানে তিনি করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে আরেকটি গর্ব করার মত কাজ করেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ যখন কোভিড ১৯ রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপির সিদ্ধান্ত নিলেন তখন ডা. আল আমিন সেতু প্লাজমা দান করে বীরের কাজটিই করেছেন। আমরা ডা. সেতুর জন্য গর্বিত।

ডা. আবদুন নূর তুষারের ওয়াল থেকে আংশিক পরিবর্তিত

প্রসঙ্গত বিধায় বলা হচ্ছে "কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপী" হলো এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যারা সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের শরীর থেকে রক্তরস বা রক্তের জলীয় অংশ অর্থ্যাৎ প্লাজমা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে দেয়া।

এটা এখনো কোন প্রমাণিত চিকিৎসা নয় তবে অধিকাংশ ট্রায়ালে রোগীর শরীরে কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নাই। একটি ট্রায়ালে ৪৩% মৃত্যুর হার কমে গেছে বলেও বলা হয়েছে।

প্রথম দিকে সেরে যাওয়া রোগী পাওয়া যায় না বলে প্লাজমা থেরাপী করা সম্ভব হয় না। কারন প্লাজমা দেবে কে? কিন্তু ধীরে ধীরে পুরো সেরে গেছেন এমন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে যথেষ্ট ডোনার বা প্লাজমা দাতা পাওয়া যায় ও চিকিৎসাটি দিয়ে ফলাফল গবেষণা করা ও রোগ সারানো দুটোই করা যায়।

সুখের সংবাদ হলো বাংলাদেশে প্লাজমা চিকিৎসা শুরু হয়েছে এবং এই নিয়ে একই সাথে গবেষণাও করা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের দুজন চিকিৎসক কাশফিয়া ও মামুন এই কাজটি শুরু করেছেন। তাদের তত্ত্বাবধায়ক, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাজহারুল হক তপন ।

আপনাদের মধ্যে যারা সেরে গেছেন তারা এই মহৎ কাজটি করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ২০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার প্লাজমা দান করলে আপনার শরীরের কোন ক্ষতি হবে না বরং একজন রোগীর জীবন রক্ষা হতে পারে। শুধু তাই নয় এই গবেষণাটি পৃথিবীর একটি বিগ ট্রায়ালেও পরিণত হতে পারে যার মধ্যে আপনি অবদান রাখতে পারেন।

প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে বা গর্ভবতী নন এমন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে দাতা, যার কোভিড ১৯ ইনফেকশন হয়েছিল এবং সেরে গেছেন, তারা এই প্লাজমা দিতে পারেন। প্লাজমা কেবল রক্তের জলীয় অংশ, সেখানে লোহিত কণিকা থাকবে না। ফলে শরীরের রক্ত কমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।

এটা দিলে সাথে অনেকগুলি রক্ত পরীক্ষাও ফ্রিতে হয়ে যাবে। গ্রুপিং থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস সহ অনেকগুলি রোগএর পরীক্ষা করে আপনার প্লাজমা নেয়া হবে । ফলে আপনার কিছু উপকারও হবে।

যারা এরি মধ্যে আক্রান্ত হয়ে সেরে গেছেন তারা চাইলে আরেকজনের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।

যোগাযোগ করতে হবে

ডা. কাশফিয়া ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ . কক্ষ নং ২৩৮, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ডা এ বি এম আল মামুন
রেজিস্ট্রার
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ , ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ফোন – 01711349834 , ০১৭১১২৪৯৮৩৪

আশা করছি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন আমাদের দেশের সেরে যাওয়া রোগীরা। প্লাজমা দিয়ে কোভিড যুদ্ধে অন্য একজনকে বাঁচিয়ে প্রমাণ করুন

সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

____________________

AD..

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়