ডাক্তার প্রতিদিন
Published:2020-05-11 15:28:00 BdST
করোনা মোকাবিলায় জরুরি করণীয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডাক্তারদের খোলা চিঠি
ডা. এস এম ফরিদুজ্জামান
____________________________________
কোভিড-১৯ মহামারি সংকট মোকাবিলায় জরুরি করণীয় সম্পর্কে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে চিকিৎসক প্লাটফর্ম : "ডক্টরস ফর হেলথ এন্ডএনভায়রনমেন্ট ।
চিঠি নিম্নরুপ -----------------
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা।
বিষয়ঃ 'কোভিড-১৯' মহামারি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে কতিপয় প্রস্তাব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।
কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশ এখন এক গভীর সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। একদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে দেশবাসী ভীতিকর জীবনযাপন করছে ।
কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালুতে বিলম্ব ঘটা আজকের এই ভয়াবহ দূরাবস্থা উদ্ভবের জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে অনেকে মনে করেন। ইতিমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ও এক জন মেডিক্যাল এ্যাসিস্টান্ট করোনায় মৃত্য বরণ করেছেন, প্রায় এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী (চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরো অনেকে সন্দেহভাজন হিসাবে 'সংগনিরোধ' অবস্থায় রয়েছেন। এসব চিকিৎসকদের বড় অংশই কোভিড-১৯ রোগীর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের বাইরে অন্যত্র চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। শারীরিক দূরত্ব রক্ষায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দও ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে নয় শত পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও মৃত্য বরণ করেছেন ৬ জন। সাংবাদিক মারা গেছেন দুইজন এবং আক্রান্ত অনেকে। মোট আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তেরো হাজার এবং মৃত প্রায় ১৯০ জন।
কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংকটে দেশে চিকিৎসক ও সেবিকাদের পাশাপাশি টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মারাত্মক ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ ও ফলাফল প্রদানে ধীরগতি( এমন কি ৬/৭ দিন পর্যন্ত) দেখা যাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যাক্তিরা করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন এবং করোনাবাহি ব্যাক্তি রোগ ছড়াচ্ছেন, অন্যদিকে সামাজিক সংক্রমণ এর প্রকৃত চিত্র ও মৃত্যুর সঠিক হার জানা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ ল্যাবে RT-PCR এর মাধ্যমে রোগ সনাক্তকরণের ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যায় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তারের ভয়াবহতা, ভঙ্গুর লকডাউন কার্যক্রম, অবাধ সামাজিক সংক্রমণ, অপ্রতুল ও মানহীন সুরক্ষা সরঞ্জামাদির সরবরাহ ইত্যাদি কারণে প্রথমদিকে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কিছু ব্যাক্তির বক্তব্য ও ভূমিকা চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি ও তাঁদেরকে অনেকটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
দেশের চিকিৎসকদের বৃহৎ অংশ আজ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কর্মরত। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা বহুগুণ বিস্তৃত হওয়া উচিত ছিল। এমতাবস্থায় সরকার করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সমগ্র চিকিৎসক সমাজের বদলে শুধুমাত্র সরকারি চিকিৎসকদের করোনা চিকিৎসায় প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে তা সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে এবং তা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণে অনাগ্রহের জন্ম দিতে সহায়ক হয়েছে। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত নন এমন রোগী চরম ভোগান্তির শিকার। এর অন্যতম কারণ হলো - এবিষয়ে সরকারের কোন সঠিক দিকনির্দেশনার অনুপস্থিতি। ফলে, অন্যান্য রোগে আক্রান্ত জনগণ জরুরি চিকিৎসা সেবা ঠিকমত পাচ্ছেন না। চারদিকে চলছে জনতার অব্যক্ত আহাজারি। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সদস্যবৃন্দ (সরকারি ও বেসরকারি) করোনা বিপর্যয়ের শুরু থেকে যার যার অবস্থান থেকে রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা প্রদান ও জনগণের মধ্যে বিভিন্ন রকম সামজিক সহযোগিতার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর উপর সচেতনতা তৈরি, কর্মকৌশল নির্ধারণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে ইতিমধ্যে আমরা সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি। আমরা মনে করি যে চিকিৎসক ও জনগণের প্রয়োজনে, করোনা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের প্রকৃত চিত্র অবগত হয়ে, আপনার সদয় দিকনির্দেশনায় করোনার বিরুদ্ধে চলমান এই এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।
উপরিল্লিখিত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে "ডক্টরস ফর হেলথ এন্ডএনভায়রনমেন্ট" কোভিড-১৯ মহামারি সংকট মোকাবিলায় জরুরি করণীয় সম্পর্কে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।
১) কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় সব সরকারি- বেসরকারি চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানকে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনমত নির্দিষ্টকৃত হাসপাতালগুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের টিম তৈরি করে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
২) প্রতিটি হাসপাতালে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ক্লিনার ও নিরাপত্তাকর্মী সহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণকর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন পিপিই প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করা।
৩) করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক কারণ দর্শাও নোটিশ/বদলি আদেশ প্রত্যাহার করা।
৪)সর্বসাধারণের জন্য বিনামূল্যে অথবা সুলভে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
৫) সকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অঞ্চল/এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠিত ও মানসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত Rapid Test ( CE/CDC/FDA অনুমোদিত এন্টিজেন/এন্টিবডি নির্ণয় টেষ্ট অথবা করোনা আক্রান্ত কোন দেশে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে- এমন কোন টেষ্ট) করার অনুমতি দেয়া।
৬) যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবে RT-PCR এর ব্যবস্থা আছে সেগুলো সহ সকল মেডিক্যাল কলেজ (সরকারি ও বেসরকারি) সমূহের প্যাথলজিকাল ল্যাবগুলোকে "Biosafety Level-2" মানে উন্নতকরণে সহায়তা দিয়ে করোনা টেষ্টের ব্যবস্থা করা।
৭) প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি "করোনা টেস্টিং ল্যাব" এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্যাম্পল সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা এবং সেসব কার্যকর করার জন্য দ্রুত প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া।
৮) কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল সমূহে পর্যাপ্ত ICU & HDU বেড এবং Invasive & Noninvasive ভেন্টিলেটর থাকতে হবে। সাধারণ বেডগুলোর জন্য থাকতে হবে নিরবিচ্ছিন্ন হাইফ্লো অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা ও Finger Pulse oximeter।
৯) প্রতিটি হাসপাতালে "ফ্লু কর্নার" এর পাশাপাশি "OPD TRIAGE System" চালু করে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীদের সেই হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে রেখে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। এতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয়, এমন সকলের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। এক্ষেত্রে পিপিই এর যৌক্তিক ব্যবহারও নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি জরুরি Surgical & Obstetrical সেবা প্রদানে পর্যাপ্ত পিপিই -এর প্রাপ্যতা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে নিশ্চিত করা।
১০) কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় নূতন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক টেকনোলজিষ্ট ও ক্লিনার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাকর্মী দ্রুত নিয়োগ দেয়া ও তাঁদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া।
১১) সকল চিকিৎসা সেবাকর্মীদেরকে চিকিৎসা প্রদান, স্যাম্পল সংগ্রহ, স্যাম্পল পরীক্ষা, সঠিক নিয়মে পিপিই ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পিপিই (FFP3/FFP2/N-95 মাস্কসহ) ব্যবহারে Standard Operating Procedure (SOP) প্রস্তুত করা এবং তা সকল চিকিৎসাকর্মীদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।
১২) চিকিৎসকদের জন্য যথাযথভাবে পিপিই ব্যবহার ও একই পিপিই একাধিকবার ব্যবহার কৌশল, কোভিড-১৯ চিকিৎসা বিষয়ক অনলাইনে Continuous Medical Education (CME)-এর ব্যবস্থা করা এবং কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার জন্য তরুণ চিকিৎসকদের উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস নেয়া।
১৩) নির্দিষ্টকৃত কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রোগীর ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সুস্থতা নির্ণায়ক( Criteria) কঠোরভাবে মেনে
চলা। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর মৃত দেহ দ্রুত দাফন বা শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা।
১৪) সব হাসপাতালে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করোনা প্রতিরোধের বিধি মেনে "বিধিমালা-২০১৬" অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
১৫) লকডাউন নিশ্চিত করার জন্য, উপার্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারগুলোকে সেনা সহায়তায় রেশন কার্ড প্রদান করে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।
১৬) লকডাউন তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে Technical Advisory Committee ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন ও কোভিড-১৯ সংকট নিয়ন্ত্রণে সফল দেশ গুলোর উদাহরণ সামনে রেখে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা। প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকা/অঞ্চল ভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা।
১৭) দীর্ঘদিন লকডাউন চালু থাকার কারণে জনগণের মধ্যে সৃষ্ঠ বিভিন্ন রুগ্নতা ও মানবিক বিষয় সমূহ যেমন -খাদ্যাভাব, পুষ্টিহীনতা, মনো-বৈকল্য ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া।
১৮) সকল বিমান ও স্থল বন্দরে বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনকারী ও আগত সকলকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখার ব্যবস্থা করা।
১৯) শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কাজে সক্রিয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, বিমান ও স্থল বন্দর সমূহের কর্মীদের পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ করা।
২০) করোনা মোকাবিলায় ভিয়েতনাম, চীন, কিউবা, ভুটান, নেপাল, কেরালা, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কম মৃত্যু হারের এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রতিরোধের ও চিকিৎসার জন্য (ঔষধের মাধ্যমে প্রতিরোধ-drug prophylaxis . সহ) পদক্ষেপ নেয়া।
২১) সেনা বা পুলিশ সদস্যদের জন্য যেভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, সেভাবে সকল চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবাকর্মীদের জন্য হাসপাতাল বা হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্টকরণ করা।
২২) বাংলাদেশে প্রাপ্ত কোভিড-১৯ এর স্যাম্পল থেকে করোনা ভাইরাসের জেনোমিক সিকুয়েন্স নির্ণয়, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, প্রতিরোধ, প্রতিষেধক ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেয়া এবং সে জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
২৩) করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজ গৃহে, কর্মক্ষেত্রে 'স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিরাপত্তার' ব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে ও কোয়ারেনটাইনে থাকা ও খাবারের সুব্যবস্থা করা এবং কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত পরিবহনের ব্যবস্থা করা।
এসব বিষয়ে আপনার সদয় দিকনির্দেশনা কামনা করি; আশাকরি সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হবো।
সভাপতি
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আবু সাঈদ
সাধারণ সম্পাদক
অধ্যাপক ডাঃ কাজি রাকিবুল ইসলাম
ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট
কেন্দ্রীয় কমিটি
তারিখঃ- ১০/০৫/২০২০
অবগতির জন্য প্রেরিত হলো-
১। মাননীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
আপনার মতামত দিন: