Ameen Qudir

Published:
2020-04-14 16:35:09 BdST

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সদের কান্না : ও রাষ্ট্র , তুমি শুনতে কি পাও!


এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চাকুরি বৈরী পরিবেশের কারণে ভুক্তভোগী কোন স্বাস্থ্যসেবী সৈনিকের ছবি দেয়া হল না। প্রতিকী ছবি হিসেবে একজন করোনাক্লান্ত নার্সের ছবি দেয়া হল।



ডা. সাহাদাত হোসেন রাজু
_____________________

রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা খাবার পাচ্ছেন না। অদ্ভুত এই সত্য। তারা সন্তান পরিজন সবাইকে দুশ্চিন্তার পাহাড়ে রেখে অক্লান্ত কাজ করছেন। সন্তান কাঁদছে বাড়িতে । তারপরও মানুষের জীবন রক্ষায় অদম্য ডাক্তারদের সঙ্গে তাদেরও জীবনপণ লড়াই : অসহায় রোগীদের জীবন রক্ষা করতে হবে। হাসপাতালটির অবকাঠামো শক্ত নয়। লোকবল কম। তদুপরি এখন ভয়াবহ করোনাকাল। তারা লড়ছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হল এই জীবনরক্ষাকারী সৈনিকদের মুখে প্রয়োজনীয় খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেই। তারা খাবার সঙ্কটে ভুগছেন। তাদের সন্তান কাঁদছে ঘরে। আর তারা কাঁদছেন অব্যাক্ত। ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময় হাসপাতালে বসে তারা কাতর ও অবসন্ন। ও রাষ্ট্র , তুমি শুনতে কি পাও! তাদের ওপর নতুন ভয় , চাকুরি হারানোর। কি বিপন্ন এই সত্য। নেই অবসর। আছে ভয়।

হাড়ভাঙা খাটুনির পর নার্সদের খাদ্য দিতেই হবে। সারা বিশ্বে তাই রীতি। আর এখানে ঠিক উল্টো। জানা যায়, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্না করা নিম্নমানের খাবার তাদের দেয়া হত। কিন্তু বাজেট না থাকার তথাকথিত কারণে ১২ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নার্সদের না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো ডিউটি শেষ করে পরিবার-পরিজনের কাছে বাসায় ফিরে সময় কাটাতে পারছেন না। হাসপাতালে ডিউটি শেষে তাদের উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে থাকতে হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত ৮৭ জন নার্সের অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ও রাষ্ট্র , তুমি এই কান্না শুনতে কি পাও!

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়