Ameen Qudir
Published:2017-01-11 16:36:01 BdST
আসুন জীবনচিত্রী জিয়া ইসলামের পাশে দাঁড়াই
ডা. সুলতানা আলগিন
________________________
মনটা কয়েকদিন ধরে বিষাদে ভরে আছে। দেশের মানুষের প্রিয় আলোকচিত্রী
জিয়া ইসলামের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। যার ক্যামেরা মূর্ত হচ্ছে বাংলাদেশের মুখ; সেই মানুষটি এখন জীবনের জন্য লড়ছেন ।
এই সদাহাস্যমুখ মানুষটি অসম্ভব ভাল । জীবনের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সৎ নির্ভিক সাংবাদিক।
তিনি নিজের কাজকেই মেনেছিলেন পরম ধর্ম । কর্মকেই নিয়ে পৌছেছিলেন খ্যাতির চরম শিখরে।
সেই মহাপ্রাণ জিয়া ইসলাম আজ জীবনসঙ্কটের মুখোমুখি।
দেশের চিকিৎসক সমাজ তার জীবন রক্ষার জন্য আপ্রাণ প্রয়াস চালাচ্ছেন। নিশ্চয়ই তিনি আবার ফিরে আসবেন নিত্য জীবনের ব্যস্ততায়।
দেশের চিকিৎসক সমাজের কাছে আমার আকুল আহবান, আসুন , এই নির্লোভ নিরীহ সৎ মানুষটির পাশে দাঁড়াই। তার জীবন রক্ষায় সবরকম সুব্যবস্থা যাতে নেয়া হয় , সেজন্য অাকুতি জানাই সরকারের কাছে।
সোমবার রাতে এক বেপরোয়া গাড়ির অাঘাতে
পথ দুর্ঘটনার পর জিয়া অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সংকটাপন্ন অবস্থা দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর একটি পা ভেঙে গেছে। তবে সবচেয়ে গুরুতর হলো মাথার আঘাত।
মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে জিয়া ইসলামকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে পর্যবেক্ষণের সময় বাড়তে পারে।
প্রায় দুই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে বহুবার হামলা ও দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন জিয়া ইসলাম। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনাতেও তিনি আহত হয়েছিলেন। আহত হলেও তিনি ক্যামেরা ছাড়েননি। ২১ আগস্ট হামলার বহুল প্রচারিত ছবিগুলোর বেশির ভাগই জিয়া ইসলামের তোলা।
_______________________
ডা. সুলতানা আলগিন
সম্পাদক , ডাক্তার প্রতিদিন ।
________
সহযোগী অধ্যাপক , মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
আপনার মতামত দিন: