Ameen Qudir

Published:
2019-12-28 23:57:35 BdST

বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন?




অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল
পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক :‘শব্দঘর’
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের শীর্ষ জনপ্রিয় লেখক
_________________________

বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে অতি সম্প্রতি পরিচালিত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের (২০১৮-২০১৯) দিকে তাকাতে হবে আমাদের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আর্থিক সহযোগিতায় দেশব্যাপী এ জরিপ পরিচালনা করে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সরাসরি কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (BMRC) এবং বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকও (BBS) যুক্ত ছিল এই গবেষণায়। আট বিভাগের ৬৪ জেলায় ৭,২৭০ জনের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়। শিশু-কিশোরদের মধ্যেও আলাদাভাবে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ১৭ শতাংশের মধ্যে কোনো না কোনো মানসিক রোগের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে মানসিক রোগের হার ১৪ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত ৭ পার্সেন্ট। আর শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যার হার ৬ পার্সেন্ট। রোগের প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি মানসিক রোগের প্রতি মানুষের মনোভাব এবং সংস্কারের বিষয়েও গবেষণা করা হয় এই জরিপে। দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে মানসিক রোগ বিষয়ে কুসংস্কারের হার বেশি। আরো দেখা যায়, প্রায় ৯৪ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগ থাকা সত্ত্বেও চিকিত্সার আওতায় আসছেন না। এ পরিস্থিতিকে বলে ‘ট্রিটমেন্ট গ্যাপ’। একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হলো যারা মানসিক রোগের চিকিত্সা নিতে উত্সাহী হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই সরকারি ও বেসরকারি চিকিত্সকদের কাছেই যাচ্ছেন, চিকিত্সাকেন্দ্রে এসে চিকিত্সা নিচ্ছেন। পূর্ববর্তী বিভিন্ন গবেষণার সঙ্গে ইতিবাচক একটি পার্থক্য এখানে দেখা গেছে—আগে রোগাক্রান্ত বড়ো অংশ মানসিক রোগের চিকিত্সার জন্য অপচিকিত্সার দ্বারস্থ হতেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগী বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিত্সা গ্রহণ করছেন। এই গবেষণার ফলাফলের আলোকে সুপারিশ প্রণয়ন করা হয় :এর একটি হলো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য আলাদা ডিরেক্টরেট স্থাপন করা, জেলা পর্যায়ে চিকিত্সকদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পদ বাড়ানো এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা। সমীক্ষা থেকে আরো দেখা যায়, মাথাব্যথাসহ শারীরিক অনেক সমস্যা ঘটে থাকে মানসিক রোগের কারণে। অথচ রোগীরা শুধু শারীরিক সমস্যা নিরাময়ের জন্য চিকিত্সকদের কাছে গিয়ে থাকেন। আর এ কারণেই জেনারেল প্র্যাক্টিশনারদেরও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকেরা। অথচ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষা কারিকুলাম বা এমবিবিএস কোর্সে মানসিক স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা এবং অবহেলা করা হচ্ছে বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা না বুঝেই। এখানে এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, জাতিসংঘের ঘোষণায় বলা হয়েছে, No health without mental health, No sustainable development goals (SDG) achievement without mental health. বিষয়টি মনে রাখতে হবে মেডিকেল শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদেরও।

 

ঢাকায় এক বৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্য সম্মেলনে লেখক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, বাংলাদেশের পথিকৃৎ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার এবং ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা এলগিন

______________

গবেষণার রিপোর্ট থেকে আরো দেখা যায়, মানসিক রোগ বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা পুরুষদের মধ্যে বেশি, অপরদিকে চিকিত্সা গ্রহণ ও সুস্থ হওয়ার প্রবণতা বিষয়ে মহিলাদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামের নারীদের মধ্যে চিকিত্সা গ্রহণ না-করার প্রবণতা বেশি। শিশুদের মধ্যে উদ্বিগ্নতার (Anxiety) হার বাড়ছে। বাবা-মায়ের উদ্বিগ্নতা শিশুদের মাঝে সংক্রমিত হয়। এ ছাড়া শিশুদের মধ্যে অবাধ্য আচরণ, ঘুমের সমস্যা, বন্ধুত্বহীনতা, স্কুলে অনুপস্থিতি এসব বেশি দেখা যাচ্ছে। বাবা-মায়ের মধ্যে শিশুদের সময় কম দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। তবে আশার কথা, মানসিক সমস্যার জন্য প্রথাগত চিকিত্সার চেয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিত্সা গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নেতৃত্বে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল প্রণয়ন কমিটি’ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে তৈরি করেছে জাতীয় কর্মকৌশল। এর বাংলা অনুবাদও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই উদ্যোগ সময়োপযোগী ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও বেড়েছে। এ ছাড়া আত্মহত্যা, মাদক, স্মার্টফোন আসক্তিও অনেক বেড়েছে। ঘরে ঘরে চলছে হাহাকার। একদিকে মাদকের জালে জড়িয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে টিনএজ ও তরুণ প্রজন্মের বড়ো এক অংশ। অন্যদিকে শিশু-কিশোররাও ইন্টারনেট আসক্তির কারণে পড়াশোনা থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে। রাত জেগে পর্নো সাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গেমসের নেশায়ও ডুবে থাকছে। ফলে তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে, আচরণেও উগ্রতা প্রকাশ করছে শিশুরা, ভাংচুর করছে, অবাধ্য হচ্ছে। এমনকি মাকেও মারতে দ্বিধা করছে না। তখনই মা-বাবার টনক নড়ে। মনোচিকিত্সক-মনোবিজ্ঞানীদের চেম্বারে বাড়ছে এ ধরনের সংকটে পরামর্শ নেওয়ার হার। এসব সমস্যা নিরসনের জন্য সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যদিও দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ও প্রশিক্ষিত মনোবিজ্ঞানী প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব। ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজটি চলমান রয়েছে। তবে একা শুধু স্বাস্থ্য খাতের পক্ষে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয়, প্রয়োজন বহুখাতভিত্তিক সংশ্লিষ্টতা, সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।

আত্মহত্যা-প্রবণতাও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা, মনের স্বাস্থ্য-সংকটের জরুরি এক অবস্থা। মানসিক রোগাক্রান্তদের মাঝে আত্মহত্যার হার বেশি এবং আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক রোগের হার বেশি, যা এখন গবেষণালব্ধ প্রতিষ্ঠিত সত্য। আত্মহত্যার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলো বিষণ্নতা রোগ। অন্যান্য মানসিক রোগ, যেমন :সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার বা দ্বি-প্রান্তিক আবেগজনিত রোগ, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার বা বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে মানসিক চাপজনিত রোগ, জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বা অত্যধিক দুশ্চিন্তাজনিত রোগ, মাদকাসক্তি, ব্যক্তিত্বের সমস্যা বা পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যেও আত্মহত্যার হার সাধারণের চেয়ে বেশি। মানসিক সুস্থতা আত্মহত্যা প্রতিরোধের অন্যতম শক্তি। জীবনের খারাপ সময়ে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, নেতিবাচক চিন্তা চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা, নিজের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাস, সমস্যা সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ এবং প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ইতিবাচক সহায়তা লাভের চেষ্টা—এসব আত্মহত্যা প্রতিরোধী বিষয়। সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি, অনুশাসন, ভালো বন্ধু, প্রতিবেশী ও সহকর্মীর সঙ্গে সামাজিক সুসম্পর্ক, অন্যকে অসম্মান কিংবা কষ্ট বা আঘাত না করে মনের কথা দৃঢ়ভাবে প্রকাশের যোগ্যতাও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন তথা আত্মহত্যা-প্রবণতা হ্রাসে সহায়তা করে। এ ছাড়া সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত নিদ্রা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপান ও মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা তথা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং শারীরিক-মানসিক যেকোনো অসুস্থতায় যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা লাভের সুযোগ আত্মহত্যা প্রবণতা কমায়।

অন্যান্য পরিচিত বিপদসংকেত :নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া বা বিষণ্ন বোধ করা, বেপরোয়া ভাব, সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া ও মূল্যবান জিনিসপত্র বিলিয়ে দেওয়া, আচরণ, ভাবভঙ্গি ও চেহারায় আমূল পরিবর্তন, ড্রাগ ও অ্যালকোহলে আসক্তি, বিপুল ক্ষতি বা জীবনে বিশালাকার পরিবর্তন। বিভিন্ন পরিস্থিতি, আচরণ ও শারীরিক পরিবর্তন আত্মঘাতী হওয়ার অগ্রিম লক্ষণ হতে পারে। অবশ্যই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এসব পরিস্থিতির পরিণাম আত্মহত্যা হয় না। তবে সাধারণভাবে একজন মানুষের মধ্যে যত বেশি লক্ষণ দেখা যায়—আত্মহননের তত বেশি আশঙ্কা থাকে।

পরিস্থিতি :পরিবারে আত্মহত্যা বা হিংস তার ইতিহাস, যৌন বা শারীরিক নির্যাতন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, বিবাহ বিচ্ছেদ বা পৃথক হওয়া, সম্পর্কে ইতি, পড়াশোনায় ব্যর্থতা, পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া, চাকরি হারানো, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, আসন্ন আইনি প্রক্রিয়া, সামপ্রতিক হাজতবাস বা আসন্ন মুক্তি।

আচরণ :কান্নাকাটি করা, ঝগড়া করা, আইন ভঙ্গ করা, আবেগপ্রবণতা, নিজেকে আহত করা, মৃত্যু ও আত্মহত্যার বিষয়ে লেখা, আগেকার আত্মহননমূলক আচরণ, চরম ব্যবহার, ব্যবহারে পরিবর্তন।

শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন : কর্মশক্তির অভাব, ঘুমের প্যাটার্নে বিঘ্ন-খুব বেশি বা কম ঘুম, খিদে নষ্ট হয়ে যাওয়া, হঠাত্ ওজন বৃদ্ধি বা কম, অল্পস্বল্প রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়া, যৌন উত্সাহে পরিবর্তন, চেহারায় আকস্মিক পরিবর্তন, অনুভূতি ও ভাবনা-চিন্তার পরিবর্তন, আত্মহত্যার চিন্তা, একাকিত্ব, পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্যের অভাব, প্রত্যাখ্যাত হওয়া, বিচ্ছিন্নতা বোধ করা, গভীর অপরাধবোধ বা দুঃখ, সংকীর্ণ ভাবনাধারার বাইরে বৃহত্তর প্রেক্ষাপট দেখায় অক্ষমতা, দিবাস্বপ্ন, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ, অসহায়বোধ, আত্মপ্রত্যয় হারানো ইত্যাদি।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজসমূহের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে মানসিক রোগাক্রান্তদের চিকিত্সার পাশাপাশি আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল সাইকোলজি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, কাউন্সেলিং ও এডুকেশনাল সাইকোলজি এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগও সেবা দিয়ে আসছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগেও একই সেবা কমবেশি চলমান রয়েছে। ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সরকারের বিশেষ সুদৃষ্টি দেশের ভবিষ্যত্ সুস্থ সুনাগরিক গড়ে তোলার পথে অন্যতম জরুরি পদক্ষেপ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্তি বর্তমান সরকারের বড়ো কৃতিত্ব। এ পদক্ষেপ দেশজুড়ে জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব দরবারে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রান্তিক স্তরসহ চিকিত্সার সব ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও বিশ্ব দরবারে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর এ কারণে বলা যায় মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে এখন চলছে স্বর্ণযুগ। আশা করা যায় সব অজ্ঞতা, কুসংস্কার কিংবা ভুল ধারণা দূর করে মনের যত্নের প্রতি সচেতন হবে দেশের জনগোষ্ঠী। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ব্রিটিশ আমলের ‘লুনাসি অ্যাক্ট ১৯১২’ বাতিল করে বর্তমান সরকার মানসিক রোগীদের অধিকার রক্ষায় ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮’ মহান সংসদে পাস করেছে। কোনো মানুষকেই পেছনে ফেলে নয়, একত্রে সকলকে নিয়ে এগোবে দেশ—বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দূরদর্শী এই দর্শন এ আইনে সুরক্ষিত হয়েছে। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে এ আইন বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

____________

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়