মোবাইল ফোনে কথা বলার নানা রোগবিপদ নিয়ে ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের অত্যাবশ্যক ১১ প্রেসক্রিপশন

ডেস্ক
__________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ,কর্মবীর ও বিশিষ্ট নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত সাম্প্রতিক কালে মোবাইল ফোনে কথা বলার নানা রোগবিপদ নিয়ে অত্যাবশ্যক প্রেসক্রিপশন দিয়ে চলেছেন। সেটি হল:

১. ১৬ বছরের কমবয়সী কারো হাতে মোবাইল ফোন দেয়া উচিত নয়।
২. অনেক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বললে মাথা ব্যথা, ঘুম না আসা, সহজ বিষয়ও ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩. একটানা বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তিনটা জয়েন্ট অকেজো হচ্ছে- শোল্ডার, এলবো, রিস্ট জয়েন্ট।
অধ্যাপক দত্ত বিভিন্ন সভাসমাবেশের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত প্রেসক্রিপশন কাউন্সেলিংএও কথাগুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহার ও এর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে তাঁর জরুরি পরামর্শ হল:

৪. দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়। তিন মিনিটের বেশি কথা না বলাই ভালো।
৫. কথার মাঝখানে ১৫ মিনিট বিরতি নেয়া, প্রয়োজনে স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করা। এছাড়াও মোবাইলের বেইজ স্টেশন থেকে দূরে থাকতে হবে।
৬. রাস্তা পারাপারের সময় ফোনে কথা নয়।
তিনি একথা বলেন,
৭. সার্জনরা যখন অপারেশন করেন তখন ওটির ভেতর মোবাইল ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, ওই মোবাইলের রেডিয়েশনটা রোগীকে দিচ্ছেন। আর অপারেশনকালীন যেসব মেশিন আমরা ইউজ করি তার ম্যালফাংশনিং হতে পারে। অনেকেই অপারেশন করছেন, ওই সময় অনেকের মোবাইল আসছে। ওই সময় যদি এমন কোনো সংবাদ আসে যে, আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করছে, তখন তিনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন? অথবা আপনার বাবা মারা গেছেন। তখন এ সংবাদ শোনার পর আপনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন?
তার বক্তব্য :
৮. মোবাইল ফোন ও এর বেইজ স্টেশন থেকে আনলাইকলি ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার ও স্লেভারি গ্লান্ড টিউমারের ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে।
৯. মোবাইল ফোন আসার পর আমেরিকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪ গুণ। মৃত্যুর হার বেড়েছে ১০ গুণ। তাছাড়া মোবাইলে ট্র্যাপ এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর ফেসবুক তো আছেই।
১০. এক গবেষণায় তথ্য- ফেসবুক মানুষের মস্তিস্কে কোকেনের মতোই আসক্তি সৃষ্টি করে।
১১. বিল গেটস ১৪ বছরের আগ পর্যন্ত নিজের কোন ছেলেকে মোবাইল দেননি। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিল গেটস জানেন বলেই দেননি।