Ameen Qudir
Published:2019-09-08 19:58:05 BdST
৭৪ বছর বয়সে জমজ সন্তানের মা: অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন ডা. অরুণা
ডা. অরুণা
ডেস্ক
_______________________
পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে মা হওয়ার চেষ্টা করেছেন ই মানগা আম্মা। তবে অবশেষে তার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। সম্প্রতি ৭৪ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত মিডিয়া তথ্য মতে এটি বিশ্বরেকর্ড। আর ডাক্তার হিসেবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ডা. অরুণা। তিনি আম্মার প্রতিটি পদক্ষেপে ছিলেন সঙ্গে। দিয়েছেন সাহস ও ভরসা। এবং অবশেষে নতুন দুটি জীবনের দিশা। এবং মানগা আম্মাকে দিয়েছেন মাতৃত্বের স্বাদ। সবিনয়ে ডা. অরুণা বলেন, যেহেতু তার ডায়বেটিস বা রক্তচাপ ছিল না, তাই তিনি স্বাস্থ্যবান ছিলেন। তাই কোন বড় সমস্যা হয় নি। আর যেহেতু তিনি ৭৪ বছর বয়সী, তাই সিজার করতে হয়েছে।
এক সন্তান নয়,
তাও আবার এক সঙ্গে দুই সন্তান অর্থাৎ জমজ সন্তানের মা হয়েছেন মানগা আম্মা। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার দ্রাক্ষারামামের বাসিন্দা মানগা আম্মা। বৃহস্পতিবার গুন্টুরের একটি ব্যক্তিগত হাসপাতালে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতির মাধ্যমে দুটি জমজ মেয়ে শিশুর জন্ম দেন তিনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার ক্ষেত্রে এটা নতুন বিশ্ব রেকর্ড হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন স্প্যানিশ এক নারী। ২০০৬ সালে তিনি ৬৬ বছর বয়সে সন্তানের মা হয়েছিলেন।
মানগায়াম্মার সিজার করা গাইনি ডাক্তার সানাক্কায়ালা অরুণা বলেছেন, মা এবং দুই শিশু নিরাপদ আছেন এবং তাদের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
১৯৬২ সালে ই রাজা রাওয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মানগায়াম্মা। কিন্তু বিয়ের পর এতো বছর ধরে চেষ্টা করেও তিনি মা হতে পারেননি।
তবে সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেশী ৫৫ বছর বয়সে আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার পর মানগায়াম্মার মনে নতুন করে মা হওয়ার আশা সঞ্চারিত হয়। তখন মানগায়াম্মা আইভিএফ পদ্ধতির সহায়তা নেন।
তাই মা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনিগত বছরের নভেম্বরে রাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. অরুণার কাছে যান। তার অধীনে মানগায়াম্মা আইভিএফ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সন্তানসম্ভবা হন।
তবে যেহেতু তার বয়স অনেক, তাই সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই মানগায়াম্মাকে নিয়মিত হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞদের অধীনে থাকতে হয়েছে।
আপনার মতামত দিন: