Ameen Qudir

Published:
2019-08-06 07:09:12 BdST

একজন নাগরিকের কাছ থেকে পরোপকারী, নিবেদিতপ্রাণ সকল ডাক্তারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি


ছবি সৌজন্য :ছবির কপিরাইটGETTY IMAGES

 

 

ডেস্ক
_________________________

পুলিশ কর্মকর্তা  মাশরুফ হোসাইন ডেঙ্গু রোগীদের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধরত বীরযোদ্ধা ডাক্তারদের নিয়ে এক কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপক লেখা লিখেছেন। তিনি লিখেছেন,

ডেঙ্গুর এই মহামারী আকারের প্রকোপের কথা দেশের বাইরে বসে শুনছি,আমার মা-ও এতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আমি প্রচন্ড আতঙ্কিত ছিলাম।আম্মু সেরে উঠছেন আস্তে আস্তে, এই বেলা দেশের সবচাইতে অজনপ্রিয় একদল লোকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

এত সীমিত সুযোগ সুবিধা আর হাজারটা সমস্যার মাঝেও একদল বীরের কারণে আমাদের দেশে এই রোগটা আরো বেশি প্রাণহানি ঘটাতে পারছেনা- এই বীরগন আমাদের ডাক্তাররা।

তথাকথিত উন্নত দেশে আমাদের মত সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হলে এরা মাখিয়ে একাকার করত বলে আমার ধারণা।

দুটো প্রফেশনের লোকদের আমি আমার নিজের প্রফেশনের চাইতেও বেশি শ্রদ্ধা করি- ডাক্তার এবং শিক্ষক।

দেশে ডেঙুর অবস্থাকে মোটামুটি একটা যুদ্ধের সাথে তুলনা করা যায়,যে যুদ্ধের বীর লড়াকু সেনারা হচ্ছেন প্রতিদিন মার খাওয়া,গালি খাওয়া ডাক্তারগন। রোগীর পরিচর্যা করতে করতে এনাদের কেউ কেউ মারাও গিয়েছেন-আহারে!

খালেদ হাসান ভাইয়ের কাছে শুনলাম, "আরো একটা বিশাল ব্যাপার হল, ডেঙু রুগীর চিকিৎসায় জড়িত থাকা ডাক্তার এবং নার্সদের ডেঙুতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ ডেঙু এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ালেও রোগের উৎস কিন্তু এক্সিটিং ডেঙু রোগী। আর এত রোগীকে সবসময় মশারীর মধ্যে রাখাও সম্ভব হয়ে ওঠে না, বিশেষ করে যখন হাসপাতালের বারান্দাও ভরে যায়। তাছাড়া একটা এডিস মশা একজন ডেঙু রোগীকে কামড়ালে সে তার জীবদ্দশার (৩-৪ সপ্তাহ) পুরা সময়টা ডেঙু ছড়াতে পারে। আর যে ডাক্তার বা নার্সদের আগে একবার ডেঙু হয়েছে, তারা যদি ডেঙু রুগীর চিকিৎসায় জড়িত থাকেন, তারা প্র‍্যাকটিকালি মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, কারণ দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার ডেঙু হলে সেটা জটিলতার (ডেঙু হিমোরেজিক ফিভার বা ডেঙু শক সিন্ড্রোম) দিকে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যে আটজন চিকিৎসক গত কিছু দিনে ডেঙুতে মারা গিয়েছেন, তারা বেশিরভাগই ডেঙু রুগীর চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন"

এর মানে এই লোকগুলো স্রেফ প্রাণ হাতে করে সেবা দিচ্ছেন! ভাবা যায়!!

একজন সামান্য নাগরিকের কাছ থেকে পরোপকারী, নিবেদিতপ্রাণ সকল ডাক্তারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি! একই সাথে শ্রদ্ধা নার্সসহ মেডিকেল সেবায় জড়িত সবার প্রতি।

বীর যোদ্ধারা সব সময় অস্ত্র হাতে ঘোরেন না, তারা সাদা এ্যাপ্রন আর স্টেথস্কোপ হাতেও আমাদের আশেপাশে থাকেন-রক্ষাকর্তা হিসেবে।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়