Ameen Qudir

Published:
2019-06-16 01:36:31 BdST

ডা. দেবী শেঠীর হাতে চট্টগ্রামে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক হাসপাতাল চালু


 


সংবাদদাতা , চট্টগ্রাম
_______________________

বিশ্ববরেণ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠীর হাতে বানিজ্য রাজধানী চ্টগ্রামে চালু হল বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের পরিকল্পিত স্বাস্থ্য সেবালয় ‘ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড’। কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করবে ভারতের বিখ্যাত নারায়ণা হৃদয়ালয়।

সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭৫ শয্যার আধুনিক এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ‘ইম্পেরিয়াল ।
বিশ্বশ্রেষ্ঠ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ভারতের নারায়ণা হৃদয়ালয়ের চেয়ারম্যান ডা. দেবী শেঠীর শনিবার মহানগরীর পাহাড়তলীস্থ হাসপাতালটি উদ্বোধন করার কথা । দেবী শেঠী চট্টগ্রামে আসেন নিজস্ব বিমান নিয়ে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে মানবতার কাজে লাগিয়ে জীবন্ত কিংবদন্তী ডা. দেবী শেঠী। সফর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন বীরেন প্রসাদ শেঠী, ডা. সুনীল কুমার লীলা, ডা. বিনায়ক চন্দ, ডা. ইমানুয়েল রুপার্ট, ভেঙ্কটেশ রাঘবন ও মি. রাকেশ ভার্মা ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাত একর জমির উপর যাবতীয় আনুষাঙ্গিক সেবা সম্বলিত ৫টি ভবন নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ (ইনফেকশান কন্ট্রোল), রোগীদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা এই ৩টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। উন্নতমানের সার্বক্ষণিক ইমার্জেন্সি সেবা এবং কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস্ ইত্যাদি সম্বলিত ১৪টি মডিউলার অপারেশান থিয়েটার, ৬টি নার্স স্টেশন ও ৬২টি কনস্যালটেন্ট রুম সম্বলিত বহির্বিভাগ এবং আধুনিক গুণগত মানসম্পন্ন ৬৪টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড; নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮টি পেডিয়াট্রিক আই সি ইউ স্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের বিখ্যাত নারায়ণা হৃদয়ালয় এবং ইম্পেরিয়াল যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করবে এবং ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল জৈব বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সরকারী নীতিমালা অনুসরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল(আইএইচএল)’র বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফারমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি) ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতায় বহু সংখ্যক রোগী বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের ও তাদের পরিবারকে আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়।
বিশ্বব্যাংক, ইউসিবিএল ও অন্যান্য স্থানীয় ব্যাংক সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, এখানে এক ছাদের নীচে সব ধরণের চিকিৎসাসেবা রয়েছে।

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনিশিয়ানদের জন্য প্রশিক্ষণসহ আবাসিক ব্যবস্থা, অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ চিকিৎসা সুবিধা, দূরবর্তী রোগীর দর্শনার্থীদের থাকার সুবিধার জন্য আবাসন সুযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, বিশ্বের খ্যাতনামা চিকিৎসকদেরও এই হাসপাতালের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা এখানে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং ইকুইপমেন্ট এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। শুধু মুনাফা অর্জনই নয়,চট্টগ্রামসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের অভাব ঘুচাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

তিনি ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি ও চট্টগ্রামে ক্যান্সার সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সাথে যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ডা. দেবী প্রসাদ শেঠীতে অনুরোধ জানান।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামও পিছিয়ে নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বেশ পিছিয়ে ছিল। ইম্পেপেরিয়াল হাসপাতাল দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়