Ameen Qudir

Published:
2019-05-23 20:59:48 BdST

ড. আবেদ চৌধুরীর ডায়াবেটিস নিরোধী চাল :যেভাবে সংগ্রহ করবেন: বিস্তারিত তথ্য


 

সংবাদদাতা
_______________________

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক মেডিসিনের আবিস্কারক তিনি। দীর্ঘ গবেষণায় তিনি এই মহৌষধ-এর সন্ধান দিলেন।
এই বিজ্ঞানীর নাম
ড. আবেদ চৌধুরী । তার এই আবিষ্কার হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক চাল। এক কথায় দারুণ কার্যকর।

এই ডায়াবেটিক চাল তারা সাধারণভাবে বাজারজাত করছেন না। কেউ চাল কিনতে চাইলে সরাসরি বা ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, তারা ঠিকানা অনুযায়ী তা পৌঁছে দেবেন। এজন্য ০১৭৬৬-৩৭০৭০৩ এবং
০১৭৪৬-৫৩৩৫৯৯ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই দুটো নম্বরে ফোন করলে চাল সংগ্রহ করা যাবে। এখানে পাঠকদের জানান দরকার যে, অনেক পত্রিকায় বা মিডিয়ায় এই চাল সংগ্রহে ভুল ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যে কারণে নানা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।
এই রিপোর্ট লেখার সময় ০১৭৬৬-৩৭০৭০৩ এ নম্বরে ফোন করা হয়েছিল। ড. আবেদ চৌধুরীর দীর্ঘ দিনের সহকর্মী সৌরভ সাহেব ফোন রিসিভ করেন। মন্দ্র কন্ঠের সৌরভ জানান, এখন প্রতি কেজি চাল দাম হল ১০০ টাকা। কেনার পদ্ধতি সহজ। এই নম্বরে কথা বলে কম পক্ষে ১০ কেজি এবং উর্ধ্ব পক্ষে ৫০ কেজি চাল কেনা যাবে। মোবাইল নম্বরে ঠিকানা ও কত কেজি দরকার তা উল্লেখ করতে হবে বিস্তারিত। সে অনুযায়ী তারা চাল ক্যুরিয়ার করে পাঠাবেন। দাম আগাম দিতে হবে না। পেয়ে তবে দাম পরিশোধ করবেন।


ড. আবেদ চৌধুরী মিডিয়ায় জানান, বিলুপ্তপ্রায় ৩শ’ জাতের ধানের সন্ধান পেয়েছেন তার গবেষণায় । সেই ৩শ’ জাতের ধান তিনি সিলেটের কুলাউড়ায় নিয়মিত চাষ করছেন এবং বছরে ৩ বার সেই ফসল ঘরে তুলছেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। তার গবেষনা কেন্দ্র এটি।

তিনি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের সাবেক মূখ্য বিজ্ঞানী ছিলেন । তিনি বলেন, চাল হচ্ছে লাল রঙের চাল। সাদা রঙের চাল বলতে কিছু নেই, সব চালই লাল। তবে মেশিনে ধান থেকে চাল করার সময় চালের লাল অংশ চেছে ফেলে দিয়ে সাদা এবং চিকন করা হয়। এতে অনেক পুষ্টিগুণ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

বাংলাদেশে দিনদিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই তিনি চিন্তা করলেন, কী করে এর একটা সমাধান করা যায়। সেই চিন্তা থেকে আবেদ চৌধুরী আবিষ্কার করেন সোনালি মিনিকেট চাল। এটি পরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অনুমোদন করে। তার এইচকেজি এগ্রো থেকে প্রস্তুত বিশেষ এই চাল খেলে কার্বোহাইড্রেড এবং সুগার কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

মূলত এই চাল তিনি উদ্ভাবন করেছেন অন্যান্য সাদা বা চিকন চালের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার জন্য। যা মেশাতে হবে মূল চালের সঙ্গে ১৫ শতাংশ করে। এতে ওই সাদা চালের সুগার বাড়ার ক্ষমতা অনেক কমে যায়। কিন্তু সেই চালের সঙ্গে যে সোনালি মিনিকেট মেশানো হয়েছে তা বোঝা যায় না।

 

জানা যায়, ড. আবেদ চৌধুরী সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর গ্রামের সন্তান। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি, নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। পরে তিনি হাভার্ডসহ বিশ্বের অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে শিক্ষক-গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে দেশের বাইরে ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিত দেশে আসা-যাওয়া শুরু করেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি পুরোপুরি বাংলাদেশে চলে আসেন। কুলাউড়ায় তার পৈতৃক নিবাসে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের যেসব গবেষকের নাম নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নের জন্য তালিকায় রয়েছে ড. আবেদ চৌধুরী তাদের একজন।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়