Ameen Qudir

Published:
2019-05-09 03:31:17 BdST

৯৯.৫০ শতাংশ পেয়ে সুপার টপার ডাক্তার কন্যা বললো, ডাক্তারই হবো: এটাই সুপার চ্যালেঞ্জিং


 

 

ডেস্ক
_________________

গোটা ভারতবর্ষে তৃতীয় । ৯৯.৫০% পেয়ে রাজ্যে অপ্রতিদ্বন্ধী সুপার টপার ডাক্তার কন্যা সুমাইতা লাইসা।
ঊষা মার্টিন স্কুলের ছাত্রী সুমাইতা । সিবিএসই পরীক্ষায় অনন্য ফলের অধিকারী সুমাইতা লাইসা পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বললে, বাবার মত ডাক্তারই হবো। এর চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং পেশা আর নেই। এটা আমার কাছে এভারেস্ট জয়ের চেয়েও বড় স্বপ্ন। সেটা বাস্তবায়ন করবই।

পশ্চিম বাংলার মালদা শহরের মীরচকের বাসিন্দা সুমাইতা ৷ বাবা ডা. তোহিদুল ইসলাম শহরের লোকপ্রিয় চিকিৎসক ৷ মালদা শহরের কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোডে তাঁর চেম্বার ৷ তাঁর স্ত্রী কোহিনুর খাতুন সাধারণ গৃহবধূ ৷ তাঁদের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সুমাইতাই সবার বড়ো ৷ তোহিদুলরা গাজোলের বাসিন্দা৷ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্যই সেখানকার পাট চুকিয়ে তাঁরা মীরচকে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন ৷ঊষা মার্টিন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেন সুমাইতাকে৷ সেখান থেকেই এবার সে সিবিএসই পরীক্ষায় বসেছিল ৷

এই সাফল্য সুমাইতার নিজেরই বলে জানিয়েছেন স্কুলের অধ্যক্ষ ৷ কারণ,

৯৯.৫০ শতাংশ মার্কস পেয়েছে সুমাইতা৷ তার কোনও স্থায়ী গৃহশিক্ষক ছিলেন না । সুমাইতা বলল, শিক্ষক ছিল না কে বলল। স্কুলে স্যাররা ছিলেন পাশে। আর বাড়িতে সুপার হিরো বাবা তো ছিলেনই। তার কাছে পড়েই ফল পেলাম।

সুমাইতা জানায়, প্রথম থেকেই স্কুলে প্রথম হয় সে ৷ তবে এই রেজাল্ট তার প্রত্যাশা ছিল না৷সে ৯৯.৫০ শতাংশ মার্কস পেয়েছে৷তার কোনও স্থায়ী গৃহশিক্ষক ছিলেন না৷ মাস কয়েকের জন্য সে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছে৷সে নিজের পড়াশোনা নিজেই করত৷ বাবা তো সব দেখাতেন, দেখতেন। পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে সাহায্য করতেন ৷ তবে পড়ার জন্য তার নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা ছিল না৷যখন ইচ্ছে করত, পড়ত ৷ অবসর সময়ে সে গল্পের বই পড়ত৷টেলিভিশনও দেখত ৷ তবে অল্প সময়ের জন্য৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র হোয়াটস্‌ অ্যাপে যোগাযোগ রয়েছে তার৷ সে অংকে ১০০, সোশ্যাল স্টাডিজে ১০০, ইংরেজিতে ৯৯, বাংলায় ৯৯, সায়েন্সে ৯৯ ও কম্পিউটারে ১০০ পেয়েছে৷ ভবিষ্যতে বাবার মতোই চিকিৎসক হতে চায় সুমাইতা৷ এটাই পরম লক্ষ্য।

কোহিনুর খাতুন বলেন, মেয়ের সাফল্যে তাঁরা ভীষণ খুশি৷ মেয়ে যে এত ভালো রেজাল্ট করতে পারবে, তা আশাই করেননি তাঁরা৷ দেশে তৃতীয় ও রাজ্যে প্রথম হয়ে তাঁর মেয়ে তাঁদেরও মাথা অনেক উঁচু করে দিয়েছে৷ একজন গৃহবধূ হিসাবে যতটা পেরেছেন, মেয়ের পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন তিনি৷ঊষা মার্টিন স্কুলের অধ্যক্ষ সাক্ষর চক্রবর্তী জানান, স্কুলের পক্ষ থেকে তাঁরা এই ফলের জন্য সুমাইতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন৷এই সাফল্যের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ সুমাইতার৷ তাঁরা শুধু পাশে থেকে তাকে সাহায্য করেছেন৷ তার প্রতিভা বহুমুখী৷শুধুমাত্র মার্কশিটে তা প্রকাশ করা যাবে না৷ তিনি ছাত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন৷

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়