Ameen Qudir

Published:
2019-04-08 06:09:53 BdST

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসটি বাংলাদেশে রুপ নিলো 'ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই' আন্দোলনে


 

ডেস্ক
________________________

আজ দিন ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। কিন্তু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গুন্ডাদের হামলার ঘটনা ও অব্যাহত ডাক্তার নির্যাতনের প্রতিবাদে দিনটি পরিনত হল : 'ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই' শ্লোগানমুখর আন্দোলন দিবসে। সভ্য শান্তভাবে চলে এই আন্দোলন। কক্সবাজার হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের ইনটার্ন ডাক্তাররা কর্মবিরতিও পালন করেন।

 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চিকিতসকদের উপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন করে সাধারন চিকিৎসকগন। তারা জানান, চলছে, চলবে।
সবে তো শুরু। আমাদের এক আওয়াজ:
ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই।

আজ ৭ এপ্রিল, রবিবার। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি এ দিনে বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) উদ্যোগে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটির মূল লক্ষ্য সব মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং এ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করে এবং জনগণকে সচেতন করে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হল- ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নীতি : সবার জন্য, সর্বত্র’ (Universal health coverage: everyone, everywhere)।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জারীগান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বিষণ্ণতাজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

যেভাবে এলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। সেবছরই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রূপরেখা তৈরির জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিশন গঠন করা হয়।

একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং অন্তর্বর্তীকালীন এই কমিশনের মতামতের আলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এইদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল প্রতিষ্ঠার দুই মাসের মাথায়, ১৯৪৮ সালের ২৪ জুন। নির্ধারিত দিনে জেনেভায় সংস্থাটির প্রথম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৪৬টি সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন রাষ্ট্রের উপস্থিত প্রতিনিধিদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কথাটি এসেছিল। সেই সম্মেলন থেকেই সিদ্ধান্ত হয় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে। ৭ এপ্রিল বেছে নেওয়ার কারণ, সংস্থাটির জন্মদিন।

১৯৫০ সালের প্রথম স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “নো ইওর হেলথ সার্ভিসেস” অর্থাৎ “নিজের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন হোন”। এভাবে ৬৯ বছর ধরে ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠান। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে, এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।

সেই ১৯৫০ সাল থেকেই সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বার্তা নিয়েই প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কথা এলেই উচ্চারিত হয় জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামটিও।

প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় দিবসটি।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়