Ameen Qudir
Published:2019-03-25 07:20:23 BdST
মেয়াদ দেখে ওষুধ কিনবেন, কোনরকম অবহেলা করবেন না , করলেই বিপদ
ডা. সুলতানা এলগিন
___________________
আমরা রোগীদের সাবধান করছি, ওষুধের মেয়াদের জায়গায় কাটাকুটি করা; কিংবা ওপরে আবারও স্টিকার লাগানো , নতুন দাম লাগানো ওষুধ কিনবেন না। এ ব্যপারে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। চিকিৎসক পরামর্শ লিখে দেন। দেশীয় নিয়ম অনুযায়ী রোগী বা স্বজন ফার্মেসী থেকে ওষুধ কেনেন। তারা অবশ্যই সাবধান হবেন । প্রতিটি ওষুধের প্যাকেট সাবধানে দেখে ওষুধ কেনা উচিত। কোন অবহেলা যেন না হয়। যদি খুচরো ওষুধ কেনেন, তবে যেন মূল প্যাকেট দেখে মেয়াদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেন। কোন ফার্মেসী বাতিল ওষুধ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
প্রশ্ন হল, অশিক্ষিত রোগীরা কি করবেন। তারা অশিক্ষার কারণে প্রতারিত হতে পারেন। এটা নিশ্চিত করে বলব, অশিক্ষিত রোগী প্যাকেট নিয়ে এলে ডাক্তাররা দেখে দেন। সুশিক্ষিত সচেতন রোগী স্বজন নিজেরা সচেতন না হয়ে জালিয়াতির শিকার হলে সে দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। বিশেষ করে দেশে উৎপাদিত সুলভ ওষুধ না কিনে বেশী অনেকে জোর করেই বেশি দামে বিদেশী ওষুধ খান। বলে বেড়ান , দেশীয় ওষুধ ভাল না। অসাধু চক্র রোগীদের টাকার গরম ও মানসিকতার আশ্রয় নিতে পারে।
ওদিকে রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ ব্যাপারে
ওষুধ উৎপাদন কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠিত ওষুধ কম্পানি মেয়াদ নিয়ে জালিয়াতি করে না। জালিয়াতি হলে ফার্মেসী বা খুচরা বিক্রি পর্যায়ে হয়। সবচেয়ে বেশী জালিয়াতি হয় বিদেশী আমদানি ওষুধে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বিশ্বমানের সেটা স্বীকৃত। ৯৮ শতাংশ ওষুধই দেশে উৎপাদন হচ্ছে। কিছু ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হয় না বাজারের ছোট আয়তনের কারণে। অর্থনৈতিক হিসাবে মেলে না। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশীয় ওষুধ বিক্রি না করে আমদানি ওষুধ উচ্চদামে বিক্রি করে। ক্রেতাও ভাবে , বিদেশী ওষুধ বেশী কার্যকর। এসব কারণে জালিয়াতি বাড়ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ আমদানি হয় কিনা, জোর দিয়ে বলা যায় না। কিন্তু আমদানি ওষুধের বিক্রি কালে মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা ফেরত দেয়া যায় না। তাই অসাধু বিক্রেতা নতুন করে মেয়াদের স্টিকার লাগিয়ে , ঘষে মেজে বিক্রি করতে পারে। সেটা ক্রেতা সচেতন হলে ধরা সম্ভব। যেহেতু এই অসাধু জীবন ঘাতী কাজে দেশীয় উৎপাদক বা চিকিৎসক সমাজের দেখভালের সুযোগ নেই তাই সচেতন জনগনকেই হতে হবে।
-------------------------------------
ডা. সুলতানা এলগিন ; সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ , ঢাকা।
আপনার মতামত দিন: