Ameen Qudir
Published:2019-03-11 02:49:57 BdST
বাংলাদেশের প্রবীণতম ডাক্তার মহাপ্রয়াণে গেলেন সুস্থ সচল শরীরে
ডেস্ক
_______________________
গরীবের চিকিৎসক তিনি। ৭৩ বছরের বেশী সময় ১ টাকা থেকে পাঁচ টাকায় মানুষের চিকিৎসা করেছেন। বেশির ভাগ সময় বিনে পয়সায় চিকিৎসা করে জনসেবার বরণীয় ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন । বাংলাদেশের প্রবীনতম চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ ইন্দুভূষন রায়। বর্ণাঢ্য জীবন ইতিহাস। উপমহাদেশের রাজনৈতিক সামাজিক অগ্রগতি আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন সর্বদা জড়িত। যেন স্বয়ং এক চলন্ত ইতিহাস। চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন দুর্দান্ত কর্মপ্রতিভার অধিকারী। নিজেও ছিলেন আজীবন নিরোগ। আমৃত্যু ছিলেন সুস্থ্য সজ্ঞান সচল। বাংলাদেশের উত্তরের জনপদে ডাক্তার লোকসেবী হিসেবে ছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি। নির্লোভ নিরহঙ্কারী । কোন পুরস্কার পদকের জন্য লালায়িত ছিলেন না কখনও। লোকসেবা , রোগী সেবাই ছিল তার আনন্দ।
তার স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী ,
৯৮ বছর বয়সে সুস্থ্য শরীরে, সজ্ঞানে পরলোকে চলে গেলেন ডাঃ ইন্দুভূষন রায়।
এ ব্যাপারে লেখক সাংবাদিক মুকুল রায় জানান, তিনি ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন মহা আন্দোলনের জীবন্ত সাক্ষী। এ বাংলার ব্রিটিশ আমলের সর্বশেষ প্রতিনিধি, ব্রিটিশ বিরোধী 'ভারতছাড়ো' আন্দোলনের সর্বশেষ সংগ্রামী এবং ব্রিটিশ বিরোধী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের আরেক সংগ্রামী ও তৎকালীন 'অনুশীলন দল'-এর সক্রিয় সদস্য । স্বর্গীয় গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের হিন্দু 'বিধবা-বিবাহ' আন্দোলন ও পূর্ব-বঙ্গে প্রথম 'হিন্দু-বিধবা-বিবাহ' প্রদান-সংক্রান্ত এবং পিতার সমাজ-সংস্কার কার্যক্রমের সক্রিয় কর্মী। চাক্ষুষ সাক্ষী- । তৎকালীন লালমণিরহাটের অন্তর্গত, বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকা স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব ডাঃ ইন্দুভূষন রায় মহাশয়।
তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি এবং
তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
আপনার মতামত দিন: