Ameen Qudir

Published:
2019-03-09 23:25:07 BdST

পিস্তল নিয়ে বিমানবন্দরে হিরোগিরি বন্ধ করুন : তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা কেন নেয়া হচ্ছে না!




ডা. সুজন রায়
________________________

বাংলাদেশে এসব কি হচ্ছে। এখনই এসব বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা করা দরকার। দেশের একমাত্র বৃহৎ বিমানবন্দরে গিয়ে পিস্তল নিয়ে মশকরা করা, হোক তা লাইসেন্স করা ; এটা মানা যায় না। লাইসেন্স করা পিস্তল যিনি রাখছেন , তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিভাবে ওটা সামলাতে হবে, তার নির্দেশনা দেন বলে জানি। এরা তো দেখা যাচ্ছে পিস্তল নিয়েবড় বেখেয়াল। এটা যে কোন সময়ে তারা মনের ভুলে রাস্তায় ফেলে রাখতেও পারেন।
দেখা গেল , পিস্তল খেলতে খেলতে ঠেলায় ঘোরতে ঘোরতে সত্যিকারের ছিনতাইকারীর হাতে চলে গেল, তখন তারা ভুলে গেছি কোথায় রেখেছি, পকেটে না ব্যাগে নাকি খাবার টেবিলে বলেই খালাস পাবেন। যদি না পান , তবে এ জায়গায়তেও তারা দোষী।
তাদের পিস্তল জব্দ করা উচিত। এদের হাতে পিস্তল নিরাপদ নয়।
বৃহৎ গনতন্ত্র ভারতে এমন ঘটনা ঘটিয়ে অমিতাভ বচ্চন , শাহরুখ খানও রেহাই পেতেন না। আইন কি জিনিস বুঝতেন হাড়ে হাড়ে। অন্যভাবে বলা যায়, তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এধরণের রাষ্ট্রবিরোধী ফাজলামি করতেন না।
এ লেখা তখনই লিখতে উদ্বুদ্ধ হলাম যখন দেখলাম সচিব মহোদয় এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাকে সমর্থন করতে চাই। তিনি বলেন,

এক শ্রেণির মানুষ মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এম মহিবুল হক ।

তিনি বলেন এরা হিরো সাজার আর কোনো প্রক্রিয়া রপ্ত করতে পারেননি।

মহিবুল হক বলেন, এই হীন মানসিকতা বেবিচককে (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) বিতর্কিত করে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার চেষ্টা বলে আমি মনে করি।

এ ধরনের তামাশা করতে এক শ্রেণির মানুষ তাদের উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। ঘোষণা না দিয়ে অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে নাটক বানিয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই তাদের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার (৮ মার্চ) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে পিস্তল নিয়ে চেকিং কাউন্টারে হাজির হওয়া মোহাম্মদ মামুন আলী নামে এক যাত্রীর বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পর শুক্রবার অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম চেকিং পার হওয়ার পর নিজের কাছে অস্ত্র আছে বলে জানান তিনি।

সচিব এম মহিবুল হক বলেন, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগীতার পরিবর্তে বিতর্কিত করতে বেশি সোচ্চার ব্যক্তিরাই একের পর এক এসব করে যাচ্ছেন। বিমানবন্দরে পিস্তল নিয়ে জাহির করে নিজেকে আলোচনায় আনার চেষ্টা করছেন।

মহিবুল হক আরও বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিচ্ছি। যারা দেশের ভাবমূর্তির চিন্তা না করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিতর্কিত করার ফাঁকফোকর খুঁজবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ, ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়