Ameen Qudir
Published:2019-03-07 09:36:56 BdST
মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গ দিতে যে নিয়ম করেছে ভারত সরকার : বাংলাদেশে নেই বড় উদ্যোগ
ডেস্ক
_______________________
মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গ দিতে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছেই। এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য সুখবর। মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গ দান যত বাড়বে, তত এধরণের কাজের সুযোগ পাবেন চিকিৎসক। সমৃদ্ধ ও দক্ষতা বাড়বে ডাক্তারের । যা আগামী বিশ্বের জন্য নতুন দিশা দেবে।
তবে এ কাজে সামাজিক নানা প্রতিবন্ধক ও কুসংস্কারও অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না। দিল্লী সরকার এ নিয়ে নীতি ও কানুন করলেও ঢাকাতে নেই বড় কোন উদযোগ। কিন্তু ধর্মীয় কুসংস্কারে সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি থেমে থাকে না।
শ্যামল চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন কলকাতার তথা ভারতবর্ষের নীতি কানুন।
মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গদানে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। কিছু দিন আগেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রেখে মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গদানের ব্যাপারে সচেতনাবৃদ্ধি ও কিছু সহযোগিতা করতো। সরকারী উদ্যোগ সেইভাবে ছিল না, বলাই যেতে পারে। এইক্ষেত্রে মরদেহ দানের ক্ষেত্রে সেই ধরণের জটিলতা না থাকলেও প্রত্যঙ্গদানের ক্ষেত্রে জটিলতা আছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিরিখে মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গদানের ব্যাপারে এক সুষ্ঠ, সার্বিক ও সারা দেশে একই পদ্ধতি রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সহয়তায় গড়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় স্তরে NOTTO (National Organ and Tissue Transplant Organisation) এবং আঞ্চলিক স্তরে ROTTO (Regional Organ and Tissue Transplant Organisation)। কিছু ক্ষেত্রে SOTTO (State Organ and Tissue Transplant Organisation)।
এরফলে মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গদানের অঙ্গীকারের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। যে সমস্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কাজ করেন তাদের NOTTO- র অনুমোদনপ্রাপ্ত হতে হবে। এই সমস্ত সংগঠনের মধ্য দিয়ে যারা মরণোত্তর দেহ ও প্রত্যঙ্গদানের জন্য অঙ্গীকার করবেন, তাদের নাম সহ সমস্ত কিছু NOTTO-র দপ্তরে পাঠাতে হবে। এরপর NOTTO প্রত্যেক মানে যারা অঙ্গীকার করবেন তাদের একটি করে রেজিস্টার্ড নাম্বার যুক্ত ডোনার কার্ড দেবেন।
অঙ্গীকার পত্রে NOTTO-র লোগো বাধ্যতামূলক।
অঙ্গীকার পত্রের ছবি দিয়েছি।
কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।
আপনার মতামত দিন: