Ameen Qudir
Published:2019-02-23 01:26:09 BdST
গভীর রাতে অগ্নিদগ্ধ মানুষকে বাঁচাতে সব ফেলে ছুটে এলেন চিকিৎসকরা
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের একটি ফাইল ছবি
ডেস্ক
______________________
গভীর রাতে মানবতার টানে ছুটে এসেছেন চিকিৎসকরা। খবর পাওয়া মাত্র বার্ণ ইউনিটে কর্মরত চিকিৎসকসহ সবাই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন, রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন, প্রয়োজনীয় সকল পথ্য হাসপাতাল এবং নিজস্ব উৎস থেকে সরবরাহ করেছেন।ব্যক্তিগত জীবন ছেড়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চকবাজারের আহতদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন কৃতজ্ঞতার অভিব্যাক্তি অসংখ্য মানুষের ।
ঢাকা মেডিকেল ও মিটফোর্ডের ডাক্তারদের এই অক্লান্ত মানবসেবার নজির গর্বিত করেছে দেশের ও প্রবাসের সকল চিকিৎসককে।
ডাক্তার কিংবা ফেরেশতা! শিরোনামে প্রবাসী চিকিৎসক মিল্টন হাসনাত লিখেছেন
সাংবাদিকরা হয়তো ভুল খুঁজবেন। মন্ত্রনালয় আর অধিদপ্তর হয়তো অনুপস্থিতির তালিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তারপরও রাতের গভীরে ব্যক্তিগত জীবন ছেড়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চকবাজারের আহতদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। খবর পাওয়া মাত্র বার্ণ ইউনিটে কর্মরত চিকিৎসকসহ সবাই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন, রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন, প্রয়োজনীয় সকল পথ্য হাসপাতাল এবং নিজস্ব উৎস থেকে সরবরাহ করেছেন।
নীতিনির্ধারণীসহ সকল পর্যায়ের নানান সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশে ডাক্তাররা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতদের সেবাপ্রদানে যেভাবে সর্বস্ব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন, তাতে তাদের তখন মানুষ নয়, আমার ফেরেশতা বলে মনে হয়।
অভিনন্দন রইল সব ডাক্তারদের প্রতি।
বাংলাদেশের টার্সিয়ারি লেভেল হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় ডাক্তাররা কীভাবে সর্বস্ব দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করেন। সমস্যা হয় ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ে। সেখানে চিকিৎসা সেবা দেবার মত পরিবেশ কতটুকু বিদ্যমান সেটাও বিবেচনা করে দেখতে হবে।
সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা আরজুমান্দ আরজু লিখেছেন ,
আজ পর্যন্ত কোনো ডাক্তার রোগী কে সঙ্কটাপন্ন রেখে নিজের খাবার খেয়েছেন কিনা সন্দেহ। অথচ ইলেকশনে ভোট দিতে গেল, পিকনিকে গেলে, বাচ্চাদের স্কুলে গেল খবর হয় রোগী ফেলে ডাক্তার চলে গেছে।
তারিক বাপ্পী লিখেছেন, প্রতিটি ডাক্তার একজন মহান মানুষ। জীবনের শুরু এবং শেষ তাঁদের হাত ধরেই। পৃথিবীর ১০০% মানুষ হাসপাতাল থেকে দূরে থাকতে চায়। সেই হাসপাতালই ডাক্তারদের বাড়ি ঘর। যুদ্ধ অথবা শান্তি সবখানেই তাঁরা অপরিহার্য। "আল্লাহ" এবং "মা" এর পরে যে শব্দটা লোকে আকুল হয়ে ডাকে সেটা "ডাক্তার"।
আপনার মতামত দিন: