Ameen Qudir
Published:2019-01-08 06:06:27 BdST
সবিশেষ দুর্নীতি: নতুন সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে এগুতে পারবে?
ডা. আশীষ কুমার দাস
____________________________
পার্থক্য কোথায়?
আওয়ামী লীগ নতুন প্রজন্মের নুতুন নেতৃত্ব তৈরি করছে যা বাদবাকী কোনো দল এখোনো চিন্তা পর্যন্ত করতে পারে নি। আশা করছি নতুন এই মন্ত্রীসভা হবে যথেষ্ট ডাইনামিক এবং এপ্রোচেবল।
বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নিজেদেরকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পায়, এটা নিশ্চিত করাও নতুন এ সরকারেরই দায়িত্ব। তরুন নাগরিকদের মাঝে অনেকেই আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না; এদের বেশীরভাগই অসাম্প্রদায়িক, সুশিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক। তাই, অপছন্দের কারণগুলো খুজে বের করে যথাযথ কর্মপন্থা স্থির করা এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলোর ইম্পলিমেন্টেশন এখন সময়ের দাবী। শুধু বুঝতে পারছি না, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ কিভাবে সম্ভব! এটা আদৌ কি সম্ভব? এটা সমাধানে নতুন সরকার কি জিরো টলারেন্স নীতিতে এগুতে পারবে? স্বদলীয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেতে পারবে? দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতাশালী ও উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারবে?
অবশ্য, যে দল সিনিওর নেতৃত্বের পরিবর্তে তুলনামুলক নবীন নেতৃত্বে আস্থা রাখার সাহস দেখিয়েছে, সেদল দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেতেই পারে। সম্ভবত, দলীয় লংটার্ম স্ট্র্যাটেজীর একটা ধাপ এটা। অটোক্রেটিক (???) হওয়াটা হয়তো মাঝেমাঝে প্রয়োজন (যে ধাপ অতিক্রান্ত) !
সময়ই কথা বলবে।
__________________________
ডা. আশীষ কুমার দাস
পেশা: চিকিতসক । ২০০৪ সালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম বি বি এস । আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিএমসি, ভেলোর এর যৌথ মাস্টার্স (ফ্যামিলি মেডিসিন) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী
আপনার মতামত দিন: