Ameen Qudir
Published:2018-12-29 03:09:47 BdST
জরুরি সেবাসকল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ: বিশেষ ভাতা ছাড়াই ডাক্তাররা থাকবেন অতন্দ্র সেবায়
ডেস্ক
________________
৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালকে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখতেও বলা হয়েছে।
নির্দেশনা বলা হয়েছে- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর তিন দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত এবং অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে।
সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রায় ৮ লাখ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালন করবে। এর সঙ্গে নির্বাচনী কাজে কার্যত: ডাক্তারি সেবাও যুক্ত হল। দায়িত্ব পালন রত চিকিৎসক গন অন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীদের মত বিশেষ সম্মানী পাবেন কিনা, তা পরিস্কার নয়। তবে তিন দিনে , বিশেষ করে নির্বাচনী দিনে জরুরি সেবায় ইসি নির্দেশনায় বিশেষ দায়িত্ব পালন কারী ডাক্তার ও স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের বিশেষ ভাতা পাওয়া উচিত এবং ন্যায় সঙ্গত বলে বিশিষ্টজন মনে করছেন। একাধিক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, রাষ্ট্রের ও সমাজের ইমার্জেন্সী প্রয়োজনে আরও অনেক অবৈতনিক সৌজন্য সেবার মত নির্বাচনেও ডাক্তাররা জাতিকে ফ্রি বিনা বেতনে সার্ভিস দেন। এবারও তাই হবে। ডাক্তারি সংগঠনগুলো এ বিষয়ে কোন দাবিও তোলেন নি। এত দেশ সেবার পরও ডাক্তারদের অকৃতজ্ঞ জনগনের কাছে কসাই গালি শুনতে হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনেই সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। দলীয় কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে সহিংসতায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকবলও আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দশম সংসদ নির্বাচনেও কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় নির্বাচনেই অনেক জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেকস্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভোটে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ লোকবল কাজ করবেন। এদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জরুরী সেবা প্রদানের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর তেজগাঁও বিমানবন্দরে একটি হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। এছাড়া আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ২৪ ঘণ্টা দেশের সকল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হবে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত দিন: