Ameen Qudir
Published:2018-12-21 00:39:05 BdST
চার ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা বাংলাদেশ: একটি শিরোপা পাইয়ে দিয়েছে ডাক্তাররা
ডা. স্বীকৃতি সাহা
_____________________
চার ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা বাংলাদেশ ; কী ভাবছেন একটি ক্ষেত্র নিশ্চয় দূর্নীতি! না। চারটিই পজিটিভ। মানে ইতিবাচক। দিন পাল্টেছে। ইতিবাচক সেরা কাজে বাংলাদেশ শীর্ষে এখন বিশ্বে। এর মধ্যে একটির ক্ষেত্রের কৃতিত্ব বাংলাদেশের নির্লোভ ডাক্তারদের।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদনে নারী-পুরুষের সমতার দিক দিয়ে চার ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা হয়েছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশের ওপরে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০১৮ প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এই চারটি ক্ষেত্রের তিনটি হলো ছেলে ও মেয়েশিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি, মাধ্যমিকে ছেলে ও মেয়েদের সমতা এবং সরকার প্রধান হিসেবে কত সময় ধরে একজন নারী রয়েছেন। চতুর্থটি হলো জন্মের সময় ছেলে ও মেয়েশিশুর সংখ্যাগত সমতা।
প্রথম তিনটির কৃতিত্ব দেশবাসীর ; তাদের মানসিকতার। এবং সরকারের। সরকার ও রাষ্ট্র ইতিবাচক কাজ না করলে এটা সম্ভব হত না। চতুর্থটি হলো জন্মের সময় ছেলে ও মেয়েশিশুর সংখ্যাগত সমতা।
এর কারণ দেশের মানবপ্রেমী চিকিৎসক সমাজ। আরব বিশ্ব, ভারত, পাকিস্তানের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানে অতি গোপনে নারী শিশু গর্ভেই হত্যা করা হচ্ছে আজও। আগে ভাগে জেনে আলট্রাসনো করে নারী ভ্রূণকে হত্যা করা একটা রেওয়াজ। যে কারণে সেসব দেশে নারী ও পুরুষ শিশুর সমতা নেই। ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা কাজ করছে। এই অবৈধ প্রকৃতি বিরোধী কাজে নারী ভ্রূণ কতলে সহায়তা করছে কিছু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সারা বিশ্বের আরও অনেক দেশেও এই হত্যা চলছে।
কিন্তু বাংলাদেশে চিত্রটা ভিন্ন। গৌরবজনকভাবে বাংলাদেশের ডাক্তাররা আলট্রা সনোর মাধ্যমে নারী ভ্রূণ বা নারী শিশু গর্ভে চিহ্ণিত করে কতলে কোনরকম সহায়তা করেন না। বাংলাদেশের নির্লোভ ডাক্তারদের এই পেশাগত সততাই এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবার সেরা তিলক পরিয়ে দিয়েছে।
ওদিকে ডাক্তারদের সততার এই কাজ র্যাংঙ্কিএও দেশকে এগিয়ে দিয়েছে আরও।
১৪৯টি দেশের নারী-পুরুষের সমতার সার্বিক বৈশ্বিক র্যাংকিং-এ বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক যুগে নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে বেশ ভালো উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ২০০৬ সালেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম।
________________
ডা. স্বীকৃতি সাহা । সুলেখক।
আপনার মতামত দিন: