Ameen Qudir
Published:2018-10-22 17:36:08 BdST
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চালু হচ্ছে বাংলাদেশে বুধবারে
ছবি বাসস
ডা. সুনীতিকুমার সাহা
______________________
২৪ অক্টোবর ২০১৮ মানে আসছে বুধবার বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার এক বিশ্বসেরা মাইল ফলক স্থাপন হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা বিশ্বমানের বললেই স্বদেশী হাজারো নিন্দুকের গা জ্বালা করে ; যেন শয়তান বা রাবনের শরীরে অাগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ; হ্যাঁ বুধবার তেমনই নিন্দুক রাবন বধের পালা।
আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রবেশ করছে নতুন যুগে। সবাইকে তাক লাগিয়ে
বুধবার উদ্বোধন করা হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
যে কোন চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্মবিদারক কান্না যে কোন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও চিকিৎসা সেবার জননী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ ও সরাসরি নির্দেশে বিশ্ব সেরা ও বিশ্ববৃহত্তম বার্ণ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মহাব্রত নেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি লোকসেবী চিকিৎসক অধ্যাপক সামন্তলাল সেন।
লাখো আগুন পোড়া কান্নার তিনি উপশমকারী। তাদের কান্না সামন্তলাল স্যারের চোখেও অশ্রু হয়ে ঝরে। তিনিই প্রমাণ করলেন ইচ্ছে থাকলে বাংলাদেশের মত ছোট দেশও অসাধ্য সাধন করতে পারে। যদি দেশের কর্নধার মানুষের জন্য কাঁদেন।
এই বিশাল মাইল ফলক অর্জনের জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সামন্তলাল স্যারকে বাংলাদেশের লাখো রোগী ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
এই ইনস্টিটিউটের মুখ্য সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন স্যার । স্যার মিডিয়াকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে রোগীদেরকে সর্বোত্তম সেবা দেয়া হবে। এই ইনস্টিটিউটে আরও অধিক পোড়ার রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ হবে এবং এখানকার প্লাস্টিক সার্জনরা দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চাঁনখাঁরপুল এলাকায় অবস্থিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন হাজারো বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন আগুনপোড়া মানুষের সেবায়। শত বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন এই বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়।তিনি মিডিয়াকে বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের পাশে অবস্থিত ১২তলা এই ইনস্টিটিউটে পোড়ার রোগীরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি ডাক্তার ও নার্সরা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন।
পাঁচ শ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিণত হবে।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের প্রতি আন্তরিকতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ইনস্টিটিউটের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করেছে।’ এই ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৫২২ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এই ইনস্টিটিউটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূলভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল।
আপনার মতামত দিন: